বাজিয়ে এলাম। বিশ্বাস করতে বাধ্য হবেন যে আপনি যখন নিজে বাজাবেন তখন আপনারও ভেতরের রক্ত টগবগ টগবগ করে ফুটবে। আপনার ভেতর থাকবে না কোন ক্লান্তি, বাজনার তালে তালে, অথবা কখনো কখনো পাশের জনের শব্দের জোর এর সাথে পাল্লা দিয়ে আপনি ঘন্টার পর ঘন্টা ঢোল বাজিয়ে যাবেন... টেরই পাবেন না কখন মধ্যরাত চলে গেছে! দেখুন না- এই আমারই মাথা ব্যাথা ছিল। বন্ধুদের অনুরোধে ক্যাম্পে চলে গেলাম। ওরা আমাকে পেয়ে খুবই খুশি; ওদের চেয়ে অবশ্য আমিই বেশি খুশি হই সবসময়। অন্তত বছরের এই সময়টা আমি ঢোল বাজানোর চানস পাই

। বাজনার তালে তালে মাথা কখনো এপাশ-কখনো ওপাশ, চুল ছুইয়ে গড়িয়ে যাওয়া পানি শূন্য লাফিয়ে পলাতক আসামী হয়। হাফিয়ে উঠলে অজানা অচেনা কিশোর মৃদু হেসে নিজের কোমরে প্যাচিয়ে ক্লান্ত বাদককে আরাম দেয়। আবার কিছুটা পথ বিরতি, আবার থামা, আবার বাজনা... ঢ্রিম ঢ্রিম ঢ্রিম... পুরো মহল্লা এক-ই সুরের তালে তাল তোলে...
ফিরে আসলাম, টের পেলাম পুরো শরীর টনটনে হয়ে আছে। ওরা আমাকে বেশ কিছুটা পথ এগিয়ে দিল, কালকেই শেষ যাত্রা। 3টায় সেখানে উপস্থিত থাকার লোভটা কোনমতেই ছাড়তে পারবো না আমি

, আপনাদের সবাইকে

ঢ্রিম ঢ্রিম ঢ্রিম রাজ্যে আমন্ত্রন জানালাম
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:১০