somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফেনী জেলার দর্শনীয় স্থান

২১ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ফেনী জেলার দর্শনীয় স্থান ও পর্যটন এলাকা
জাহাঙ্গীর আলম শোভন

ইতিহাস থেকে দেখা যায় মধ্যযুগে লেখায় এ অঞ্চলের স্রোতধারা হিসেবে ‘‘ ফনী ’’ শব্দের উল্লেখ পাওয়া যায়। ষোড়শ শতাব্দীতে কবি কবীন্দ্র পরমেশ্বর উল্লেখ করেন: "ফনী নদীতে বেষ্টিত চারিধার, পূর্বে মহাগিরি পার নাই তার।" এবং সতের শতকে মির্জা নাথানের ফার্সী ভাষায় রচিত বাহরিস্তান-ই-গায়েবীতে ফনী শব্দটি পরিবর্তিত হয়ে ফেনী-তে পরিণত হয়।

ফেনীতে রয়েছে প্রাচীন সভ্যতার নির্দশণ। ফেনীর পূর্ব এলাকায় আদিকালে শিকারী মানুষের প্রথম পদচিহ্ন পড়েছিল। এর প্রমান মেলে ছাগলনাইয়াতে ১৯৬৩ সালে একটা পুকুর খননকালে পাওয়া নব্য প্রস্তর যুগের মানুষের ব্যবহৃত একটা হাতিয়ার বা হাতকুড়াল থেকে। ফেনী নদীর তীরে রঘুনন্দন পাহাড়ের পাদদেশে অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে বীর বাঙ্গালী শমসের গাজীর রাজধানী ছিল। তিনি এখান থেকেই যুদ্ধাভিযানে গিয়ে রৌশনাবাদ ও ত্রিপুরা রাজ্য জয় করেন। ফেনী ছোট জনপদ একটি জেলা হলেও গৌরব ও শৌর্য বীর্যে ফেনী বীর সন্তানদেরই জন্মভূমি।


বিজয় সিংহ দিঘী
বাংলার বিখ্যাত সেন বংশের প্রতিষ্ঠাতা বিজয় এ দীঘি খনন করেন বলে এর নাম বিজয়সিংহ দিঘী। মহিপাল থেকে ২ কিঃমিঃ দক্ষিণপুর্বে এই দিঘী অবস্থিত। এর আয়তন প্রায় ৩৭.৫৭ একর। দিঘীর চৌপাড় খুব উঁচু ও বৃক্ষ শোভিত । ফেনীতে এরকম বেশকিছু ঐতিহাসিক দিঘী রয়েছে। সকালের মৃদুহাওয়া, দুপুরের কোমল ছায়া কিংবা বিকেলের একখন্ড অবসর এখানে আপনার মনকে আলোড়িত করতে পারে। প্রাকৃতিক নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের পাশাপাশি একে কৃত্রিম উন্নয়ন এর ছোয়া দেয়া হয়েছে।

রাজাঝীর দীঘী বা লালদিঘী
ফেনী শহরের প্রাণ কেন্দ্রে এ দিঘীর অবস্থান। পুরান অনুযায়ী ত্রিপুরা মহারাজের প্রভাবশালী একজন রাজার কন্যার অন্ধত্ব দুর করার মানসে আজ থেকে ৭ শত বছর পূর্বে এ দীঘি খনন করেন । এজন্য এই দিঘীর নাম রাজার ঝির দিঘী বা রাজাঝির দিঘী, বর্তমানে এটা লালদিঘী নামেও পরিচিত। মোট ১০.৩২ একর এর পাড়েই রয়েছে ছোট একটা শিশু পার্ক। নগরের কোলাহলের মধ্যেই যেন এক খন্ড শান্তি।


