মনে পড়ে পুরান ঢাকায় ঘুরে আসা
গোলাপি আহসান মঞ্জিলের চারপাশে হাওয়াই মিঠাই মন
অনেক ভিড়ের মধ্যে দুজনের একলা হয়ে যাওয়া
বাবুবাজারের কাছে ভ্যান থেকে ঝাল নুডুলস
আরেকটু এগিয়ে পাইকারি দরে সবুজ কমলা লেবু
ব্যস্ত সড়কের উপর ঘোড়ার গাড়ি
একদিকে জগন্নাথ অন্যদিকে ভিক্টোরিয়া
গাহি সাম্যের গান বলে ঘোড়ার গাড়িতে উঠে বসা
দুই ঘোড়ায় টানা একটা গাড়িতে দশটা মানুষ
তুমি বললে আহা ঘোড়াদেরও তো কষ্ট হয়
কতো বোঝা
আমাদের বোঝাগুলি অবশ্য সেদিন লুকিয়ে রেখেছিলাম
ভারহীন বোঝাহীন একদিন
তুমি আমি বিউটি লাচ্ছিতে বসে বিট লবণের শরবতে চুমুক
আহা পৃথিবী দেখুক
একটু ঘর থেকে বেরিয়ে এলে কী খুশি তোমার চোখ
জানেন, আমাকে তো কেউ নিয়ে আসেনি বাইরে
আমি আনবো বারবার তুমি শুধু থেকো অন্তরে
মনে পড়ে সেদিনই ঘটলো অঘটন
তুমি বললে আমি খুব বোকা
বোকা তো বটেই
তবে এইটুকু জানি
এমনি এমনি পাওয়া যায় না কিছুই
তোমাকে কাছে পেতে হলে
সোনালী দুপুর, গোলাপী বিকাল আর রূপালী রাত্রিকে
তোড়ায় বেঁধে তোমার পাশে ঘোড়ায় চড়ে কাটালে
তারও মূল্য দিতে হবে
বলেছিলাম, আমরা এক হলে সবাই ভয় পায়
সকলেই জানে আমরা দুজন বদলে দিতে পারি পৃথিবীর মানে
আমরা দুজন হাতে হাত রেখে ফোটাই ফুল বাগান
তাই তো আমাদের একত্র হতে গেলে
প্রজাপতি, মৌমাছি, পাখি সমাজেও লাগে হৈ চৈ
আমাদের ছিঁড়ে নিয়ে সাজাবে বলে ওরা ফুলদানী বানায়
ওরা তো জানে না
ওদের সাজানো ড্রইরুম, পিতলের ফুলদানী
আমরা ঘৃণা করি
তারচেয়ে আমাদের দূষিত বুড়িগঙ্গা ভালো
চক বাজারের ফুটপাথের ডালের বড়া ভালো
আরো ভালো ইসলামপুরের ছিট কাপড়ের জৌলুস
কেউ তো জানে না
কেবল পুরানো ঢাকার ভ্রমণ কাহিনী জানে
আমাদের অন্য রকম ভালবাসার মানে।