জাত নেই নেই তার জ্ঞাতি
বলো বন্ধু নিন্দুক ওরা_ জাত জাত করে চিল্লায়
ভূখায় গিলেছি ধম্ম ধনীরা তখন কিনিল টাকায়।
গঙ্গায় করি সুদ্ধ মমি; বর্ণে মানুষ হাজারো জাতি
বলো তবে মানুষ আমি, জাত নেই নেই তাঁর জ্ঞাতি।
.
বর্ণ গিয়েছি ভুর, শুদ্র -ব্রাক্ষ্মণ, সুন্নি -শিয়া
সীমানা ফেলেছি মুছে দরবারে চলে হুলিয়া।
বলো ঈশ্বর আমার যে নামেই তারে ডাকি;
ভগবান বলি শুনে আল্লাহ্ অন্তরে জিকি।
.
বলো তবে সিন্নি দিলাম। ছ' আনায় প্রসাদ আরো...
পূজায় সেবিনি তা- ভগবান যেন শ্যারকস বড়ো।
বলো ইটের দালানে থাকে ঈশ্বর - কুঁড়ে ঘর ফাকা,
ঈশ্বর যদি থাকে_ এত ভেদাভেদ! সত্য কতটা?
স্বর্গে দেবতা
স্বর্গে দেবতা নরকে নারী ঈশ্বর আসেন দিন শেষে
মহামিলনের উঠুক স্বর মেঘনা করাল উচ্ছ্বসে।
এখানে যেমন দেবতা থাকেন নারী ছিলো ক্রীতদাসী
মাটির আদম দুধে ধোয়া হাওয়া এখন সব্বনাশি।
এইতো গেলো ধম্মের কথা কম্মে সৃজিলে ধরা
বোদ্ধ যখন সন্যাস হলো নারী তাঁর সেঁতারা
গালি বলে যারে দিলে বুলি সেই তো ভগবান
আরশ তিনার মেহের নিগার বান্দা নাফরমান।
মধ্য সাহারার বালি ঝড়
মনের মধ্যে কেবল যে খরা কে বলল তোমায়
তবে কি ভাঙনের শব্দ শুনো না নৈশব্দের বায়?
যে ঘর ভেঙেছে আমার কাল বোশাখী ঝড়ে
মধ্য সাহারার বালি ঝড় এসে তার উপরে।
ঘাসফড়িং! সে তো ডানা মেলতে শিখেছে কবেই
রেখাহিন পথ সুদূরের রাজহংসীরা এলে তবেই;
উৎসব মূখর এক সন্ধ্যায় রমণীরা ডাকে যেন
কবি, জলরঙে সদ্য আঁকা ছবিটা আনোনি কেনো?
তারপর কখন একপশলা বৃষ্টি এসে ধুয়ে দিয়ে
মুছে গেলো তাঁর স্মৃতিমাখা রোমাল জল মিলিয়ে;
কাঁদতে শিখালো বর্ষা আমাকে ভাসতে মেঘমালায়
ভেঙেছে যতটা গড়তে পারেনি তার কিছুই পুনরায়।
আবু রায়হান মিসবাহ
কবি ও লেখক
[email protected]
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৩৮