এ কেমন অর্থহীন কেমন মূল্যহীন
কেবলই মৃত্যু!
পাদ্রী মোয়াজ্জীন শিল্পী শ্রমিক ছাত্র শিক্ষক জনতা
সবাই মরছে!
গুলিস্তান কোর্ট চত্ত্বর খিলগাঁও নিউমার্কেট দেশের
আনাচে-কানাচে!
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালায় জগন্নাথে মানুষগুলো মরছে।
কেউ বলেনি কথা।
একটি থেকে দুটি দুটি থেকে তিনিটি এখন শত শত।
শুধু মানুষই মরছে।
শ্রমিকের মৃত্যু ঠেকেতে এসেছিলো শ্রমিক প্রতিবাদ নিয়ে।
মোয়াজ্জিনের মৃত্যুর প্রতিবাদ নিয়ে এসেছিলো মুসলিম।
শিল্পীর মৃত্যুর প্রতিবাদে এসেছিলো শিল্পী।
পাদ্রীর মৃত্যুর প্রতিবাদে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ।
শিক্ষকের মৃত্যুর মিছিলে কয়েকটি ছাত্র এসেছিলো বটে!
মানুষের স্বজাতিবোধ এখন পেশায় নেশায় রাজনীতিতে।
স্বজাতি এখন নিজে কেউ নেই পাশে কাঁদে শুধু মা।
দুঃখিনীর পেটে বড় ব্যথা লাগে মুচড় দিয়ে উঠে
নাড়ের টান।
কোন সাড়া-শব্দ নেই চারপাশে এখন কেবলই নাড়ের
বড় হাহাকার।
যে লাশের মা নেই তার জন্যে কাঁদে কে !
যদি দেশ থেকেও দেশ না থাকে যদি স্বাধীনতা থেকেও
স্বাধীনতা না থাকে তবে লাশের জন্যে কাঁদে কে
তবে কথার জন্যে কাঁদে কে!
এসো তবে স্মরণ করি আমাদের একটি দেশ আছে,
এসো স্মরণ করি আমাদের স্বাধীনতা আছে এসো
স্মরণ করি আমরা মানুষ
আমাদের মা মাটি আছে।