পাহাড়চূড়ায় শুভ্র বরফ, জমাট বাধা কষ্ট
গগণ পানে তাকিয়ে থেকে হচ্ছে জীবন নষ্ট।
মস্ত আকাশ মাথার উপর, আপণ করে চায়।
ছোট্ট একটা ঘর বানাবে, নেই কি কোন ঠাঁয়?
দিনের পরে দিন যে ফুরোয়, রাতের পরে রাত।
ইচ্ছেগুলোর অপূর্ণতায় আসে নতুন প্রভাত।
এলো এক স্বপ্ন সকাল, স্বপ্ন পূরণ পালা।
অরূণদূত নিয়ে এলো ইচ্ছেপূরণ মালা।
“নীল আকাশে ঘর বানানো, সেকি ভারী সহজ কাজ?
দিতে হবে পাড়ি তোমায় বন্ধুর পথের মাঝ”।
বললো কেঁদে অভ্রখণ্ড, “তোমার কথায় রাজি
নীলাঞ্জনার তরে পারি ধরতে জীবন বাজি”।
অরূনদূতের তপ্ত হাতে, বরফ হলো সলিল
স্রোতস্বিনীর দুকূল ছেপে বইছে ছলছল।
এখন তার অশ্রু জাগায় নদীর বুকে ঢেউ
অরূনদূতের রূপটি নিয়ে আসেনা তো কেউ।
দিনের পরে দিন যে ফুরোয়, রাতের পরে রাত।
ইচ্ছেগুলোর অপূর্ণতায় হচ্ছে নতুন প্রভাত।
আবার এলো স্বপ্নসকাল, স্বপ্ন পূরণ পালা।
অরূনদূত নিয়ে এলো ইচ্ছেপূরণ মালা।
“ইচ্ছে তোমার পূরন হবে, আকাশমাঝে ঘর
স্বপ্ল আয়ু অসীম সুখের ক্ষণস্থায়ী বর”।
বললো হেসে নদীর ধারা, “তাতেই আমি রাজি
নীলাঞ্জনার তরে পারি ধরতে জীবন বাজি”।
নীলাম্বরের বুকের মাঝে অভ্র হয়ে উড়ে
ভালোবাসার কাজল মেখে, ভালোবাসার তরে।
দিনের পরে দিন চলে যায় রাতের পরে রাত
ইচ্ছেগুলোর পূর্ণতায় হাসে নতুন প্রভাত।
স্বপ্নডানার মেঘে চড়ে প্রেমের ভেলা ভাসে
কাজল মেঘ উড়ে বেড়ায়, প্রেমের নীলাকাশে।
ক্ষণস্থায়ী জীবন যে তার, ক্ষণস্থায়ী সুখ
বিদায় বেলার ক্ষণ যে এলো, ব্যাথায় ভরা বুক।
ব্যাথা তার শ্রাবণ মাসে অশ্রু হয়ে ঝরে।
মৃত্তিকা তার সন্তানেরে নেয় যে আপণ করে।
এমনি করে কতো জল শুকালো, জানে কি তা আকাশ?
দ্বীর্ঘশ্বাসের শব্দ নিয়ে তা’ই কি বলে বাতাস?