somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পুরান ঢাকার কুট্টির খপ্পরে মিথিলা - ২য় পর্ব :|

০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেক আগে ১ম পর্বটি পোস্ট করেছিলাম সামুতে । পরের পর্বগুলো যে লিখবো সেই চিন্তা ছিল না । হঠাৎ করে প্রায় বছর খানেক পর মনে হলো গল্পটা একটু এগিয়ে নেওয়াই যায় । গল্পের প্রেক্ষাপট - একটি মেয়ের পিছনে লেগে যায় পুরাতন ঢাকার একটি ছেলে । সরাসরি রাস্তাতেই প্রপোজ করে বসে সে । ছেলেটির এহেন আচরণে মেয়েটি চিন্তায় পড়ে যায় । এরপর কি হলো ঠিক এটাই জানতে পারবেন ধীরে ধীরে পোস্ট হওয়া লেখাগুলোতে । তাই ধৈর্য্য ধরে লেখাগুলো পড়ুন আর উপভোগ করুন । সকলের সুবিধার্থে অনেক আগের সেই লেখাটিই ১ম পর্ব আকারে আবারও পোস্ট করা হলো আর সাথে ২য় পর্ব তো আছেই ।

পুরান ঢাকার কুট্টির খপ্পরে মিথিলা - ১ম পর্ব

পুরান ঢাকার ছেলের জ্বালাতন যে এমনভাবে শুরু হবে, সেটা ঘুনাক্ষরেও টের পায়নি মিথিলা । সবই তো ঠিক ছিল । সকালে কলেজ, কলেজ শেষ করে বাড়ি ফিরে এসে ফ্রেশ হয়ে কোনরকমে খেয়ে-দেয়ে ব্যাচ আর ব্যাচ শেষ করে বন্ধুদের সাথে সামান্য আড্ডাবাজী এরপর গল্প করতে করতে বাড়ি ফেরা ।

অনেক ছেলেই এই পর্যন্ত প্রপোজ করেছে ঠিকই কিন্তু তাদের কাউকেই নিজের জীবনে প্রবেশ করতে দেয়নি সে । সেই ছেলেগুলো মধ্যে অনেক স্মার্ট, শিক্ষিত, বড়লোকের ছেলেরাও ছিল, তারাই বরং পাত্তা পেলো না আর কোথেকে কোন পুরান ঢাকার ক্ষেত আকারে কথা বলা ছেলেটাই কিনা তার পিছু লাগলো । আচ্ছা, কোন সমস্যা করবে না তো ছেলেটা !! তার পড়াশুনার ক্ষতি করবে না তো ? এইসব কিছু পথে ভাবতে ভাবতেই বাড়িতে আসলো মিথিলা । পথে বান্ধবী পারুলের সাথেও কোন কথা হয়নি । পারুল অবশ্য তাকে অনেক সান্ত্বনা দিয়েছে, কিছুই হবে না, সব ঠিক হয়ে যাবে বলেছে কিন্তু মিথিলা জানে এমন ছেলেরা এত সহজে মেয়েদের পিছু ছাড়ে না । সব এতসহজে ঠিক হবে না, এটা মিথিলা ভালোই জানে ।

যাই হোক বাড়িতে এসেই ফ্রেশ হওয়ার জন্য ওয়াশরুমে চলে গেলো মিথিলা । বাড়িতে মা আর মেয়ে দুইজনই । মিথিলার বাবা সিলেটে পাথরের কন্ট্রাক্টরি করে । মিথিলা আর মিথিলার মা, মিসেস দেলোয়ারা ঢাকায় থাকে । ওয়াশরুম থেকে বের হয়েই মিথিলা খাবার টেবিলের দিলে আসতেই মিসেস দেলোয়ারার সাথে চোখাচোখি হয়ে গেলো তার । মিথিলাকে দেখেই তার মা বুঝে ফেললো কিছু একটা সমস্যা হয়েছে । তাই মেয়েকে জিজ্ঞেস করলেন মিসেস দেলোয়ারা,

