ভিয়েতনাম যুদ্ধ(১৯৫৪-১৯৭৫)
আমরা খুব ছোটবেলা থেকে এই শব্দটার সাথে খুবই পরিচিত“Money begets money” যদিও আমরা জানি টাকা পয়সা শুধু টাকা পয়সাই আনে না তার সাথে সাথে সুন্দর রমণী,দামি গাড়ী, বিলাসবাহুল বাড়ি এবং আরও অনেক কিছু টাকার মধ্যে দিয়েই তবে আসে, কিন্তু দুঃখিত আমাদের টপিক টাকা পয়সা,বাড়ি, গাড়ি বৃদ্ধি হওয়ার সাথে সম্পর্কিত না বরং এগুলো কিভাবে ধ্বংস হয় তার সাথে সম্পর্কিত তাই আজকে আমাদের “War begets war” নিয়ে থাকতে হবে। ওপেনহেইম যুদ্ধের চমৎকার একটি সংজ্ঞা দিয়েছেন।তিনি বলেছেন যে, যুদ্ধ হলো দুই বা ততোধিক শক্তির মধ্যকার পারস্পরিক বিবাদ।এখানে এক পক্ষ অপরপক্ষকে শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে পরাভূত করার প্রাণপণ চেষ্টা চালায়। ঘটনাচক্রে বিজয় পতাকা যার হাতে আসে, শান্তি এবং সহযোগিতার নামে সে তখন বিজেতার উপর চাপিয়ে দেয় মন গড়া কতগুলো শর্ত,যা আমরা ভিয়েতনাম যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে উত্তর ভিয়েতনামের আচরনে দেখতে পাব, বিজয়ীর দেয়া এই শর্তসমূহের মধ্যে থাকে কতগুলো বাধ্যবাধকাতা,এমনকি নিষ্টুরতার সুস্পষ্ট ছাপ।যাইহোক মূলকথাই ফিরে আসি,বস্তুতপক্ষে অন্যদের প্রতি ইউরোপবাসির দৃষ্টিভঙ্গি ছিল ভিন্নরকম।কিছুকাল পূর্বেও তারা ভাবত, ইউরোপের বাইরে যারা বসবাস করত তারা সবাই বর্বর ও অসভ্য। পরিকল্পিতভাবেই তাদেরকে ঔপেনিবেশিক শাসনের অধীনে রাখা হত। তেমনি এক ঔপেনিবেশিক শাসনের আওতাধীন ছিল ভিয়েতনাম,ফ্রান্স ভিয়েতনামে নিজেদের ঔপেনিবেশিক শাসন দীর্ঘদিন চালিয়ে যায় পরে ১৯৫৪ সমজতান্ত্রিক রাশিয়া ও চীনের সহায়তায় তারা তারা মুক্তি পায়।
ভিয়েতনাম যুদ্ধের কারনঃ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকার নেতৃত্বে পুঁজিবাদের উত্থান ঘটে অপর দিকে রাশিয়া ও চীনের নেতৃত্বে কমিউনিজম এর বিকাশ ঘটে,আমেরিকাসহ সকল পুজিবাদি দেশগুলো তখন কমিউনিজমের উত্থান রুখে দেওয়ার পক্ষে একযুগে কাজ করে যাচ্ছিল। এর মধ্যেই রাশিয়া তার কমিউনিজম প্রভাব বলয়ের মধ্যে পূর্ব ইউরোপসহ বুলগেরিয়া এবং জার্মানিকে টেনে আনতে সক্ষম হয়, অপরদিকে চীন ও কোরিয়াসহ এশিয়ার বেশ কিছু অংশে রাশিয়া তার প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়। পুঁজিবাদী আমেরিকা ও তার পশ্চিমা সহযোগীরা কমিউনিজমকে বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী গণতন্ত্র ও পুঁজিবাদের বিকাশের হুমকিস্বরূপ মনে করে।১৯৪৯ সালে মাও সে তুং এর হাত ধরে চীনে কম্যুনিস্ট নেতৃত্বে আসে। আবার কোরিয়া যুদ্ধে ১৯৫০ সাল থেকে আমেরিকা দক্ষিন কোরিয়াকে সহায়তা করে আসছিল যাতে করে এই অঞ্চলে কমিউনিস্ট এর উত্থান না ঘটতে পারে, এর পাশাপাশি ফ্রান্সের উপনিবেশ শাসনের আওতাধীন ইন্দো চীন বলয়ের দেশগুলোতে যাতে কম্যুনিস্ট সমর্থিত সরকার না আসতে পারে এই লক্ষেও আমেরিকা ফ্রান্সকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে ভিয়েতনাম ফ্রান্সের ঔপেনিবেশিক শাসনের আওতাভুক্ত ছিল,পরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান