অশ্রুভেজা এ হৃদয়ের ডাকে তুমি দিলেনা সাড়া,
পাড়ি জমালে অজানার উদ্দেশ্যে,
রেখে গেলে স্মৃতি আর স্মৃতির দীর্ঘশ্বাস।
কতো স্মৃতি-কতো কথা,
জীবনের কতো অদ্ভুত সুন্দর অনুরণন,
শুধু মনে হয়, এই মানুষটিই রসিকতার ছলে,
ভুলিয়ে দিতে চাইতো মৃত্যুর নিষ্ঠুরতা।
ঢাকার রাস্তা এখনো জনাকীর্ণ
ব্যস্ত মানুষ নীড়ে ফেরার তাড়নায় ছুটে চলে,
ভয়াল হিংস্রস্বরে ডেকে ওঠে ট্রেনের হুইসেল!
যেনো জীবনের চলমান স্রোতধারা।
কবির বেদনাহত শোকার্ত চাহনী
যেনো মুক্তস্বরে আহবান জানায় মৃত্যুকে-
ভয়াল মৃত্যুর নিষ্ঠুর করাঘাতে, অক্টোপাসের মতো
আজ জড়িয়ে ধরেছে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানকে।
বাতাসের হু হু যেনো করুণ আর্তিতে জানিয়ে যায়,
হুমায়ুন নেই-হুমায়ুন নেই।
জানি নিঃশেষ হবে একে একে পৃথিবীর সকল কোলাহল
রয়ে যাবে তোমার সৃষ্টি মহিমা বাঙ্গালীর অন্তরে,
বাংলার গর্বিত মাটি গ্রহণ করলো তার সম্মানিত অতিথিকে
হুমায়ুন শয়ন করলে তুমি মাটির বিছানাতে।
দুঃস্বপ্নের আঁধার রাতে,
আঁধার রাতের গহন থেকে-হুমায়ুন
তোমার সৃষ্টি ডেকে যাবে মোদের
নিত্য হর্ষ চিত্তে।
বাঙ্গালী হৃদয়ের মরুতীরে বয়ে যাবে
তোমার সৃষ্টির সুশীতল ধারা
মুক্ত করবে যতো আত্মকেন্দ্রীক আর পরহিংসার জড়া থেকে।
মানুষ বাঁচতে শিখবে, করতে শিখবে গুনীর কদর
বিনম্রচিত্তে।