somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তোমার জন্য অপেক্ষা......

২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



অনেক দিন ধরেই কোন কিছু লেখা হয় না। আজ কত দিন পর লিখতে বসেছি সেও জানি না। কি লিখবো ভেবে পাচ্ছি না। এখন এমন দিন এসেছে যে, কবিতার দুটি লাইন ও মনে পরে না। কেন এমন হচ্ছে কিছুই জানি না। আর জানার ইচ্ছেও আমার জাগে না। কারণ টা যে অতি সরল কেননা, তুমি আজ আমার পাশে নেই।

তুমি পাশে নেই সে ব্যাথাও যেমন রয়েছে, ঠিক তেমনি রয়েছে তোমার থেকে আমার সীমাহীন দূরত্বে থাকার অসীম বেদনা। হয়ত বা তোমার সে উপলব্দি হচ্ছে না। কিন্তু আমি প্রতিনিয়ত সেই উপলব্দি করে যাচ্ছি। তোমাকে হারানোর পর আমি যেন ধৈর্য্যই হারিয়ে ফেলেছি। সব কিছু থেকে ধীরে ধীরে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছি। নিজের মাঝে নিজেকে গুঁটিয়ে রেখেছি। নিজের মনের ভিতরে সীমাহীন যন্ত্রণা বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছি। নির্জনতা আর নিঃসঙ্গতার মাঝে নিজেকে আবদ্ধ করে রেখেছি।

তোমার সাথে শেষ দেখাটা এতটা অপরিকল্পিত হবে আগে কখনো ভাবিনি। কেননা, তোমাকে দেখার পর আমি নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করেছিলাম। নিজের মধ্যে প্রাণ ফিরে পেয়েছিলাম। আমার চারিদিক উৎফুল্লতায় ভরে উঠেছিল। কিন্তু আমার সেসব আনন্দ এক নিমিষে নিরানন্দ হয়ে গিয়েছিলো যখন তুমি আমায় অবজ্ঞা করে ফিরিয়ে দিলে। তুমি আমায় ফিরিয়ে দাওনি দিয়েছিলে আমার সমর্পন কে। আমার বিশ্বাস, আমার স্নেহাশীষ ভালবাসা কে। এরপরে ও আমি হাসি মুখে সে সব বরণ করে নিয়েছিলাম। কেননা, তোমাকে আমি আমার আরাধ্য হিসেবে ভালবেসেছিলাম।

তোমার থেকে দূরে সরে ও আমি এক মুর্হুতের জন্য ও তুমি ব্যতীত অন্য কিছু চিন্তা করি নি। চিন্তা করার অবকাশ ও আমার ছিলো না। আমার মনের চারিদিক জুড়ে শুধু ছিলো তোমারি বিচরণ। তোমার সেই সুমিষ্ট কন্ঠের কথামালা, অপরূপ সৌন্দর্য্যে মন্ডিত তোমার মুখ অবয়ব, নীল সাগরের মত নিলীমায় ভরা তোমার দুটি চোখ, রক্ত জবার মত লোহিত তোমার ঠোঁট, ঘনকালো মেঘমালার মত গঠিত তোমার দীঘল কালো কেশ। সব কিছু মিলিয়ে এমনই এক অপরূপ গঠনে সুসজ্জিত তুমি, যেন আমার মনের অধিষ্ঠিত সেই দেবী। এসব কিছু ভিড়ে আমি অন্য চিন্তায় মগ্ন না থেকে বরং তোমার অপরূপের স্বপ্নে বিভোর থাকতাম।

এখন আমার এই চিন্তাধারা, কল্প-কল্পনা সব কিছুই যে অম্লান হয়ে গিয়েছে। তোমার প্রস্থানের অন্তিম সময় যতই ঘনিয়ে আসছিলো আমার মনের ভিতর ততই উৎকন্ঠা বেড়েই চলছিলো। কোন দিন ভাবিনি যে তোমাকে এভাবে চিরতরে হারাতে হবে। অবশেষে তোমার প্রস্থানের অন্তিম দিন যখন উপস্থিত হল, আমি আর পারলাম না। সত্যিই আর পারলাম না তোমাকে শেষ বিদায় জানাতে, তোমার সাথে শেষ দেখাটুকু পর্যন্ত করতে। এতটাই যে দুর্বল হয়ে পরেছিলাম নিজের বাকশক্তি টুকু হারিয়ে ফেলেছিলাম। শুধু নিরবে কেঁদে গিয়েছিলাম। আমার মনের ভিতর সীমাহীন যন্ত্রণার আগুন প্রজ্বলিত হচ্ছিলো। আমি নিজেকে এই বলেই সান্ত্বনা দিয়ে গিয়েছিলাম, তুমি ফিরে আসবে কোন একদিন। তখন দেখা হবে আবার কথা বলে দুজনার ঠিক সেদিন। প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে আমাদের দুজনার জমানো আলাপন, ভালবাসায় সিক্ত হয়ে উঠবে দুজনার দুটি মন।

পরিশেষে,
যতই কষ্ট হোক না কেন করে যাবো আমি তো অপেক্ষা,
তোমাকেই প্রাপ্তির দ্বারা শেষ হবে আমার এই প্রতীক্ষা।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০০
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মত প্রকাশ মানে সহমত।

লিখেছেন অনুপম বলছি, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৭

আওয়ামী লীগ আমলে সমাজের একটা অংশের অভিযোগ ছিলো, তাদের নাকি মত প্রকাশের স্বাধীনতা নাই। যদিও, এই কথাটাও তারা প্রকাশ্যে বলতে পারতেন, লিখে অথবা টকশো তে।

এখন রা জা কারের আমলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্নমর্যাদা!

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৩

রেহমান সোবহান একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তার বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ের দূরত্ব প্রায় ৬ কিলোমিটার। রেহমান সাহেব এমন একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন যা খুব নির্জন এলাকায় অবস্থিত এবং সেখানে যাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাঁঠালের আমসত্ত্ব

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

কাঁঠালের কি আমসত্ত্ব হয় ? হয় ভাই এ দেশে সবই হয়। কুটিল বুদ্ধি , বাগ্মিতা আর কিছু জারি জুরি জানলে আপনি সহজেই কাঁঠালের আমসত্ত্ব বানাতে পারবেন।
কাঁঠালের আমসত্ত্ব বানানের জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। অ্যাকসিডেন্ট আরও বাড়বে

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯



এরকম সুন্দরী বালিকাকে ট্র্যাফিক দায়িত্বে দিলে চালকদের মাথা ঘুরে আরেক গাড়ির সাথে লাগিয়ে দিয়ে পুরো রাস্তাই বন্দ হয়ে যাবে ।
...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×