ভিয়েতনামকে দখল করে,যখন জাপান যুদ্ধে কিছুটা পিছু হটে তখন ভিয়েতনামের জনগন হো চি মিন এর নেতৃত্বে তাদের পছন্দের সরকারকে ক্ষমতায় বসায়। যুদ্ধের শেষে হো চি মিন কে আবার ক্ষমতাচ্যুত করা হয় এবং ফ্রান্সের নেতৃত্তে ভিয়েতনামে আবার উপিনিবেশ স্থাপন করে। এবং এই সময় বাও ডাই কে ক্ষমতায় বসানো হয়। রাশিয়া এবং পুর্ব ইউরোপ বাও ডাই এর শাসনকে পত্যাখান করে,এবং তারা হো চি মিন কে দেশের প্রকৃত শাসক বলে মনে করে। আমেরিকার সামরিক সহায়তার মধ্যেও ফ্রান্স এই সময়ে অনেক আক্রমণের মখুমুখি হতে হয়, বিশেষ করে ভিয়েত মিন(viet minh) এর গেরিলা আক্রমণের সম্মুখীন হতে হয়।পরে ১৯৪৯ সালে যখন চীনে মাও সে তং এর নেতৃত্বে কম্যুনিস্ট সরকার আসে তখন থেকে ভিয়েত মিন গেরিলাদের সরাসরি সাহায্য করতে শুরু করে।গেরিলারা ফ্রান্সকে বিভিন্নভাবে আক্রমন করতে থাকে।
নভেম্বর ১৯৫৩ সালে ফ্রান্স তাদের প্যারাসুট রেজিমেন্টকে ভিয়েতনামে পাঠায় এবং অপ্রশিক্ষিত ভিয়েত মিন গেরিলাদের খুব সহজে পরাজিত করে, এর পর উত্তরে দিয়েন বিয়েন পু তে তাদেরকে পাঠানো হয়।সেখানে মে ১৯৫৪ সালে তাদেরকে উত্তর ভিয়েতনামের সৈন্যরা আক্রমন করে পরাজিত করে এবং তারা আত্মসমর্পণ করে। এর মধ্যে দিয়ে ফ্রান্স তার ভিয়েতনাম অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘোষণা করে।
ভিয়েতনাম বিষয়ে আলোচনার জন্য ১৯৫৪ সালের এপ্রিলে জেনেভাতে কনফারেন্সের আয়োজন করা হয় এবং জুলাই মাসে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এই সিধান্তে উপনীত হয় যে,ভিয়েতনামকে সাময়িকভাবে দুই ভাগে বিভক্ত করা হবে যা বাও ডাই এর নেতৃত্বে দক্ষিন ভিয়েতনামের সরকার গঠিত হবে এবং হো চিমিন এর নেতৃত্বে উত্তর ভিয়েতনাম গঠিত হবে।এই সভাতে আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, ১৯৫৬ সালে উভয় ভিয়েতনামে এক সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এই নির্বাচনে যে জয়লাভ করবে সে উভয় ভিয়েতনামকে একত্রকরনের মধ্যদিয়ে শাসন করবে।আবার বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের লক্ষে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে নিরপেক্ষ কোন দেশ।পরবর্তীতে আর নির্বাচন হয় না,এর ফলে স্থায়ীভাবে দুই ভিয়েতনাম ভাগ হয়ে যায়।
কৃষি প্রধান উত্তর ভিয়েতনামের জনসংখ্যা প্রায় ১৬ মিলিয়েনর মত। অপর দিকে দক্ষিণ ভিয়েতনামের জনসংখ্যাও ১৬ মিলিয়ন। ভিয়েত মিনের প্রশিক্ষিত সদস্যরা তখন দক্ষিণ ভিয়েতনামে গিয়ে সাধারণ মানুষদের মাঝে কমুনিজমের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন,এবং তাদের কৃষি কাজে বিভিন্নভাবে সাহায্য করেন।এর প্রভাব সাধারণ মানুষের মাঝে পরতে শুরু করে।
উগ্র ক্যাথলিক নাও ধিন দিয়েম(Ngo Dinh Diem) হচ্ছে দক্ষিন ভিয়েতনামের প্রথম প্রকৃত শাসক, যেহেতু কম্যুনিস্টরা ধর্মকে ঘৃণা করত তাই সকল কম্যুনিস্ট দেশগুলি তাকে ঘৃণাভরে পত্যাখান করে। তখন আমেরিকা দিয়েম কে সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দেয়,যদিও তার বিরুদ্ধে চরমভাবে মানবধিকার নষ্ট/খর্ব হওয়ার অভিযোগ উঠে।“Domino Theory” অনুসারে যেইসব দেশ কম্যুনিস্টদের বিরুদ্ধে যাবে তাদের দিকেই আমেরিকা সাহায্যর তার হাত বাড়িয়ে দিবে।চরম স্বৈরচারী ও দুর্নীতিবাজ এই সরকারকে আমেরিকা তার সাহায্য অব্যাহত রাখে।যা যুদ্ধকে তরান্বিত করে।