- কি হয়েছে রে তোর ?
- কই, মা, কিছু না তো ।
- মায়ের সাথে মিথ্যা বলে কি কেউ পারে ? সত্যি করে বল তো তোর কি হয়েছে ?
- (মায়ের কথা শুনে মিথিলা হেসে দিলো) হ্যাঁ, আসলেই কেউ মিথ্যা বলতে পারে না । আমি সত্যিই বলছি মা, কিছু হয়নি । একটু টায়ার্ড লাগছিল, তাই ফ্রেশ হয়ে নিয়েছি । এখন কিছু একটা খাবো, এরপর শোবো ।
- কি !! এখনও ৮টাই বাজেনি । এখন শুবি মানে ? শরীর খারাপ ?
- না, মা, শরীর খারাপ না কিন্তু ভালো লাগছে না । আজকে দ্রুতই ঘুমিয়ে পড়বো । মনে হচ্ছে ঘুমালে একটু ভালো লাগবে ।
- আচ্ছা কি খাবি ? ভাত গরম করবো ?
- আচ্ছা, করো । কতক্ষণ লাগবে ?
- তরকারিটা ফ্রিজে রেখেছিলাম । সেটা আর ভাত গরম করতে বড়জোর ১৫ মিনিট । তুই বরং এই ১৫ মিনিট টিভি দেখ গিয়ে যা । হয়ে গেলে আমি ডেকে নেবো নে ।
- ঠিক আছে মা । তুমি খাবার গরম করো, আমি টিভি রুমে যাচ্ছি ।

মিথিলা যদিও বলেছে কিছু হয়নি কিন্তু মিসেস দেলোয়ারা জানেন কিছু একটা তো নিশ্চয়ই হয়েছে । কিন্তু তার মেয়ে মিথিলা ছোটবেলা থেকেই বড্ড চাপা স্বভাবের । নিজে থেকে কিছু না বললে জীবনেও ওর মুখ থেকে কথা বের করা এত সহজ না । মিথিলা পাশের রুমের দিকে যেতেই মিসেস দেলোয়ারা খাবার গরম করার দিকে মনোযোগী হলেন । মেয়ের মতিগতির দিকে খেয়াল রাখবেন এবার থেকে, মনে মনে এরকমই একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন তিনি ।

(বাকীটা পরবর্তী পর্বে)
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১:৪৪
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবি কখনো কখনো কিছু ইঙ্গিত দেয়!

লিখেছেন ডার্ক ম্যান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৭



গতকাল ভারতীয় সেনাপ্রধানের সাথে বাংলাদেশ সেনাপ্রধান এর ভার্চুয়ালি কথা হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের অফিসায়াল এক্স পোস্টে এই ছবি পোস্ট করে জানিয়েছে।

ভারতীয় সেনাপ্রধানের পিছনে একটা ছবি ছিল ১৯৭১ সালের... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রথম আলু

লিখেছেন স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯



লতিফপুরের মতি পাগল
সকালবেলা উঠে
পৌঁছে গেল বাঁশবাগানে
বদনা নিয়ে ছুটে



ঘাঁড় গুঁজে সে আড় চোখেতে
নিচ্ছিল কাজ সেরে
পাশের বাড়ির লালু বলদ
হঠাৎ এলো তেড়ে




লাল বদনা দেখে লালুর
মেজাজ গেল চড়ে।
আসলো ছুটে যেমন পুলিশ
জঙ্গী দমন করে!





মতির... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠা করা জরুরী?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০২



বিশ্ব ইসলামের নিয়মে চলছে না।
এমনকি আমাদের দেশও ইসলামের নিয়মে চলছে না। দেশ চলিছে সংবিধান অনুযায়ী। ধর্মের নিয়ম কানুন মেনে চললে পুরো দেশ পিছিয়ে যাবে। ধর্ম যেই সময় (সামন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি হাজার কথা বলে

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৫৩

আগস্টের ৩ তারিখ আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রগতি স্মরণী গিয়ে আন্দোলনে শরিক হই। সন্ধ্যের নাগাদ পরিবারকে নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি রেখে এসে পরদিনই দুপুরের মধ্যেই রওনা হয়ে যাই। আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×