somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অপহরন, গুম ও কিছু কথা......

০৬ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার অফিসে এখন কাজের অনেক চাপ। গার্মেন্টস সংশ্লিষ্ট ব্যবসা বলে কমবেশী সারা বছরই চাপ থাকে। তবে এখন শিপমেন্টের মৌসুম বলে চাপটা একটু বেশী। অফিসের সবাই সকাল থেকে সন্ধ্যা ব্যস্ত। কথা বলার মানুষও পাচ্ছিনা। তাই ভাবলাম একটু ইতস্তত লেখালেখি করি।
অনেকক্ষন ধরেই লেখালেখির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলাম কিন্তু ঘুরেফিরে অপহরন আর গুম ছাড়া আর কিছু খুঁজে পাচ্ছি না। পত্রিকা কিম্বা টিভি মিডিয়াতে সারাক্ষনই এসব খবর।
আমার মতে অপহরন ব্যাপারটাকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে দেয়া উচিত। বিশেষ করে বড় বড় ব্যবসায়ীদের এই ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিতে হবে। কারন, আমাদের দেশে তো এমনিতে সম্পদের সুষম বন্টন বলে কোন জিনিষ নেই। যার আছে তো সব আছে আর যার নেই তো কিছুই নেই। বড় বড় ব্যবসায়ীরা যদি বড় বড় মুক্তিপন দিয়ে বের হয়, তাহলে তাদের পকেট থেকে অনেক টাকা বেরিয়ে অনেক সাধারন মানুষের পকেট পর্যন্ত হয়তো আসতে পারে। এই বিষয়ে সুস্পষ্ট কিছু প্রস্তাবনা উত্থাপন করছি:
১. শীর্ষ সন্ত্রাসীদের যেমন 'একে ধরিয়ে দিন' মার্কা তালিকা প্রকাশ করা হয়, তেমনি প্রতি অর্থবছরেরর হিসাবনিকাশ শেষে শীর্ষ ঋনখেলাপী ও করখেলাপী ব্যবসায়ীদের 'একে অপহরন করুন' মার্কা তালিকা প্রকাশ করা যেতে পারে।
২. তালিকার প্রথম দশজনকে অপহরনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ পুরষ্কার ঘোষনা করা যেতে পারে।
৩. অভিজ্ঞ অপহরনকারীদের দিয়ে 'সুষ্ঠভাবে অপহরনের নানান কৌশল' নামে বই প্রকাশ করা যেতে পারে।
৪. রাষ্ট্রায়ত্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে 'অপহরনবিদ্যা' নামে একটি বিভাগ খোলা যেতে পারে। এখান থেকে উচ্চতর ডিগ্রীপ্রাপ্তরা ইথিওপিয়া, কলম্বিয়া কিম্বা যেকোন মাফিয়া-অধ্যুষিত দেশে বিরাট অংকের বেতনে কাজ নিয়ে যেতে পারবে। তাতে দেশে রেমিটেন্সের পরিমান দ্বিগুন বা আরো বেশী হতে পারে।
৫. ব্যাংকগুলো অপহরন পেশায় কেরিয়ার গড়তে ইচ্ছুকদের স্বল্প সুদে ঋন দিয়ে সহায়তা দেবে। ঋনগ্রহীতা পরবর্তীতে অপহরনের মাধ্যমে অর্জিত টাকা থেকে ঋন পরিশোধ করবে।
৬. অপহরন পেশায় নিয়োজিতদের করের আওতামুক্ত রাখতে হবে। নাহলে তারাও ঋনখেলাপীদের তালিকায় নাম লেখাতে পারে।
৭. বিদেশী অতিথিদের অপহরন করে বিদেশ থেকে মুক্তিপন আদায়ের জন্য বিশেষ অপহরনকারী বাহিনী (ইংরেজী এবং 'হিন্দী' ভাষায় পারদর্শী) গড়ে তোলা যেতে পারে। বৈদেশিক বানিজ্যের ক্ষেত্রে এটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।
৮. অপহরনের হাত থেকে বাঁচতে ব্যবসায়ীরা নিজস্ব রক্ষীবাহিনী গড়ে তুলবেন নতুন করে (অতীতেও রক্ষীবাহিনী গঠনের নজীর আমাদের দেশে আছে)। এর ফলে প্রচুর লোকের কর্মসংস্থান হবে।
৯. রক্ষীবাহিনী গড়ার ক্ষেত্রে দেশের ইয়াবাসেবী যুবসমাজকে ব্যবহার করা যেতে পারে। কারন, ওরা তো এমনিতেই রাতে ঘুমায়না। রাত জেগে পাহারা দেয়ার কাজটা ওরা ভালো পারবে।
১০. ঋনখেলাপীর তালিকা থেকে নাম বাদ দেয়ার জন্যে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন জায়গায় টাকা ঢালবে, এমনকি কেউ কেউ সব বকেয়া ঋন ও কর পরিশোধও করে দিতে পারে (হা হা হা...... অসম্ভব!!)।

