পালকের ভারে এখন আর বর্ণিল পেখম মেলে না
ময়ূর।
ময়ূর পেখম মেলে না তাই-
পাখিদের নবান্ন জমে না ধান কাটা ক্ষেতে
ঝিলের জলে কেবল বালিহাঁস আর অতিথি পাখির আর্তনাদ।
ময়ূর নাচে না তাই-
অসংখ্য উলঙ্গ শিশুর কোমরে অনৃত কবজ,
লাল পিরানের স্বপ্ন অঙ্কুরেই ম’রে যায়।
যূথচর শকুন পালিয়েছে সবুজ জমিন আর হঠাৎ পাওয়া প্রাচীন রাজ্য ছেড়ে
ফেলে গেছে তার অজস্র কলুষকলিল পালক আর
জন্মান্ধ-লোলুপ সংস্কৃতি!
ময়ূর পালক নিয়ে এখন আর খেলে না অবুঝ শিশু,
রাখে না বইয়ের পাতার ফাঁকে স্বপ্নাতুর কিশোরী।
কে দিল খেলার ছলে তাদের হাতে শকুন পালক!
সাধের ময়ূরপুচ্ছ ধুলোয় গড়াগড়ি খায়
কাদা-জলে হয় মাখামাখি
দ্যাখেনা কেউ!
শকুন পার্বণের নোংরা উঠোন হয়নি পরিষ্কার
এঁটো পাতা হয়নি ফেলা ভাগাড়ে,
কৈতববাদীরা লাল পিঁপড়া, ডেঁয়ে পিঁপড়া আর নীলমাছির মতো সে পাতায়
সেরেছে মহাভোজ!
আশ্রয় ফিরে পেয়েছে শকুনের ফেলে যাওয়া জন্মান্ধ-লোলুপ সংস্কৃতি!
অঙ্কুরেই হারিয়েছে ছন্দ ময়ূর কত্থক
ফুরিয়েছে ময়ূর পালকের প্রয়োজন
এখন যে হয় রাজা, সে-ই উদ্ধত মস্তকে ধারণ করে
শকুন পালকের প্রপঞ্চ শিরোভূষণ!
মিরপুর-৬, ঢাকা।
০৯.১০.১৪