১৯৫৬ সালে নির্বাচন না হওয়ার কারনে ভিয়েত মিন(viet minh) গেরিলারা যুদ্ধের জন্য সক্রিয় প্রস্তুতি নিতে শুরু করে।ইতোমধ্যে ভিয়েত মিন নাম পরিবর্তন করে নতুনভাবে রাখা হয় ভিয়েত কং নামে (Viet Cong)এবং এবংএবং এবং তারা এখন আগের থেকে অনেক বেশি সক্রিয়, এখন তারা দক্ষিন ভিয়েতনামে ছোট ছোট আক্রমণ পরিচালনা শুরু করে। তারা হো চি মিন এর পদাঙ্ক অনুসরণ করে ১০০০ মাইল পথ পারি দিয়ে লাওস এর ঘন জঙ্গলে ঘেরা সীমান্তে কমান্ডার গিয়াপের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষন শিবির চালু করে।কমান্ডার গিয়াপ তাদের যুদ্ধের বিভিন্ন কৌশল শিক্ষা দেন।
এই যুদ্ধে আমেরিকার ভয়াবহ রকমের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় যা তাদের অর্থনীতিতে পরবর্তীতে মারাত্মক বিরূপ প্রভাব ফেলে,এবং ভবিষ্যতের ক্ষতির কথা চিন্তা করে “Paris Peace Accords Act” এর আওতায় ২৯মার্চ,১৯৭৩ সালে আমেরিকা ভিয়েতনাম ত্যাগ করে।
আর এই সুযোগে দক্ষিন ভিয়েতনামে আক্রমণের মাত্রা বৃদ্ধি করে ১৯৭৫ সালে দখল করে নেয়,এবং পৃথিবীর মানচিত্র থেকে দক্ষিন ভিয়েতনাম শব্দটি চিরদিনের জন্য মুছে ফেলা হয়।
যুদ্ধের ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান ও বিরূপ প্রভাব
অন্যান্য যুদ্ধের মত ভিয়েতনাম যুদ্ধেও অনেক ক্ষতি ও ধ্বংস সাধিত হয়। এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ২ মিলিয়নের বেশি মানুষ মারা যায় এর মধ্যে অনেক নিরপরাধ নারী ও শিশু রয়েছে এবং ৩ মিলিয়ন এর বেশি মানুষ আহত হয়। যুদ্ধে উভয় ভিয়েতনাম ধ্বংসস্থুপে পরিণত হয়। মনে হয় যেন এক ভয়ঙ্কর মৃত্যুপুরী। এই যুদ্ধে শুধু আমেরিকার $৩৫০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয় যার বর্তমান বাজারমূল্য $১৮৫০বিলিয়ন ডলার।যা পরে আমেরিকার ভোটাভুটির রাজনীতিতে বড় ধরনের ইস্যু হয়ে দাড়ায়।
১৯৬৫-১৯৭৩ সালের মধ্যে আমেরিকার বিমান বাহিনীর সদস্যরা ৮ মিলিয়ন টন বোম্ব ভিয়েতনামে নিক্ষেপ করে।আমেরিকার সৈন্যরা Operation Linebacker IILasting(18-29December,1972) এর মাধ্যমে উত্তর ভিয়েতনামের মূল অবকাঠামো ধ্বংস করে ফেলে।আমেরিকার সৈন্যরা ১৯৬২-১৯৭১ সালের মধ্যে শুধু দক্ষিন ভিয়েতনামে ২০ মিলিয়ন গ্যালন হারবিসাইদ(Herbicides-একধরনের) ব্যাবহার করে বিশেষ করে দক্ষিন ভিয়েতনামের রাজধানী সেইগন এর উত্তরে এবং লাওস ও কম্ভেডিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় যাতে করে ঘন গাছপালা ধ্বংস করে খুব সহজেই ভিয়েত কং(Viet Cong-National Liberation Front) গে গেরিলাদের লক্ষ বস্ততে আঘাত হানা যায়। শুধু ১৯৬৯ সালেই ১০,৩৪,৩০০ লক্ষ হেক্টর বনভূমি ধ্বংস করা হয়। “এজেন্ট অরেঞ্জ” হচ্ছে এমন এক ধ্বংসাত্মক রাসায়নিক পদার্থ যাযার ক্ষতিকর প্রভাব শুধু প্রাকৃতিক বাস্তুসংস্থানে পরে না মানব জীবনেও রয়েছে এর ভয়ঙ্কর প্রভাব।ভিয়েতনামে এখনো অনেক শিশু আজন্ম খোরা,অন্ধ, এবং ত্বকের মারাত্মক রোগ নিয়ে জন্মাচ্ছে এই রাসায়নিক পদার্থের কারনে।
