এই কোপাকুপি প্রজেক্টের সাথে একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবি হত্যার একটা গভীর মিল আছে। পাকিস্তানি ও আলবদরদের টার্গেট ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, পেশাজীবি, বামপন্থা আন্দোলনের কর্মী, সাহিত্যিকরা। আজকের চলমান কোপাকুপি প্রজেক্টের টার্গেটও তারাই। যদি একাত্তরে ব্লগাররা থাকতো তবে নিশ্চিত ভাবেই তারাও ভিক্টিম হত।
নিশ্চিত পরাজয় জেনেও মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনীর দ্বারা ঘিরে থাকা আলবদরবাহীনি কেন একাত্তরে ঝুকি নিয়ে এতো বুদ্ধিজীবিকে হত্যা করলো তার যৌক্তিক কোন উত্তর আমারা আজও পাইনি। বুদ্ধিজীবি হত্যার বিচার হচ্ছে কিন্তু রহস্য উদ্ঘাটিত হয়নি!
ঠিক, আজকের চলমান এ সিরিয়াল কোপাকুপি হত্যাকান্ডের ভিক্টিমও ব্লগার, লেখক, কলামিস্ট, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, পেশাজীবি, অন্যধর্মালম্বী, বামপন্থা আন্দোলনের কর্মীরাই। এ হত্যা রহস্যও আমারা জানতে পারছিনা। যারা হত্যাকান্ড ঘটাচ্ছে তারা জাতিকে বা সরকারকে কি বার্তা দিতে চাচ্ছে তাও স্পষ্ঠ নয়!
তবে তৎকালিন সরকার যেভাবে বুদ্ধিজীবি হত্যাকারীদের গ্রেফতার করেও ছেড়ে দিয়েছিল, রহস্য উদ্ঘাটন না করে বরং তাদের আসামীদের পালানোর পথ করে দিয়েছিল, রহস্য অনুসন্ধানীরা অন্তর্ধানে যাওয়ার পরও কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি ঠিক তেমনি বর্তমান সরকারও এ হত্যাকান্ড বন্ধে কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। এর কারণ অনুসন্ধান করেনি। বরং সন্দেহভাজন আসামীকে পুলিশি হেফাজতে হত্যা করে এর প্রমান নষ্ট ও অনুসন্ধানকে প্রভাবিত করছে!
যদি বর্তমান হত্যাকারীরাও একাত্তরের হত্যাকারীদের মত মনেকরে, এভাবে কিছু মতবিরোধী বুদ্ধিজীবি ও পেশাজীবিদের হত্যা করে তারা জয়ী হবে তবে তারাও সেই পুরানো ভুলই নতুন করে করা ছাড়া কিছুই অর্জন করতে পারবেনা।
আমাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক !!
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০১৬ রাত ১১:১১