সেখানে একটা রাত এবং অনেকগুলো শব্দ,
বাদানুবাদ, ভাঙা- গড়া,
শুধু যে কেবল আমিই ভাঙছি তা না।
নদীও তো ভাঙে! সে ভাঙনে শব্দ হয়!
সে শব্দ অনেকেই শুনেছে- শুনেছো হয়ত তুমিও।
আমি শুনি! রোজ ভাঙতেও দেখি,
তবে সে ভাঙনের শব্দ শুনিনি ।
তবে যে বললে কবিরা জড় শব্দের ভাষা বুঝে?
কই আমিও তো কবি। আমিও তো জড় শব্দের ভাষা বুঝি,
রোজ সে ভাষায় কথা বলি, শব্দ বুনি শৈল্পিক ভঙ্গিমায়।
মেঘের দেশে হারিয়ে যাওয়া কিংবা বৃষ্টির গান শুনি।
এমন কী জলরঙ্গে ‘তাঁর’ ছবিও এঁকেছি।
‘তাঁর’ মানে!
ঐ যে নদীটার কথা বললে। যে ভাঙতো, এখনো ভাঙে।
জলরঙ্গে 'তাঁর' ছবিও আঁকতাম! এখনো আঁকি;
বলি কি, সে তো নদী ছিলো না যে ভাষা বুঝবো!
যদিও বা নদী ছিলো তখন কবি ছিলাম না,
এমনি এক এক করে অনেকগুলো বছর।
এখন আর সেই আমিটি নেই- নেই যৌবনের উচ্ছ্বাস,
এখন আর নদীর পানি ছুঁইয়েও দেখি না,
মনে হয় যৌবনের সেই তরঙ্গগুলো অনেকটাই ম্লান!
তবে তার মাঝে চর জাগে,
সেখানে আমিই ভাঙছি কেবল স্বপ্ন-সম্পর্ক।
বিশ্বাস করো- এ ভাঙন আমাকে শিখিয়েছে স্বপ্ন বুনতে
হাঁটতে শিখিয়েছে দূর অজানায়।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৫০