শিলুয়ার শীল পাথর
ছাগলনাইয়া উপজেলায় শিলুয়া গ্রামে এক প্রাচীন শিলামূর্তির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়। এর শিলপাথরের কারণেই গ্রামের নাম হয় শিলুয়া। শিলামুর্তির গায়ে খৃষ্টপূর্ব দ্বিতীয় অব্দে প্রচলিত ব্রাক্ষ্মী হরফের লিপি রয়েছে। এর থেকে এখানে আর্য সভ্যতা বিকাশের প্রমাণও পাওয়া যায় । এরকম ছোট ছোট কিছু নির্দশন ফেনীকে অনন্য উচ্চতায় উচ্চসিত করেছে।

পাগলা মিয়ার মাজার
দরবেশ পাগলা মিয়ার প্রকৃত নাম সৈয়দ আমীর উদ্দিন(রঃ) । প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের প্রথম বৃহস্পতিবারে তার জন্মতিথিতে মাজারে ওরশ হয় । সেখানে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে হাজার হাজার লোক সমবেত হয় । তিনি ফেনীর মানুষের জীবন ও বিশ্বাসের ওপর ব্যাপক প্রভাব রেখে গেছেন । তিনি একজন সুফি দরবেশ ও ধর্মপ্রচারক ছিলেন।

জগন্নাথকালী মন্দিরঃ
‬ছাগলনাইয়া অবস্থিত। বাল্যকালে লালন কর্তা জগন্নাথ সেনের স্মৃতিতে এ মন্দিরও কালী মূর্তি নির্মাণ করেন।

চাঁদগাজী মসজিদঃ
‬মোগল আমলের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ছিলেন চাঁদগাজী ভূঞা। ছাগলনাইয়ায় চাঁদগাজী বাজারের কাছে মাটিয়া গোধা গ্রামে অতীত ইতিহাসের সাক্ষী হিসাব অবস্থান করছে এ মসজিদ। মধ্যযুগের রীতি অনুযায়ী নির্মিত এই মসজিদে ব্যবহার করা হয়েছে চুন, সুরকী ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইট। মধ্যযুগীর রীতিতে নির্মিত এই মসজিদের দেয়ালগুলো বেশ চওড়া । মসজিদের ছাদের উপর তিনটি সুদৃশ্য গম্বুজ রয়েছে। মসজিদের সামনে একটি কালো পাথরের শিলালিপি রয়েছে। এই লিপি অনুযায়ী এ মসজিদের নির্মানকাল ১১১২ হিজরী সন।

‪শমসেরগাজীর দীঘিঃ
বীর ‬শমসের গাজী তার মাতার নামে এ দীঘি খনন করলেও এটা এখন শমসের গাজীর দিঘী হিসেবে পরিচিত। এ দীঘি ছাগলনাইয়া উপজেলা সদরের নিকটবর্তী ভারতীয় সীমান্তের কাছে সোনাপুর গ্রামে অবস্থিত। ৪.৩৬ একর আয়তনের এ দীঘি ১/৩ভাগ ভারতীয় অংশে পড়েছে।


সোনাগাজী মুহুরী সেচ প্রকল্প
একসময় ফেনী নদীকে বলা হতো ফেনীর দু:খ। প্রতিবছর বন্যায় ভেসে যেত কৃষকের কষ্টের ফষল। তৎকালীন সরকারী উদ্যোগে এবং জাপানের সহযোগিতায় প্রথম ১৯৭৭-৭৮ অর্থ বছরে প্রকল্পটি শুরু হয় এবং ১৯৮৫-৮৬ অর্থ বছরে এই সেচ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হয়। সোনাগাজীতে অবস্থিত এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেচ প্রকল্প। সিডা, ইইসি, বিশ্বব্যাংকের অর্থ সহায়তায় জাপানের সিমুজু কোম্পানী ১শ ৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সেচ প্রকল্প নির্মাণ করে । এই প্রকল্প চালু হওয়ার পর ২০,১৯৪ হেক্টর এলাকায় সেচ সুবিধা এবং ২৭,১২৫ হেক্টর এলাকা সম্পুরক সেচ সুবিধার আওতায় আসে। বর্তমানে মুহুরী সেচ প্রকল্পকে ঘিরে গড়ে ওঠেছে বিনোদন ও পিকনিক স্পট । মুহুরীর জলরাশিতে নৌভ্রমণের সময় খুব কাছ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির হাঁস এবং প্রায় ৫০ জাতের হাজার হাজার পাখির দেখা পাওয়া যায় । বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এই প্রকল্পের কথা স্থান পেয়েছে।

