আমার বাস সাউথ ক্যরোলিনার চিপা একটা শহরে। সেখান থেকে যেখানে যেতে হবে সে জায়গার দূরত্ব ৭৫০ মাইলের মত (মাইলের হিসাব আমাদের দেশে প্রচলিত না, কিলোমিটারের হিসাবে ১২০০ কিলোমিটারের কিছু বেশি!) দিনাজপুর থেকে কক্সবাজারও এতদূর কিনা আমি জানি না। তো আমার সুপারভাইজার অভিনব আইডিয়া বের করলেন, যেহেতু তোমরা তিনজন যাবে, গাড়ি চালিয়ে চলে যাও, আর ওখানে তোমাদের গাড়ি লাগবেই। গুগল ম্যাপ দেখলাম, গাড়িতে গেলে সাড়ে বার ঘন্টা, আর হেঁটে গেলে সাড়ে নয় দিন।


বলা হয়নি, আমার সাথের দুজনই জন্মসূত্রে চাইনিজ। তবে টিপিক্যাল চাইনিজদের মত না, দুজনেই টাকা পয়সাকে কাগজ মনে করে, এর একজন আবার চাইনিজ ভাষার চেয়ে ইংরেজি ভাল পারে (এইদেশে ছোটবেলা থেকেই থাকার কারণে) যাই হোক, মন টন খারাপ করে রওনা দিলাম। তাও ভাল যে, পথে থামার জন্য একরাত সময় পাব। মাঝপথে (পথের মধ্যবিন্দু বের করতে অনেক সময় লেগেছিল আমার) কেন্টাকির লেক্সিংটনে থামব বলে ঠিক করলাম। লেক্সমার্ক প্রিন্টারের সাথে এই শহরের সম্পর্ক আছে বলে শুনেছি। খাওয়ার জন্য থামলাম নিউপোর্ট বলে এক জায়গায়। আমার বড়লোক সহযাত্রীদের পাল্লায় পড়ে বেশ কিছু টাকা খরচা হয়ে গেল। মনে মনে ঠিক করলাম, পথে তো কিছু করার নাই, কিন্তু পৌঁছানোর পর এরপর তোরা যেইখানে খাবি আমি আর সেইখানে খাব না।
পথে টেনেসির মাঝ দিয়ে যেতে হয়। রাস্তা দেখেই আমি মুগ্ধ! কয়েকটা ছবি দিলাম: (গাড়ি চলছিল, তাই খুব ভালো হয়নি ছবি। ক্যামেরার বয়স সাত বছরেরও বেশি, কাজেই বেশি কেরামতি করার চান্স ছিল না। )
লেক্সিংটনে পৌঁছার পর রাস্তা ভুলে হোটেলের বদলে আরেকজনের বাসায় চলে গেলাম,যাই হোক তারপর হাল ছেড়ে দিয়ে চলতে চলতে হোটেল খুঁজে পেয়েও গেলাম।
(চলবে? চলতেও পারে আবার নাও পারে)
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুন, ২০১১ রাত ৮:০৭