somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অসমাপ্তঃ শুভ জন্মদিন

২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আজ জন্মদিন তোমার। শুধু তোমারি নয় আমার জন্যও বিশেষ একটি দিন। তোমায় কি উপহার দিবো না দিবো ভেবে কূল-কিনারা করতে পারছিলাম না। কিভাবে করব, আমি তো নিরেট অপদার্থ একটা। জাগতিক বিষয় সর্ম্পকে জ্ঞানবোধ নেই বললেই চলে আমার। কাকে, কিভাবে, কি উপহার দিলে সে খুশি হবে সে সাধারণ জ্ঞান টাই যে আমার নেই। শুধু থাকি তো নিজেকে নিয়ে আর তোমার স্বপ্ন দেখে নিজের দিন কাঁটাই আপন মনে।

অনেক ভেবে চিন্তে স্থির করলাম কিছুই দিবো না। হ্যাঁ, বলতে পারো এজন্য চিন্তা ভাবনার কি আছে। সোজা কথা দিবো না বললেই পারতাম তাই না। তবে তেমনটি কিছুই না। আসলে কি দিবো সেটা নিয়েই তো সন্দিহান এজন্য। জানি আমার দেয়া যে কোন কিছুই তুমি সাদরে গ্রহণ করবে। কিন্তু সমস্যা টা আমি দিবো টাই কি ঐটাই নির্বাচন করতে পারি নাই। সে যাই হোক, উপহার না হয় না দিলাম কিন্তু ভালবাসার কমতি তো হবে না কোনদিন।

এজন্য একটা উপায় বের করেছি। এখন বিরক্তির সুরে বলতে পারো যে কি এমন উপায় যা তোমার মনকে জয় করবে। আসলে তেমন বিশেষ কিছুই না। এই উদ্ভট নিউরনের কোন এক অজানা প্রান্ত থেকে উপায়টা এসেছে আর কি।

আমার কাছে তোমার আগমনী ছিলো দেবীর মত। আমার মনে দেবী রূপে অধিষ্ঠিত করেছিলাম তোমায়। মনের রূপমঞ্জুরী রূপে তুমি বসবাস করতে আমার মনের চারিপাশ জুড়ে। আমি ছিলাম তোমার পূজারী, যে তোমার ভালবাসার পূজায় মগ্ন থাকতাম সারাদিন। আমি ছিলাম তোমার বাধ্যগত। তোমার মুখের হাসি দেখার জন্য অধীর অপেক্ষায় থাকতাম আমি। কখন তোমার সেই গগণ ভুলানো হাসি দেখে পাগল হব আমি। তোমার সৌর্ন্দয্যের মন্ত্রমুগ্ধতায় আমি তো ছিলাম এমনিতেই বিমুগ্ধ।

তার উপরে, তোমার প্রেমময় অপলক দৃষ্টি যা আমার হৃদয়কে হরণ করেছে। তোমার অপার সৌর্ন্দয্যের কাছে আমি ছিলাম একবারে নগণ্য এক মানব। আমার ভালবাসাই ছিলো, তোমার প্রতি অর্ঘ্য নিবেদন। তোমার প্রতি আমার সর্মপণ ছিলো আমার অপার ভক্তি। আর তোমার থেকে প্রাপ্ত ভালবাসা ছিলো আমার কাছে প্রসাদস্বরূপ। তাই তোমার জন্মদিনে বিশেষ কিছু দেয়ার ছিলো না। যা ছিলো, আমার অর্ঘ্য, আমার সর্মপণ, আমার বিশ্বাস আর অসীম ভালবাসা।

