সামনে ২১ শে ফেব্রুয়ারি দেশের আনাচে কানাচে থাকা শত শত শহীদ মিনার
ফুলে ছেয়ে ছেয়ে যাবে। এমনিভাবে ২৬ শে মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর এই মহান দিনগুলিতেও ফুলে ছেয়ে ছেয়ে যায় বিভিন্ন স্মৃতিস্তম্ভ ।
আমি যা বলতে চাচ্ছি আমাদের দেশে বিভিন্ন স্কুল এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আছে বিভিন্ন স্মৃতিস্তম্ভ। বিশেষ বিশেষ দিনগুলিতে এগুলো ঝকঝকে হয়ে যায় ফুলে ছেয়ে ছেয়ে যায়।কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বাকীটা সময় স্মৃতিস্তম্ভ গুলো অযত্ন অবহেলায় পরে থাকে। প্রয়োজন না থাকায় হয়ত সেটা মানা গেল কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে এর অপব্যবহার করা হয়।
অনেক স্মৃতিস্তম্ভে দেখেছি নেশার আড্ডা বসাতে বা এটাকে একটা জলসা হিসাবে ব্যবহার করতে। এতে যেমন স্মৃতিস্তম্ভগুলোর অপব্যবহার করা হয় তেমনি বসতে গিয়ে বা অসচেতনতায় অনেক মিনার ভেঙ্গে ফেলা বা ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়।
কয়েকদিন আগে বাড়ি যাওয়ার সময় একটি স্কুলের শহীদ মিনারে দেখলাম কে যেন গরু বেধে রেখেছে। তেমনি অন্য একটি মিনারে দেখলাম রেলিং দেয়া ছিল যেগুলোতে অনেকে বসে আছে বসে থাকার কারনে রেলিং ভেঙ্গে যাচ্ছে। শুনেছি এখানে রাতে নেশাখোরদের আড্ডা বসে। পুলিশ পাহারা দিয়ে এগুলো রক্ষা করা যাবে না।
এই স্মৃতিস্তম্ভগুলো আমাদের গর্বের জাতীয় অস্তিত্বের প্রতীক আমাদের উচিত এগুলোর যথাযথ সংরক্ষণ করা। আইন করে এটা করা সম্ভব নয়।
নিজস্ব চেতনা এবং দেশপ্রেম থেকেই এই স্মৃতিস্তম্ভগুলোর পবিত্রতা আমাদেরকেই রক্ষা করতে হবে। এই স্মৃতিস্তম্ভগুলোর সাথে জড়িয়ে আছে রক্ত জড়ানো ইতিহাস তাই স্তম্ভগুলোর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা
প্রতিটি বাংলাদেশীর কর্তব্য।
আসুন আমরা স্মৃতিস্তম্ভগুলোর পবিত্রতা রক্ষা করার চেষ্টা করি।