১৯৪০ সালে নাৎসি তথ্য মন্ত্রী জোসেফ গোয়েলবস তিনটা মুভি তৈরী করে ইহুদীদের বিরুদ্বে। ঐ মুভিগুলোতে ইহুদীরা কতো হিংস্র, জঘন্য, অর্থ কারচুপি, দেশদ্রোহী তা বুঝানো হতো। ছবি তিনটা হলো, Der Ewige Jude, Die Rothschilds, Jud Süss। Jud Süss মুভিটা সবচেয়ে বেশী হিট হয় জার্মান সহ সারা ইউরোপে।
সেই ইহুদীরাই এখন একের পর এক মুভি তৈরী করছে ইসলামের বিরুদ্বে। হল্যান্ডের ফিতনা ছবিটাও বানিয়েছে একজন ইহুদী। সর্বশেষ "ইন্নোসেন্স মুসলিম" মুভিটাও বানিয়েছে এক ইসরাইলি-আমেরিকান, ১০০ জন ধনী ইহুদীদের সাহায্য ৫ মিলিয়ন ডলারের মাধ্যমে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে দেয়া সাক্ষাৎকারে সে বলেছে, এটা শুধু ইহুদীদের পিতৃভূমি ইসরাইলের জন্যে।
এই ইহুদীদের বিরুদ্বে যে কৌশল অবলম্বন করেছে নাৎসিরা, আজ তারাই সেই কৌশল ব্যবহার করছে মুসলিমদের বিরুদ্বে।
এই মুভিটা বানিয়েছে যে এক বছর হলো, হলিউড থিয়েটারে ও দেখানো হয়েছে, তবে কেউই দেখেনি।
কিছুদিন আগে এক মিশরিয় কপ্টিক খ্রিষ্টান যার সাথে আবার কোরান পোড়ানো পাস্টর টোরি জোনসের খুব খাতির, সে মিশরিয় আরবির সাবটাইল দিয়ে ইউটিউবে আপলোড করে বিভিন্ন মিশরিয় মোল্লাদের কাছে পাঠায়। মোল্লারা তখন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
এবার বুঝেন কারা আগুনে ঘি ঢালে।
তবে এই ঘটনা বেশীদূর যাবেনা।
শেষ কথাঃ এই মুভির কারনে ভায়োল্যান্স করাটা ঠিক না, প্রতিবাদেই সীমাবদ্ব থাকা উচিত ছিলো।
নজরুলের মতো, উহারা প্রচার করুক, হিংসা বিদ্বেষ, নিন্দাবাদ।
আমরা বলবো সাম্য, শান্তি, এক আল্লাহ জিন্দাবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:২৮