সর্বত্র, ঠাকুরের বাণী। আমাদের স্থান, তাই, স্যানাটোরিয়ামে। ভাগ্যিস বাবা একটা তেজপাতাগাছ লাগিয়েছিলেন উঠোনে। আজ, পাতা ঝরে পড়ছে, যেন বাণী-বিরোধিতা। আমি ভাবি, অজগর এতদূর কী করে এলো? বড় খোঁপাওয়ালী একটা মেয়ে আমায় সেক্স-ট্যুরিজম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিল, আমি সর্পপ্রবন্ধ নিয়ে মগ্ন থাকি, তার বাইরে কিছু জানি না। কত রকমের বিষ, ফণা ও সৌন্দর্য হয়--- সাপের সংসার ও কাব্যতত্ত্ব হয়--- যেসব কত অনধিগম্য রইল। সন্ধেবেলা লোহারপুলে গিয়ে দাঁড়াই, কাছেই উলুবন। পোর্টে, আজ রাতেই নাকি ভিড়বে মার্কিন রণতরী। আমি কি কখনো নিখুঁতভাবে আঁকতে পারবো ড্রাগন? অনেক রাতে, সুর করে বই পড়ে নির্ঘুম ক্রীতদাসেরা। আজ আমার পুস্তক ঐ ধুম্ররাশি, আজ আমার পথ পরিহাসময়।
***
তোমরা ব্লাশফেমি, তারাবিদ্যা আর তপতী নিয়ে থাকো। অনন্তের, মোমপতঙ্গের অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরব একদিন। নাশপাতির গায়ে তখন ফুটে উঠবে কোনো মৃত সৈনিকের অপ্রেরিত চিরকুট। জলপাই-জঙ্গল থেকে ডাক দেবে ম্যামথেরা, ‘এসো হে অদ্ভুত নটবন্ধু---
সে-রাতে চাঁদের রক্তে মেখে যাব শুধু দণ্ডিত দু-জন।