গুগুল আসিবার পর দেশে বিভিন্ন সামাজিক অবক্ষয় ও নৈরাজ্য দেখা যাইতেছে। গুগুলের আবির্ভাবের পূর্বে কোন সমস্যার সমাধানের জন্য যুবসমাজ দেশের জ্ঞানীগুণী শমসের সম্প্রদায়ের পানে চাহিয়া থাকিতো। এখন দিন কিঞ্চিত পাল্টাইয়া গিয়াছে। দুই দিনের বৈরাগী ভাতেরে কয় অন্ন। গুগুল আসিবার পর ডেকোরাম ভঙ্গ করিয়া এইসব **ছাল ব্লগারেরা সমস্যা সমাধানের জন্য গুগুল গুগুল করে। এরা জানে না গুগুল কার কাছ থেকে সমস্যার সমাধান জোগাড় করে।
আসুন সম্মিলিত ভাবে শপথ লইঃ অদ্য হইতে গুগুল বর্জন কোরিলাম। এখন থেকে শুধু উৎস হইতেই সমস্যার সমাধান সংগ্রহ করিবো।
কৌতূহল জাগিতে পারে পাঁঠা সম্প্রদায় কি করিয়া প্রশ্নের সমাধান তৈরি করে ।
grass ভিতরে ডেল্টা নাইন টেট্রাহাইড্রল ক্যানাবিনল (THC) নামের উপাদান থাকে যার গঠন মস্তিষ্কে উৎপন্ন হওয়া কেমিক্যাল অ্যানান্ডামাইড এর খুব কাছাকাছি। এ কারণে THC সহজেই ক্যানাবিনয়েড রিসিপ্টরের সাথে সংযুক্ত হয়ে ব্রেনে সিগন্যাল পাঠাতে পারে।
কি সিগন্যাল পাঠায়?
অ্যানান্ডামাইড সাধারণ সিগন্যালই পাঠায় যা কগনিটিভ ফাংশন, মটর ফাংশন ইত্যাদি নিয়ন্ত্রন করে।
তবে THC সিগন্যাল মডিফাই করে। ফলে grass গ্রহনকারির মস্তিস্ক মনে করে সেখানে নতুন নতুন তথ্য, মেমরি ইত্যাদি তৈরি হচ্ছে। অর্থাত grass গ্রহনকারির মস্তিস্ক তখন জ্ঞানের কারখানা বা ল্যাবরটরি হিসেবে কাজ করে, অতিরিক্ত মাত্রায় নতুন নতুন জ্ঞান উৎপাদন হতে থাকে।
প্রশ্ন উঠিতে পারে- পাঁঠা সম্প্রদায়ের নিকট না যাইয়া নিজেরাই grass খাইয়া তথ্য তৈরি করিলে সমস্যা কোথায়?
সমস্যা এই যে সকলের শরীরে grass একভাবে ক্রিয়া করে না। তাছাড়া অ্যাডিকশনের সম্ভাবনাও উড়াইয়া দেয়া যায় না। এই কারণে গুনি পাঁঠা সম্প্রদায়, যাহারা grass-এ অভ্যস্ত হইয়া গিয়াছেন, তাহাদের নিকট হইতে তথ্য সংগ্রহ করা অধিকতর নিরাপদ।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মে, ২০২১ রাত ৯:৩১