দক্ষিন ভিয়েতনাম পতনের পর থেকে কম্যুনিস্ট সরকার এখানে তাদের তথাকথিত “Re-education” প্রোগ্রাম এবং অর্থনীতিক অবস্থা পুনর্গঠনের লক্ষে “New Economic Zone” চালু করে,ফলে সাধারণ মানুষদের কাজের জন্য অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করা হত।তাদের এই অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগের কারনের উভয় দিকে তাদের বিরুদ্ধে জনগণ ঘৃণার আগুন ছড়াতে থাকে, এবং চাপ সহ্য করতে না পেরে অনেকেই দক্ষিন ভিয়েতনামের এইসব ক্যাম্প থেকে পালায়ন করে অন্যদেশে উদ্বাস্তুর মত জীবনযাপন করে।আবার অনেকেই সমুদ্র পথে পালিয়ে যাওয়ার সময় সমুদ্রে ডুবে মারা যায় এবং সমুদ্রের লোনা পানিতেই তাদের চিরজীবনের জন্য জায়গা হয়।এভাবে সমুদ্র পার হতে গিয়ে ৩,০০,০০০-৪,০০,০০০ মানুষ মারা জায়।আজ ভিয়েতনাম স্বাধীনতার এত দশক পরেও উন্নয়নশীল দেশের তালিকায়, কম্যুনিস্ট শাসনে ক্ষমতাসীনদের ভাগ্য বদলালেও তাদের অভাগা জনগণের ভাগ্য আর বদলায় না।
যুদ্ধে উত্তর ভিয়েতনামের ১.১ মিলিয়ন এবং দক্ষিন ভিয়েতনামের ২,০০,০০০-৩,০০,০০০ লাখ সৈন্য মারা যায়। ৫৮,২০০ আমেরিকার সৈন্য,দক্ষিন কোরিয়ার ৪,০০০, অস্ট্রেলিয়ার ৫০০জন, থাইল্যান্ড এর ৩৫০ জন,এবং নিউজিল্যান্ডের ৩ ডজনের মত সৈন্য মারা যায়। যুদ্ধ শেষ হলেও ভিয়েতনামের ৭,০০,০০০সৈন্য দীর্ঘদিন সাইকোলজিক্যাল সমস্যায় ভুগে।
এটাই ছিল আমেরিকার একমাত্র পরাজিত যুদ্ধ, এই যুদ্ধে আমেরিকার সৈন্যদের ব্যাপক আকারে মনোবল ভেঙে পরে।১,৫০,০০০ যুদ্ধাহত সৈনিক দীর্ঘদিন তাদের কষ্ট বয়ে বেড়াতে হয়। অবশেষে ১৯৯৫ সাল থেকে পুনরায় ভিয়েতনামের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক চালু হয়।
পক্ষান্তরে উত্তর ভিয়েতনাম এই যুদ্ধের মাধ্যমে যদিও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় নিজেদের সামরিক সক্ষমতার প্রমান দিতে পেরেছে,তারপরেও তাদের যেই জীবন ও সম্পদের অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে তা কোনদিন পূরণ হবে না।এখনো কৃষি জমিতে স্থল মাইন পাওয়া যায়, যদিও কৃষি জমিতে ফসল পাওয়ার কথা ছিল।হাজার হাজার একর জমি অনাবাদি পরে আছে রাসায়নিক বোমার বিরূপ প্রতিক্রিয়ায়র ফলে,অথচ যেখান থেকে একদিন সোনার ফসল নিয়ে কৃষক বাড়ি ফিরত। একসময় যেই মাতৃগর্ভ থেকে চাঁদের মত ফুটফুটে বাচ্চা বেড়িয়ে আসতো, আজ হয়তবা সেখান থেকে আজন্ম খোঁড়া অথবা জন্মান্ধ অথবা অন্যকোন মহামারী রোগজীবাণু নিয়ে মানবজাতির বোঝা হয়ে এই ধরণীর বক্ষে আসতে হচ্ছে। যুদ্ধমুক্ত একটি পৃথিবীর স্বপ্ন দেখে এখানেই ইতি টানছি।
মোঃ ফরহাদ মিয়াজি।
বিভাগঃক্রিমিনোলজি অ্যান্ড ক্রিমিনাল জাস্টিস
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
৩-০৫-১৬ইং
;
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