পলাতক সাবেক স্বৈরাচারী নেত্রীর ছাত্র সমাজের উদ্দেশ্যে ভাষন দেবার খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার প্রতিক্রিয়ায় এদেশের ছাত্র সমাজ গতকাল রাতভর যে বিশৃংখল কাজে লিপ্ত হল , তা কোন সভ্যতার আওতায় পড়ে না। তবে এই বিশৃংখলার দায় সম্পুর্নভাবে অন্তবর্তী সরকারের। ৫ই অগাস্টে যা হয়েছে , তা এই ৬ই ফেব্রুয়ারীতে কোনভাবেই এক করে দেখার সুযোগ নাই। ৫ই অগাস্ট পতিত স্বৈরাচার বিদায়ের পরপর দেশে কোন সরকার ছিল না। স্বাভাবিক ভাবেই জনতা বিশৃংখল কাজে লিপ্ত হয়ে পড়েছিল। কিন্ত গতকাল রাতের ঘটনাকে অন্তবর্তী সরকারের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত তিন ভাড় উপদেষ্টা কিভাবে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন, দেখার খুব ইচ্ছা। নাকি বরাবরের মত তিন ছাত্র উপদেষ্টাকে এগিয়ে দিয়ে নিজেরা গর্তে গিয়ে লুকাবেন ?
অন্তবর্তী সরকার ক্ষমতা হাতে নিয়েছে ছয় মাস পেরিয়েছে। কিন্তু দেশের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি এখনো অত্যন্ত নাজুক। একদিকে বেড়েছে চুরি, ডাকাতি , ছিনতাই অন্যদিকে বেড়েছে গুপ্ত হত্যা । কিন্ত এসব ভয়াবহ অপরাধ নিয়ন্ত্রনে স্বরাস্ট্র উপদেষ্টার কোণ তৎপরতাই দৃষ্যমান নয়। আইন ও বিচার বিভাগ বর্তমানে পুরোপুরি নিষ্ক্রিয়। ছয় মাস পার হবার পরেও এখন পর্যন্ত কোণ হত্যাকান্ডের বিচার হতে দেখিনি আমরা। অথচ জুলাই- অগাস্ট হত্যাকান্ডের বিচার শুরু হলে পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের অপতৎরতা আপনাতেই বন্ধ হয়ে যেত। আইন উপদেষ্টার কাজ কি বিচার ব্যবস্থার দেখভাল না করে কেবল টক শো , সেমিনার অংশগ্রহন করা ? এবার আসা যাক পররাস্ট্র মন্ত্রনালয়ের বিষয়ে। গতকালের বিশৃংখলা পুরোপুরি এড়ানো সম্ভব হত , পররাস্ট্র মন্ত্রনালয় দ্রুত পদক্ষেপ নিলে। অনলাইনে গতকাল সকালে পার্শ্ববর্তী দেশে বসে আওয়ামিলীগ নেতা কর্মীদের নাসকতামুলক ষঢ়যন্ত্রের পরিকল্পনা ও পতিত স্বৈরাচারের ভাষন দেবার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেও পররাস্ট্র উপদেষ্টা মুখে তালা মেরে বসে ছিলেন !! একদিকে পতিত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার ভাষনও প্রচারিত হল অন্যদিকে উন্মত্ত ছাত্র জনতা বিশৃংখলায় মেতে উঠল !!!!!
প্রতিহিংসার রাজনীতি কখনই ভাল ফল বয়ে আনে না। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র সমন্বয়ক সহ সাধারন জনগনের জীবন ক্রমেই বিপদ সংকুল হয়ে উঠছে। জাতীয় নাগরিক কমিটির উচিত অবিলম্বে অন্তবর্তী সরকারকে জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসা। নির্বাচনের আগেই যে কোন মূল্যে দেশের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন ও বিচারিক কার্যক্রম শুরু করতে অন্তবর্তী সরকারকে বাধ্য করতে হবে। বিশৃংখল কর্মকান্ডে নিজদের জড়িত না করে , বৈষম্যিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের উচিত অন্তবর্তী সরকারের নিষ্ক্রিয় ও চুরান্ত অপদার্থ উপদেষ্টাদের অবিলম্বে অপসারনে জোরালো আওয়াজ তোলা। পদ ছাড়তে না চাইলে, টেনে হিচরে লাথি দিয়ে দিয়ে তাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:২৫