ভাষা শহীদ আবদুস সালাম গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর
ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম ১৯৫২ সালে ঢাকায় তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের শিল্প বিভাগে পিয়নের চাকরি করতেন। ভাষা আন্দোলনের সময় তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের সম্মুখে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বিক্ষোভ প্রদর্শনকালে তিনি পুলিশের গুলিতে আহত হন এবং ১৯৫২ সালের ০৭ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন। ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। ভাষা শহীদ সালামে স্মৃতি রক্ষার্থে সালামনগরে প্রতিষ্ঠিত হয় 'ভাষা শহীদ আবদুস সালাম গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর। ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলায় এর অবস্থান।

নিহাল পল্লী, ফেনী
ফেনী থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রামের কাছাকাছি কসকা বাজার সংলগ্ন ফেণী নিহাল পল্রী। কাছের লোকদের একটু ঘোরার জায়গা। অথবা বড়োরা যদি কোনা ঘরোয়া পিকনিক বা চড়ুইভতি করতে চায় তাহলে এটা চলনসই। তবে অল্প পরিসরে হলেও আছে বাচ্চাদের ট্রেন। আছে একটি পুকুর। কয়েকটা বানর। প্রবেশমূল্য ২০টাকা। ছায়াসুনিবিড় গ্রামের পাশ দিয়ে আরেক ছায়াবীথিতল।
গ্রামীন ছায়াশীতল, নিরিবিলি পরিবেশে আরো আছে বিনোদন রাইড় যেমন, রেলগাড়ী, হাঁস পংখী নৌকা, ঘুরন্ত চেয়ার , মেরী গো রাউন্ড সহ পারিবারিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক পিকনিক এবং সামাজিক অনুষ্ঠান অায়োজনের সু-ব্যবস্হা অাছে।
রয়েছে বেশকিছু ভাষ্কর্য, ভাস্কর্যগুলো পেশাদারী শিল্পীরা তৈরী করেনি বলে দেখে অদ্ভুৎদর্শন মনে পারে। তবুও এ ধরনের একটি উদ্যোগের জন্য উদ্যোক্তাকে সাধুবাদ জানানো যায়।

দুধমুখা নলদিয়া মেলা ও দেওয়ান আবদুর রশিদ সাহেবের মাজার
সূদূর ইয়েমেন থেকে আসা ধর্মপ্রচারক দেওয়ান আবদুর রশিদ সাহেবের মাঝারকে ঘিরে প্রতিবছর ১লা মাঘ বা ১৫ জানুয়ারী থেকে মাসব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিলো এই মেলা। বিশাল এই মেলায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস থেকে সব কিছু পাওয়া যেত। এখানে কি বিক্রি হয় এটা বলার চেয়ে এটা বলা সহজ এখানে কি বিক্রি হয়না। আশির দশক থেকে ফার্নিচার বিক্রির জন্য এই মেলার প্রসিদ্ধি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। মেলার সময় দেশের বিভিন্নএলাকা থেকে ট্রাকভর্তি কাঠের ফার্নিচারের লাইন রাস্তায় কয়েক কিলোমিটার দূরে চলে যেত। গত ৪/৫ বছর ধরে এই মেলা তার জৌলুস হারিয়ে ফেলেছে। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ ও সেনবাগ এবং ফেণীর দাগনভূঞা এই তিন উপজেলার মিলনস্থলে অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় মুরুব্বীদের বক্তব্য অনুযায়ী তারা তাদের বাপ দাদার কাছ থেকে শুনেছেন এই মেলার বয়স হাজার বছরের কম নয়।

