বিষয়টা নিয়ে লিখতাম না। ঘটনাটি ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালী থানার কৈজুরি ইউনিয়নের পশ্চিম বিলনালীয়া গ্রামের ঘটনা। মনে হচ্ছে সকলের জানা উচিত। পরিবারটির লোকগুলোই এ্যমন। এর বাবা ও ভাইয়েরা ডাকাতি করত এবং ডাকাত লালন পালন করত। এর বড় ভাইয়ের কুখ্যাতি ছিল সবচেয়ে বেশি। এক হিন্দু লোকের অল্প জমি কিনে পরে সবকিছু কেড়ে নিয়েছে, গুলি করে মেরে ফেলেছে। পরে সব লোক ভয়ে থাকত, কেউ জায়গা বিক্রি করতে চাইত না তাদের কাছে, কারন এরা সুই হয়ে ঢোকে ফাল হয়ে বের হয়। লোকটির নাম মমিন উদ্দীন । সরকারী চাকুরীজীবী। এ.টি.ও মাদারীপুর শিক্ষা অফিসের। প্রথমে ছিল প্রাইমারী স্কুলের হেডমাস্টার, পরে ৬৫ হাজার টাকা দিয়ে ফাসকৃত প্রশ্নপত্র কিনে নিয়ে পরীক্ষা দিয়ে হয়েছে এটিও।
শিক্ষক থাকাকালীন সময় শিক্ষকতার সুবিধার্থে নিজ গ্রামেই ভাড়া থাকতেন এক স্থানীয় এক ব্যাক্তির বাসায়। নানারকম অনৈতিক কার্পযকলাপের কারনে পরিবারে তার কোন জায়গা ছিলনা। স্ত্রী ও ডিভোর্স দিয়ে চলে যায়। এভাবে সে তার সর্বশ্ব হারায়, ঠিক সেই মূহূর্তেই সে সৌভাগ্যবশত স্কুলের চাকরীটি পেয়েছিল। চাকরী পেলেও স্বভাবের পরিবর্তন হয় নি। ভাড়া বাসায় থাকাকালীন সময়ে সে আবার স্বমূর্তি ধারণ করে। যে বাসাটিতে সে ভাড়া থাকত আসলে সে বাসায় কেউ থাকত না, মালিক স্বপরিবারে বাচ্চাদের পড়াশুনা ও নিজ ব্যাবসায়ের কারনে ঢাকায় বসবাস করত। তাদের অবর্তমানে সে ঐ মালিকের বাসার আলমারী ভেংগে জমি ও বাড়ির দলীলপত্র দেখে নেয়।
সে সুযোগ পেয়ে জাল দলীল করে নেয়। স্থানীয়দের কাছে সে একসময় প্রচার করতে থাকে যে সে সমস্ত জায়গা ও বাড়ি কিনে নিয়েছে, মালিক এ্যমন প্রচার শুনে ওই লোককে কৈফিয়ত করা হলে সে প্রথমে অস্বীকার করতে থাকে, পরে সন্দেহ হলে বিনয়ের সাথে লোকটিকে বাসা ছেড়ে দিতে বলে, কিন্তু সেতো বাসা ছাড়লোই না, উলটো ভুয়া দলিল দেখিয়ে বাড়ি ও জায়গার মালিকানা দাবি করে বসে। এবং টাকা দিয়ে প্রশাসনকে প্রভাবিত করে । গ্রামের স্থানীয় লোকজন এ অন্যায় মেনে নিতে পারেনা, তারা শালিশ এর মাধ্যমে দখলদারকে হটিয়ে প্রকৃত মালিকের কাছেই বাড়ি ও জায়গা হস্তান্তর করে। কিন্তু বাসায় কেউ ছিলনা বিধায় রাতের আধারে সে যাবার আগে সমস্ত আসবাবপত্র চুরি করে নেয়।
পরবর্তীতে সে কয়েকটি ভুয়া মামলা করে মালিককে বিব্রত করার জন্য। এ সময়ের মাঝে আরো ক্ষমতাশালী হয়ে ওঠে সে। এটিও হবার পর সে বর্তমান ক্ষমতাধর সরকারের মন্ত্রী ও তার ছোটভাইয়ের স্নেহধন্য হয়ে ওঠে। সে ছিল বিএনপির কর্মী, ক্ষমতার মধু খাবার জন্য সে যোগ দেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগে। যোগ দিয়েই শুরু করে চাকরী বানিজ্য। জন প্রতি চার লাখ টাকা চুক্তিতে সে প্রাথমিক শিক্ষক পদপ্রার্থীদের চাকরী দেয়।এভাবে সে গ্রামের প্রভাবশালীদের আত্মীয় স্বজন ও সন্তানাদি এবং সাধারণ মানুষদের চাকুরী দিয়ে হাত করে নেয়। যার ফলে সে যতই অন্যায় করুক এখন আর গ্রামের মানুষ তার বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে না। এই সুযোগে সে আবার হানা দিয়ে দখল করে নেয় জায়গা জমি। শুধু একজনই নয় তার এই দখলদারীর শিকার হচ্ছে আরো অনেক গ্রামবাসী। খোদ প্রশাসন তার পাশে। তাকে থামাবার বা তার অন্যায়ের নূন্যতম প্রতিবাদ করার কেউ নেই। ভুক্তোভুগীরা আদালতের মাধ্যমে সমাধান চায়, কিন্তু সে চায়না, করন সে হেরে যাবে। তাই স্থানীয় প্রশাসন ও মুরুব্বীদের টাকা খাইয়ে সে শালীসের মাধ্যমে সমাধান চায়। আদালত ১৪৪ ধারা জারি করেছে জায়গার উপর, অথচ মমিনউদ্দীন আদালত অবমাননা করার পায়তারা করছে।
এই হচ্ছে দেশের প্রশাসন ও তথাকথিত শিক্ষকদের চেহারা। এই কলুশিত সমাজ আর অথর্ব মানুষ নিয়ে আমরা কোথায় যাবো?