somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সমাধান কি আত্মহত্যা

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সমাধান কি আত্মহত্যা

ইদানীং পত্র-পত্রিকায় চোখে পড়ে আত্মহত্যার খবর। আর এই আত্মহত্যার পথ যারা বেছে নিচ্ছে তাদের বেশিরভাগই নারী। আর এই আত্মহত্যার পরিবেশ তৈরি করে বখাটেরা, যারা ইভটিজিং-এর সঙ্গে জড়িত। ইভটিজিংকারীরা বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে। ইভটিজিং-এর কারণে অনেক মেয়ে স্কুলে যেতে পারছে না। বখাটে ও মধ্যবয়সীদের উৎপাতের কারণে তাদের পড়ালেখা বন্ধ হওয়ার উপক্রম। বর্তমানে ইভটিজিং বন্ধের প্রতিবাদে সারাদেশে প্রতিবাদের ঝড় বইলেও ইভটজিার/বখাটদেরে মাঝে এর প্রভাব পড়েনি।

এসব আত্মহত্যা আমাদের অপরাধী করে, শোকাহত করে। কিন্তু তার চেয়েও বেশি উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে আমরা কোনো চেষ্টাতেই এর লাগাম টেনে ধরতে পারছি না। শুধু শহরেই নয়, গ্রামে এর চেয়ে বেশি ঘটনা ঘটে কিন্তু সেটি সবার নজরে পড়ে না। এখনও মফস্বল এলাকায় মেয়েরা ধর্ষণের শিকার হয়। নিজের সম্ভ্রম নষ্ট হলে মানুষকে মুখ দেখাতে না পারায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। কিন্তু আত্মহত্যাই কি সমস্যার সমাধান?

স্কুলগামী ছাত্রীদের ওপর বখাটেদের নির্যাতন নতুন কিছু না। তবে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে এর মাত্রা খুবই বেশি। যারা আত্মহত্যা করছে তাদের খবর আমরা পেলেও এমন কত মেয়ে স্কুল-কলেজে যাওয়ার পথে বখাটে কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তার সঠিক পরিসংখ্যান আমাদের জানা নেই। সবচেয়ে ভাবনার বিষয় হচ্ছে, বখাটেদের নির্যাতনের শিকার স্কুলছাত্রীরা পরিবারের কাছ থেকে উপযুক্ত ব্যবহার পাচ্ছে না। উপরন্তু বখাটেদের উত্ত্যক্ত বা নির্যাতনের শিকার হয়ে মেয়েটি বাড়িতে ফিরে অভিভাবকদের কাছে নির্যাতনের কথা জানালে উল্টো পরিবারের লোকজন নির্যাতিত মেয়েটিকে গালমন্দ করে থাকে। স্কুলে যাওয়ার পথে একদিকে বখাটেদের নির্যাতন, অন্যদিকে পরিবারের নিন্দা মেয়েটিকে অসহায় করে তোলে। এতে পরিবারের কাছ থেকে নিরাপত্তা না পেয়ে মেয়েটি নিজেকে অনিরাপদ মনে করেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। মেয়েদের পেছনে অভিভাবকদের নজর থাকলেও তাঁরা সময়মতো মেয়েদের খোঁজ-খবর রাখেন না। আর তাই এ ধরনের দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

ইভটিজিং প্রতিরোধ বিষয়ে আইন পাস করলেই কেবল এটা বন্ধ করা সম্ভব নয়। বরং ওয়ার্ড, ইউনিয়ন এবং উপজেলা পর্যায়ে মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে। পোস্টার, ব্যানার নিয়ে র‌্যালি করলেই কি ইভটিজিং বন্ধ করা সম্ভব? আত্মহত্যাই সকল সমস্যার সমাধান নয়- এটা নারীদের বোঝানোর পাশাপাশি তাদের এসব প্রতিরোধে সক্ষম করে তোলাও জরুরি।
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিটিংয়ের জন্য কেন এত তোড়জোড়?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৫:১২



অর্থাৎ চীনের সহায়তায় লালমনিরহাটের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এয়ার বেইস চালুর চেষ্টা, তিস্তা মহাপরিকল্পনা চীনকে নিয়ে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা ও চীনে গিয়ে ডক্টর ইউনূসের সেভেন সিস্টার্স সম্পর্কিত বক্তব্য ভারতের ভালো লাগেনি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

কানাডার প্রধানমন্ত্রী ঈদের শুভেচ্ছা এবং বাংলাদেশে এর প্রতিফলন

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৬:১৮



গত বছরের মতো এবছর আর কানাডার প্রধানমন্ত্রী ঈদের শুভেচ্ছা জানাননি। রোজার শুরুতেও “রামাদান করিম” শুভেচ্ছাবচনটি কেউ পাঠায়নি। আগে যখন ট্রুডো ঈদের ঠিক আগে আগে সরকারি দপ্তর থেকে কানাডার মুসলিম... ...বাকিটুকু পড়ুন

অকুতোভয় বাসচালক মো. সোহেলকে পুরষ্কৃত করা হোক

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:১৭

অকুতোভয় বাসচালক মো. সোহেলকে পুরষ্কৃত করা হোক

ছবিসহ মিনি পোস্টারটি এআই দিয়ে তৈরিকৃত।

থেঁতলানো চোয়াল, ভেঙ্গে গেছে দাঁত, রক্তাক্ত অবয়ব—তবু ৪০ কিমি বাস চালিয়ে যাত্রীদের বাঁচালেন! এই সাহসী চালকই বাংলাদেশের নায়ক... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর পর যা হবে!

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:৪২



বেহেশত বেশ বোরিং হওয়ার কথা।
হাজার হাজার বছর পার করা সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। দিনের পর দিন একই রুটিন। এরচেয়ে দোজক অন্য রকম। চ্যালেঞ্জ আছে। টেনশন আছে। ভয় আছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফ্যাসিবাদ!

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:০৮



অবকাশের দিনগুলোর ছুটির ফাঁদে নিজেকে নতুন করে চেনাই-
আমার বহুদিনের চেনা শহর।
কতকিছু বদলে গেছে নাকি তারোধিক বদলে গেছে,
সুশীলের আবরণে অসুশীল মানুষ?
শৈশবে শহরটা যাদের কাছে জমা রেখে গিয়েছিলাম,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×