বিমান উড়ানো থেকে শুরু করে রাস্তা পরিস্কার কতো রকম পেশা আছে মানুষের! একেক যুগে একেক পেশার দাপট দেখা যায়। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারদের চেয়ে এখন এমবিএ, সিএ- এর দর ভাল
তবে এখন সবচেয়ে বেশি ডিমান্ড মিডিয়া ব্যবসার, বিশেষ করে টিভি চ্যানেলের। টিভি চ্যানেলের মালিক কিংবা হর্তাভর্তা হলে আপনার আর কোন চিন্তা নাই। গাড়িতে স্টিকার, প্রেস বা মিডিয়া লেখা আইডি কিংবা ভিজিটিং কার্ড সব মিলিয়ে বেশ হোমড়া চোমড়া ভাব।
আর আপনার অঢেল টাকা কিংবা ঋণ খেলাপি হওয়ার অভিজ্ঞতা থাকলে টিভি চ্যানেল খুলে ফেলতে পারেন। এ চ্যানেল, বি চ্যানেল, ক চ্যানেল, খ চ্যানেল, ২ চ্যানেল, ৩ চ্যানেল ইত্যাদি যে কোন নামে লাইসেন্স করিয়ে দুইচাইর জন পুরান তারকা নিয়া খুলে ফেলেন নতুন চ্যানেল। দর্শক নিয়া ভাবার দরকার নাই, এ দেশের দর্শক গোটা তিরিশেক চ্যানেল হজম করে, আপনারটাও মাঝে মাঝে খাবে।
এবার আসুন আসল জিনিস, মানে কি কি দেখাবেন টিভিতে মানে কন্টেন্ট নিয়ে বলি। প্রোগাম হেড বা ম্যানেজার নামে একজন নিয়োগ দিতে পারেন। তিনি বুদ্ধিমান হলে দেশি বা বিদেশি যে কোন এক বা একাধিক চ্যানেল ফলো করে একটা প্রোগাম চার্ট বানিয়ে দিবে। অথবা দুয়েকজন তরুণদের সাথে মিটিং সিটিং করে ফিটিং মেরে আপনাকে অনুষ্ঠান প্ল্যান দিয়ে দেবে। আমি একটা মডেল প্ল্যান ফ্রিতে দিলাম।
প্রথমে ধরে নিন আট থেকে বার ঘন্টা বিজ্ঞাপন। প্রতি দুই ঘন্টায় এভারেজে ১৫ মিনিট করে একটা করে নিউজ। দিনে দুইটা বা তিনটা ধারাবাহিক নাটক, একটা এক ঘন্টার নাটক। গানের অনুষ্ঠান একটা, সিনেমা একটা, সিনোমার গানের অনুষ্ঠান একটা, লাইভ গানের একটা অনুষ্ঠান, লাইভ আলোচনা অনুষ্ঠান একটা, টক শো একটা, রান্নার অনুষ্ঠান একটা, তারকা আড্ডা একটা, আর শুভ সকাল, দুপুর, সন্ধ্যা নিয়ে দৈনিক অনুষ্ঠান। কোনটা কখন চালাবেন সেটা নিয়ে ভাববেন না। সবাই একই সময়ে খবর, সিনেমা, গান দেখায়। আপনিও গণতান্ত্রিক হোন।
নতুনত্ব কি থাকবে?
কেন আপনার চ্যানেলের নামটাই তো নতুন, সেই সাথে লোগোও নতুন। আর পুরনো চাল ভাতে বাড়ে, অতএব অন্য চ্যানেল থেকে পুরান কিছু প্রতিভা নতুন বোতলে এনে ঝাকান।
ব্যস হয়ে গেল আপনার নতুন টিভি চ্যানেল।