দুধমূখা পীর সাহেবের মাজার ও বাড়ী
মাওলানা ইছহাক (র) সারাদেশে যার অগনিত ভক্ত মুরিদান ছড়িয়ে দাগনভূঞা উপজেলার দুধমুখা এলাকায় ইয়াকুব পুর গ্রামে তার নিজ বাড়ীর দরজায় তিনি প্রতিষ্ঠা করে গেছেন মাদ্রাসা ও মসজিদ ও এতিমখানা। জনশ্রুতি আছে মাওলানা সাহেবের মৃত্যুর পর তাকে সমাহিত করার সাথে সাথে তার কবরটি এটি চৌচালা ঘরের মতো হয়ে উঁচু হয়ে যায়, অনেকের মতে আগের দিন দাফন করার পর পরের দিন এসে দেখেন যে এটি ঘরের মতো উঁচু হয়ে আছে এবং সেভাবেই তার সমাধি আজো আছে। অনেকেই নিজেকে এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বাপ দাদার কাছে শুনেছেন বলে বলে দাবী করেন।

সাদেক চেয়ারম্যানের বাড়ী
দাগনভূঞা উপজেলার ৫নং ইয়াকুব পুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম ছাদেক মিয়া তার গ্রামের বাড়ী দাগনভূঞা উপজেলার এতিমখানা বাজারের পাশে প্রসাদোপম বাড়ী নির্মান করেন। বাড়ীর মূল আকর্ষণ হলো এর তোরণ। মাঝখানে স্থান পেয়েছে আগ্রার তাজমহুলের অবিকল রেপ্লিকা আর দুপাশে রেয়েছে দুটি বোরাকমূর্তি। পিলারের নিচের দিকে রয়েছে দুপাশে দুটো ঈগল। এছাড়া রয়েছে কিছু নকশাও যা পেশাদার শিল্পীদের হাতের ছোঁয়য় অনন্যরুপ লাভ করেছে।এর নাম দেয়া হয়েছে মরহুম ছাদেক সাহেবের প্রয়াত স্ত্রীর নামে ‘‘আমিনা তাজ মহল’’। তোরনের পেছনে পথচারীদের বিশ্রাম এর জন্য রয়েছে বিশাল ছাতা। এই ছাতা আবার মোজাইক করা শান বাঁধানো পুকুর পাড়ে অবস্থিত। এখানে ২০ থেকে ৩০ জন লোক বসতে পারে। চেয়ারম্যান থাকা কালীন তিনি এখানে বসে সালিশ দরবারও করতেন।

চৌধুরী বাড়ি মসজিদ:
ফেনীর মহিপাল মোড় থেকে ফেনী-চৌমুহনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক হয়ে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দূরে রাস্তার ডান পাশে চৌধুরী বাড়ি মসজিদ। দাগনভূঞা উপজেলার ৪ নং রামনগর ইউনিয়ন এলাকায় অবস্থিত। সাবেক এমপি ও মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর গ্রামের বাড়ী এটি।

চারশত বছরের প্রাচীন কড়ই গাছ:
তৎকালীন মহকুমা প্রশাসক কবি নবীন চন্দ্র সেন এই গাছের ছায়ায় বসে কবিতা লিখতেন ।

কিভাবে যাওয়া যায়:
১: বিজয়সিংহের দিঘী: মহিপাল বা ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে রিকসা বা অটোতে করে ফেনী সার্কিট হাউসের সামনে। অটোতে ১০ টাকায় যাওয়া যায়।

২: রাজাঝির দিঘী: ফেনী শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। ঢাকা থেকে যেতে হলে স্টারলাইন বা সেবা পরিবহনে ফেনীতে নেমে লালদিঘী বললে যেকোনো রিক্সা বা সিএনজিতে যাওয়া যাবে। ভাড়া নেবে রিকসায় ২০ টাকা।

