এইচএসসি পাস করে কিংবা গ্র্যাজুয়েশন করে ভাবছেন undergrad or post-grad এর জন্য বিশ্বের অন্যতম ধনী-সুখী-সমৃদ্ধশালী অর্থনৈতিকভাবে বলিষ্ঠ দেশ কানাডা, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন কিংবা সুইজারল্যান্ড থেকে ডিগ্রিটা নিয়ে নিজের ক্যারিয়ারকে সমৃদ্ধ করবেন। ইন্টারনেট ঘেঁটেঘুটে অনেক তথ্য সংগ্রহ করলেন। পত্রিকার পাতায় কনস্যালট্যান্সি ফার্মের বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে ধরনা দিলেন অফিসে অফিসে। গাঁটের টাকা-পয়সাও খরচ হয়ে গেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে Acceptance letter বা I-20 বা Offer of Admission আসার কোন লক্ষণ নেই। এদিকে সেশন প্রায় দরজার সামনে। কী করবেন, ভাবতে পারছেন না। নিচের ১০টি হটকেক Top-১০ টিপস মনে রাখুন। কাজে আসবে।
১। পাসপোর্ট তৈরি করুন নিখুঁতভাবে। পাসপোর্টের Signature ছবি যেন সুন্দর ও আন্তর্জাতিক মানের হয়। Valid Address লিখতে ভুলবেন না।
২। সব Certificate, Marksheet, Birth Registration সহ যাবতীয় সব উড়পঁসবহঃং ইংরেজিতে অনুবাদ করে রাখুন। প্রয়োজনে Transcript তুলে রাখুন।
৩। পরিবারের আর্থিক সামর্থ্য ও সহযোগিতার লেভেল বুঝে দেশ, বিশ্ববিদ্যালয়, কোর্স ও বিষয় নির্বাচন করুন। কোন কনসালট্যান্সি ফার্মের কাউন্সেলরের মিষ্টি কথায় তুষ্ট হয়ে হুট-হাট করে সিদ্ধান্ত নেবেন না। প্রয়োজনে অভিজ্ঞ ক্যারিয়ার কনসালট্যান্টের পরামর্শ নিন।
৪। Statement of Purpose লেখার ওপর নির্ভর করে আপনার Offer Letter ইস্যু হবে কী না? কিংবা আপনি Scholarship পাবেন কী না? তাই ভাল SOP লেখার জন্য অভিজ্ঞ ব্যক্তির সহায়তা নিতে পারেন।
৫। বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের লেকচারার/প্রফেসরের কাছ থেকে জবভবৎবহপব খবঃঃবৎ নেয়ার সময় প্রয়োজনীয় তথ্য যথাযথভাবে লিখিয়ে নিন, যা আপনার ভর্তিকে Confirm করতে অনেক গুরুত্ব রাখে।
৬।IELTS, TOFEL, GRE, SAT, GMAT-এ ভাল Score এবং Extra Qualification Certificate না থাকলে অযথা বিদেশে পড়তে যাওয়ার শখ থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। কিংবা মাথা থেকে এসব চিন্তা ঝেড়ে ফেলে দিন। যারা মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে আপনাকে বিভ্রান্ত করছে, তাদের আপনি পরে খুঁজে পাবেন না।
৭। ভিসার হাইকমিশন বা দূতাবাসে ফাইল Submit করার ব্যাপারে খুব সতর্ক হন। যা যা সত্য ও সঠিক তাই লিখুন। কোন তথ্যই গোপন রাখবেন না। মনে রাখবেন একটা মিথ্যা তথ্য আপনাকে অনেক সুযোগের দরজা খোলার পথ বন্ধ করে দেবে। আর একটা প্রতিষ্ঠানের দরজা খুলে দেবে, তা হলো ‘কারাগার’।
৮। Embassy বা High Commission এ Visa Application করার সময় Financial Statement এবং Cover Letter এমন ভাবে Present করবেন, যাতে Visa Consular আপনার আর্থিক সচ্ছলতা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং শিক্ষা শেষে আপনার দেশে ফিরে আসার ব্যাপারে একটা Crystal Clear ধারণা পেতে পারেন। কারণ, Visa Consular দেখতে চায় বিদেশে পড়তে গিয়ে আপনি নিজের পরিবারকে যেমন আর্থিক অনটনে রেখে যাননি এবং সেখানে গিয়ে আপনার নিজেরও অর্থাভাবে লেখাপড়া বন্ধ হবে না। এসব বিষয়ে বিদেশীরা খুবই যত্নবান ও দায়িত্বশীল।
৯। যদি নিতান্তই স্টুডেন্ট কনসালট্যান্সি ফার্মের ওপর নির্ভর করতেই হয়, তাহলে ওই প্রতিষ্ঠানের সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নিন। যেমন_ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার Career History, Success story প্রতিষ্ঠানের বয়স, সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের সঙ্গে চুক্তিপত্র, Recently Visa হয়েছে এমন কারও ব্যাপারে তথ্য ইত্যাদি।
১০। বন্ধু বিদেশ গেছে বলেই যে আপনাকে যেতে হবে, এমন কোন চুক্তি করে নিশ্চয়ই পৃথিবীতে আসেননি। তাই অন্য কারও প্ররোচনায় কিংবা বিজ্ঞাপনে বিভ্রান্ত না হয়ে পরিবারের অভিজ্ঞ, শিক্ষিত, প্রবাসী আত্মীয় সবার সঙ্গে খোলামেলা কথা বলে বাস্তব ও যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নিন।
উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে গিয়ে দেশের বেসরকারি ও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ হাতছাড়া করবেন না। পরে না পারবেন বিদেশে ভর্তি হতে কিংবা ভিসা পেতে, না পারবেন দেশে পড়াশোনা করতে!! অতএব হাতে যথেষ্ঠ সময় নিয়ে সেশন বুঝে অঢ়ঢ়ষু করুন। উচ্চশিক্ষা শেষ করে দেশে ফিরে দেশের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করুন।
তথ্যসূত্র দৈনিক সংবাদ