বিজেত্রীর ঘরে আমি যাইনি সেদিন, লোকে তবু
আমাকেই বেরুতে দেখেছে। কি করে বোঝাব আমি
গোলাপ ও আফিমের কোনো তৃতীয়-উদয়-পথে
হেঁটে গেছি এক স্বপ্নরিক্ত নটরাজনের মতো।
সেই হাড়-কঙ্কনের পথে, প্রভু, ভেবেছি বিস্ময়ে :
রঘু ডাকাতের মতো হয়ে যাই কেন যে আমরা
ওষ্ঠ চুম্বনের লগ্নে! মাটিতে অর্ধেক ডুবে থাকা
রথের চাকার গোঁয়ার্তুমি কীভাবে শরীরে জাগে!
নায়িকা-চূর্ণের রাতে, মৃত বেলফুলের ভেতর
তার গাঢ় কেশগন্ধ আমি পাই। বিজেত্রী বলেছে :
কাছে না এসেও এইভাবে নিকটে থাকার পথ
উন্মুক্ত রয়েছে, এইভাবে বাক-বিভূতির দেশে
যখন তখন যেতে পারে কেউ, সকল সম্পর্ক
হয় খরতর নদী-- সময়ের সুতো কেটে চলে...