৩: মুহুরী প্রজেক্ট: ফেনী লালপোল হতে বাস যোগে সোনাগাজী উপজেলা সদর পর্যন্ত অত:পর সোনাগাজী উপজেলা সদর হতে বাস যোগে বাদামতলী পর্যন্ত অত:পর বাদামতলী হতে রিক্সা যোগে দর্শনীয় স্থানে পৌঁছা যায় অথবা ফেনী মহিপাল মোড় হতে সিএনজি অটোরিক্সা যোগে দর্শনীয় স্থানে যাওয়া যায় ।

৪। শিলুয়ার শীল পাথর: ছাগলনাইয়া উপজেলা থেকে রিকসা বা সিএনজিতে শিলুয়া গ্রামে যেতে হবে।

৫। চাঁদগাজী মসজিদঃ ‬ফেনী থেকে যেতে হবে ছাগলনাইয়া সেখান চাঁদগাজী বাজার

৬। ‪শমসেরগাজীর দীঘিঃ ছাগলনাইয়া থেকে যেতে হবে।

৭। ভাষা শহীদ আবদুস সালাম গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর: ফেনী শহর বা ফেনীর মহিপাল মোড় থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে ফেনী-নোয়াখালী সড়কের ডান পাশে মাতুভূঞা ব্রিজের কাছেই সালামনগর -এ ভাষা শহীদ আবদুস সালাম গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর আবস্থিত। ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কের মহিপাল মোড় থেকে মাত্র ১০টাকা বাস ভাড়া। সিএনজি চালিত রির্জাব অটোরিক্সায় ৫০ থেকে ৭০ টাকা।

৮। নিহাল পল্লী, ফেনী: ফেনী থেকে বারইয়ার হাট বা চট্টগ্রামগামী বাসে বা সিএনজিতে করে কসকা বাজার। কসকা বাজার থেকে পাঁয়ে হেঁটে যাওয়া যায়। লেমুয়া, ফেনী সদর।

৯: দুধমুখা নলদিয়া মেলা ও দেওয়ান আবদুর রশিদ সাহেবের মাজার : ফেনী থেকে বসুরহাট গামী বাসে উঠে দুধমুখা বাজারে নামতে হবে এখান থেকে রিকসায় বা অটোতে মেলায় যাওয়া যায়।

১০: দুধমূখা পীর সাহেবের মাজার ও বাড়ী: ফেনী থেকে বসুরহাট গামী বাসে উঠে দুধমুখা বাজারের আগে নতুন পুল নামতে হবে এখান থেকে রিকসায় এতিম খানা বাজার। মহিপাল থেকে সিএনজিতে করেও আসা যায়। ভাড়া নেবে ২০০ টাকা।

১১। সাদেক চেয়ারম্যানের বাড়ী: ফেনী থেকে বসুরহাট গামী বাসে উঠে দুধমুখা বাজারের আগে নতুন পুল নামতে হবে এখান থেকে রিকসায় এতিম খানা বাজার। মহিপাল থেকে সিএনজিতে করেও আসা যায়। ভাড়া নেবে ২০০ টাকা।

১২। চৌধুরী বাড়ি মসজিদ: ফেনী থেকে বসুরহাট গামী বাসে উঠে দাগনভূঞা নামতে হবে এখান থেকে রিকসায় বা সিএনজিতে যাওয়া যায়। অথবা নোয়াখালীগামী মানে সোনাপুর মাইজদি কোনো বাসে উঠে সেবারহাট বাজারে নেমে সেখান থেকে রিকসা বা সিএনজিতে রামনগর চৌধুরী বাড়ী যাওয় যায়।