আমি জানি আমার এই লেখাটা পড়ে (যদি কেউ পড়েন আদৌ) অনেকেই আমার মস্তিষ্কের বাস্তব অবস্থা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করবেন জানি। কিন্তু অনেক আগে Murphey's Law তে পেয়েছিলাম ""When rape is unavoidable, start enjoying it!!""। তো, আমাদের বর্তমান অবস্থা কি সেরকমই না??
ও হ্যাঁ.... আমার লেখাটি নিতান্তই আমাদের অসহায় অবস্থাকে কটাক্ষ করার উদ্দেশ্যে লেখা। বাস্তবে অপহৃত বা গুম হওয়া কেউ বা তার পরিবারের প্রতি আমার পূর্ন সমবেদনা আছে। আশা করি কেউ ভুল বুঝবেন না।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পানি লাগবে? পানি

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৬

আজকের নববর্ষের সেরা মোটিফটা দেখে ফেলেছি। যারা এই আইডিয়া নিয়ে এসেছেন তাদের স্যালুট ভাই। তোমরা মুগ্ধকে স্মরণ করেছো। যতদিন এই বাংলার বুকে মুগ্ধদের এভাবে স্মরণ করা হবে ততদিন পথ হারাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারত-বাংলাদেশে আলাদা দিনে বাংলা নববর্ষ কেন?

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৪

ভারত-বাংলাদেশে আলাদা দিনে বাংলা নববর্ষ কেন?


বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ আসে ইংরেজি মাসের ১৪ এপ্রিল। অন্যদিকে পশ্চিম বাংলায় ১৫ এপ্রিল উদযাপন করা হয় উৎসবটি। যদিও ১৯৫২ সন পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষ এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেকারত্ত্ব এবং দেশের রিজার্ব বারানোর এইটা একটা পথ হতে পারে…

লিখেছেন ফেনা, ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৬



বাংলাদেশে শ্রমিকদের মধ্যে অদক্ষ শ্রমিকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৮.৫ কোটি। এর মধ্যে প্রায় ৯৬% শ্রমিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নন, অর্থাৎ তারা অদক্ষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণতন্ত্র ও নির্বাচিত শব্দের নয়া ব্যাখ্যা দিলেন ফরিদা-মজহার দম্পতি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:১৭


বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের শুরুটা ছিল জনতার কণ্ঠে, এখন সেটা রূপ নিচ্ছে কিছু নির্দিষ্ট গলার একচেটিয়া লোকের তর্জন-গর্জনে । শুরুর দিকে বলা হয়েছিল, এটা অস্থায়ী সরকার—জনগণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকা আমাদের দেশে সরকার পরিবর্তনে সক্ষম হয় কেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৩৮



আমাদের দেশের সরকার সমূহ যখন সরকার পরিবর্তনের ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয় তখন বিশ্ব মোড়ল হিসাবে আমেরিকা আমাদের দেশের সরকার পরিবর্তন তাদের দায়িত্ব মনে করে। তারা এটা করে আমাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×