তুমি যখন আসবে তখন তোমাকে একটা অনুরোধ করবো। জানি তো প্রথমেই তো ভিমড়ি খেয়ে উঠবে আমার অনুরোধ শুনে। বেশি না, তোমাকে বলব যে পা থেকে তোমার জুতা গুলো খুলে তোমার পদযুগল উপরে উঠিয়ে বস। তুমি বসার পর তোমার চরণে দুটি সাদা গোলাপ রেখে আমি আমার অর্ঘ্য নিবেদন করবো। হয়ত বা খানিক বিস্মিত হতে পারো। কিন্তু এর থেকে বেশি কিছু যে আমার দেয়ার নেই।

নিবেদিত ফুল গুলো ফুল নয়, আমার হৃদয়ের খন্ডিত টুকরো বলতে পারো। যা তোমাকে অর্পণ করলাম আমি। গ্রহণ করা বা না করাটা একান্তই তোমার ব্যাপার। আমি শুধু এতটুকু বিশ্বাস করি, আমি আমার সমস্ত বিশ্বাস, ভালবাসাকে একত্রিত করে তোমাকে এই অর্ঘ্য নিবেদন করেছি। গ্রহণ করে আমাকে ধন্য করো হে দেবী। অনুরোধ রইলো তোমার প্রতি।

তুমি বলবে এই সব আদিক্ষেতা দেখানোর কি দরকার ছিলো। আসলে জানো তো আমি একটু উদ্ভট প্রকারের মানব। আমার কাছে কোন উপায় ছিলো না যা দিয়ে দেবী তুষ্ট করবো তোমায়। আদিক্ষেতা কিনা জানি না, তবে এ দিয়েই আমি করবো তোমার প্রতি আমার পূজা সমাপন।

আমার মনের আরাধ্য দেবী তুমি,
তোমাকে নিয়ে মগ্ন থাকি আমি,
তোমার প্রতি রইল আমার ভালবাসার নিবেদন,
হে দেবী, তুমি সাদরে করিও গ্রহণ।

ভক্তি নিয়ে তোমার করেছি অর্ঘ্য নিবেদন,
সারাটি জীবন রবে আমাদের এই অটুঁট বন্ধন।
তোমার প্রতি রইলো আমার ভালবাসার নিবেদন,
হে দেবী তুমি সাদরে করিও গ্রহণ।

মনে বাজছে আজ প্রশান্তির শঙ্খ ঘন্টা,
তোমাকে আমি অর্পন করেছি আমার এই মনটা।
তোমার প্রতি রইলো আমার ভালবাসার নিবেদন,
হে দেবী, তুমি সাদরে করিও গ্রহণ।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৩৫
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মত প্রকাশ মানে সহমত।

লিখেছেন অনুপম বলছি, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৭

আওয়ামী লীগ আমলে সমাজের একটা অংশের অভিযোগ ছিলো, তাদের নাকি মত প্রকাশের স্বাধীনতা নাই। যদিও, এই কথাটাও তারা প্রকাশ্যে বলতে পারতেন, লিখে অথবা টকশো তে।

এখন রা জা কারের আমলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্নমর্যাদা!

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৩

রেহমান সোবহান একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তার বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ের দূরত্ব প্রায় ৬ কিলোমিটার। রেহমান সাহেব এমন একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন যা খুব নির্জন এলাকায় অবস্থিত এবং সেখানে যাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাঁঠালের আমসত্ত্ব

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

কাঁঠালের কি আমসত্ত্ব হয় ? হয় ভাই এ দেশে সবই হয়। কুটিল বুদ্ধি , বাগ্মিতা আর কিছু জারি জুরি জানলে আপনি সহজেই কাঁঠালের আমসত্ত্ব বানাতে পারবেন।
কাঁঠালের আমসত্ত্ব বানানের জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। অ্যাকসিডেন্ট আরও বাড়বে

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯



এরকম সুন্দরী বালিকাকে ট্র্যাফিক দায়িত্বে দিলে চালকদের মাথা ঘুরে আরেক গাড়ির সাথে লাগিয়ে দিয়ে পুরো রাস্তাই বন্দ হয়ে যাবে ।
...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×