আমরা অনেকেই কথা বলা বেশ পছন্দ করে থাকি। চিবিয়ে চিবিয়ে রশিয়ে রশিয়ে উপমা দিয়ে কথা বলা, খুঁচিয়ে কথা বলা, উদাহরণ ও নমুনা দিয়ে কথা বলা আমাদের অনেকেরেই অভ্যাস। বেশী কথা বলা একটি বদ অভ্যাসই বটে। এই বদ অভ্যাসের দরুন কখনো কখনো পরিবারে, সমাজে, ব্যক্তিপর্যায়ে, অফিসে, কর্মস্থলে ঝুট-ঝামেলা সৃষ্টি হওয়া বিচিত্র কিছু নয়। আজকের সমাজে হরহামেশা পারিবারিক অশান্তি ও কলহের মূলেও রয়েছে অতিরিক্ত অপ্রয়োজনীয় বাকবিতন্ডা ও বেফাস কথা বার্তা যা চূড়ান্ত পর্যায়ে সংসারের ভাঙ্গন সৃষ্টিতে সহায়ক হচ্ছে। অপ্রয়োজনে কথা বলা কিংবা অপ্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে আলোচনা এড়িয়ে যাওয়াই এই সকল সমস্যা হতে পরিত্রান পাওয়ার একমাত্র উপায়। আমাদের দেশের জনগণের সীমাহীন দুর্ভোগ ও অশান্তির পিছনেও দায়ী রয়েছে রাজনৈতিক নেতাদের অহেতুক অতিরঞ্জিত বেফাস কথাবার্তা। তাহলে আসুন জেনে নিই কিছু কৌশল যা আপনাকে যে কোন অপ্রিতিকর পরিবেশ-পরিস্থিতি হতে পরিত্রান দিতে সহায়ক হবে।
► মিথ্যা বলা, কাহারো গিবত করা, কাহাকেও অভিশাপ দেওয়া, নিজের বড়াই নিজে করা, অযথা কাহারো সাথে তর্ক বাধিয়ে দেওয়া, একজনের কথা অন্য জনকে বলা (ছুগলখুরী), হাসি-ঠাট্টার ছলে কারো ব্যাপারে এমন কথা বলা যাতে সে ব্যক্তি মনে কষ্ট পায়- সবই বেশী কথা বলার ফলাফল। এ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো মুখ সামলে কথা বলা।
► মুখ বন্ধ রাখার একমাত্র তরিকা হলো কোন কথা বলার আগে তা ভেবে বলা যে- কথাটি কতটুকু দরকারি বা গুরুত্ববহ।
► ফলাফল চিন্তা করে কথা বলা। নিছক হাসি-ঠাট্টায় সময় না ব্যায় করা উচিত।
► কথাটি যদি অশ্লিল হয় বা গোনাহের হয় তাহলে তা না বলা।
► স্রেফ কথার কথা যেটি, সেটি না বলা।
► কর্মস্থলের কোন সদস্যদের কথা পরিবারের সদস্যদের সাথে না বলাটাই ভাল।
► ছওয়াবের কথা অবশ্যিকভাবে বলা তবে যতটুকু দরকার ততটুকু-অতিরঞ্জিত বা নিজের মত চাপিয়ে না দেয়া।
► একন্ত জরুরত না হলে কারো সাথে দেখা সাক্ষাত না করা। লোকসমাজে কম মেশা।
উপরের কথাগুলো আমল করা সম্ভব হলে একসময় অতিরিক্ত কথা বলার প্রতি নিজেরই ঘৃণা সৃষ্টি হবে। বেশি কথা বলা কখনোই ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনে না এই বোধ সৃষ্টি হোক সবা র মাঝে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:১৩