কোথায় থাকবেন:
ফেনীতে থাকার জন্য রয়েছে সরকারী রেস্টহাউস ও বাংলো। এগুলোতে থাকার জন্য আগে থেকে যোগাযোক করতে হয়। তবে বেসরকারীভাবে ফেনীতে কয়েকটি হোটেল রয়েছে এগুলোতোও থাকা যায়।
ফেনী সার্কিট হাউস: ফেনী শহরের অদুরে বিজয়সিংহ দিঘীর পাড়ে অবস্থিত।
- এলজিইডি রেস্ট হাউস : ফেণী শহরে ফেনী কুমিল্লা রোডের পাশে ।
- পানি উন্নয়ন বোর্ডের রেস্ট হাউস মহিপাল থেকে ফেণী শহরের দিকে যাওয়ার পথে শহীদ শহীদুল্যাহ কায়সার সড়কের পাশে ।
- পল্লী বিদ্যু সমিতির রেস্ট হাউস: মহিপাল মোড় হতে প্রায় ১.৫ কি:মি: দক্ষিণে ঢাকা চট্টগ্রাম হাইওয়ের পাশে অবস্থিত।
- ফেণী শহরে বেশকিছু হোটেল রয়েছে। আরো ভালো পরিবেশে থাকতে চাইলে। ফেণীর নিকটবর্থী কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামে অবস্থিত ভিটা ওয়ার্ল্ডে থাকতে পারবেন। ফোন: ০১৭৩৩ ৩৩১ ৯৫৭.

পাদটিকা: গত ১২ ফ্রেব্রুয়ারী থেকে ২৮ মার্চ এই সময়ের মধ্যে আমি পায়ে হেঁটে তেঁতুল থেকে টেকনাফ ভ্রমণ করি। এই ভ্রমনকালে আমার কাছে মনে হয়েছে। ফেনী জেলার অনেক কিছুই আমাদের সামনে উঠে আসেনি। ভ্রমণ পরবর্তী সময়ে আমি এই লেখার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি। ( মুদ্রণ জনিত মানে কম্পোজ বা টাইপজনিত বানান ত্রুটি মার্জনীয়)
তথ্যসূত্র:
১: উইকিপিডিয়া, বাংলাপিডিয়া, ফেণী জেলার ইতিহাস, জেলা তথ্য বাতায়ন ও লেখকের সরেজমিন ভ্রমণ।

সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:১৮
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সংস্কারের জন্য টাকার অভাব হবে না, ড. ইউনূসকে ইইউ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এবং সফররত এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক পাওলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

তোমার বিহনে কাটে না দিন

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:০৩



অবস্থানের সাথে মন আমার ব্যাস্তানুপাতিক,
বলে যাই যত দূরে ততো কাছের অপ্রতিষ্ঠিত সমীকরণ।
তোমাকে ছেড়ে থাকা এতটাই কঠিন,
যতটা সহজ তোমার প্রতিটি চুল গুনে গুনে
মোট সংখ্যা নির্ণয় করা।
তোমাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবি কখনো কখনো কিছু ইঙ্গিত দেয়!

লিখেছেন ডার্ক ম্যান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৭



গতকাল ভারতীয় সেনাপ্রধানের সাথে বাংলাদেশ সেনাপ্রধান এর ভার্চুয়ালি কথা হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের অফিসায়াল এক্স পোস্টে এই ছবি পোস্ট করে জানিয়েছে।

ভারতীয় সেনাপ্রধানের পিছনে একটা ছবি ছিল ১৯৭১ সালের... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রথম আলু

লিখেছেন স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯



লতিফপুরের মতি পাগল
সকালবেলা উঠে
পৌঁছে গেল বাঁশবাগানে
বদনা নিয়ে ছুটে



ঘাঁড় গুঁজে সে আড় চোখেতে
নিচ্ছিল কাজ সেরে
পাশের বাড়ির লালু বলদ
হঠাৎ এলো তেড়ে




লাল বদনা দেখে লালুর
মেজাজ গেল চড়ে।
আসলো ছুটে যেমন পুলিশ
জঙ্গী দমন করে!





মতির... ...বাকিটুকু পড়ুন

×