আমার কাছে মনে হয়না সরকার চোরাগোপ্তা হামলা এবং চাপাতি বাহিনীর বিষয়ে একদিনের জন্যও উদাসীনতা দেখিয়েছে। আমার মনে হচ্ছে, সরকার জার্ম সোর্স বা পয়জনিং পয়েন্ট নিয়ে কিছু করতে পারছে না।
সরকার কেন আম জনতাকে এই ফেরোসাস জার্মসদের সনাক্ত বা সোর্সিং করার জন্য কোন ধারনা দিচ্ছে না? যেকোন ভাবে আক্রান্ত হলে, প্রতিবেশীরা কিভাবে সাহায্য করতে পারে বা দ্রুততম প্রাথমিক চিকিৎসাই বা কি হতে পারে.. এমন কিছু ব্যাসিক বিষয়। যেমন, সরকার বাড়ীআলাদের পরামর্শ দিয়েছেন, ভাড়াটিয়া্ উঠানোর বিষয়ে এবং কর্মকান্ড সম্পর্কে বিশেষ সতর্ক থাকার জন্য। সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসন, মিডিয়া সম্মলিত প্রয়াসে সচেতনতা অবশ্যই বেড়েছে। এই বৃদ্ধি যদি ১% ও হয়, তাও জার্মসদের করিডোর মোর ন্যারো হয়েছে।
সিম নিবন্ধন শেষ পর্যন্ত করুক না করুক, দেশের প্রায় সকলেই জানে যে নিবন্ধন করতে বলা হয়েছে। সরকার, ফোন অপারেটর কম্পানির পারস্পরিক সহযোগিতা। কিন্তু; এই নিবন্ধন ইস্যু যত সহজে আলো'র মুখ দেখেছে তত সহজ ব্যপারটি হত না যদি জঙ্গীগোষ্ঠী জামাত শিবিরের গুপ্তহত্যা বন্ধ বা মনিটরিং বা গ্রেফতার করার জন্য আনরেজিস্টারড সিমের কথা প্রায়ই শুনেছি। মেনে নিয়েছি। নাহলে, ১ কপি ছবি নিয়ে তৃতীয় বারের মত একই সিমের মালিকানা নিশ্চিত করতে হচ্ছে্!! কমপক্ষে একদিন হইলেও ফেবু বা ব্লগে বকবক করতাম।
গোয়েন্দা নজরদারী, ধারাবাহিক অভিযানের ফলে, জার্মগুলো ব্যপক বিস্তৃতি পায়নি। কিন্তু আমাদের একই সমাজে আমাদের সাথেই বসবাস করছে ওরা। ভাবলেই লোম শিউড়ে উঠে
প্রিয় সরকার, দয়া করে জানোয়ারগুলোর গতিবিধি, চলাফেরা, কথাবার্তার ধরন বা অন্য যেকোন উপসর্গ যা থেকে আমরা সন্দেহ করবো বা সাবধান হব বা সাবধান করবো বা অাইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করতে পারবো; এ ধরনের তথ্যসমৃদ্ধ ভিডিও চিত্র ও অন্যান্য বার্তা প্রচার করার ব্যবস্থা গ্রহন করেন। প্রতিবেশী বা পরিবারের অন্যান্য সদস্য বা আশেপাশের মানুষগুলো কিভাবে সংকট মুহূর্তে ভিকটিমস কে সহযোগীতা বা হত্যাকারীদের প্রিভেন্ট করতে পারে এমন কিছু প্রাথমিক তথ্যের টিভি, প্রেস ও অনলাইনে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থার বিষয়টিকে ও গুরুত্বপূর্ন মনে হচ্ছে।
আমি একটা টিপস দিয়ে শেষ করছি, নয়া-দিগন্ত, সংগ্রাম পত্রিকার কোন পাঠক যদি আপনার এলাকায় দেখেন এবং এলাকার আগুন্তক মনে হলে একমূহুর্ত বিলম্ব না করে পাশের জনের সাথে সন্দেহের বিষয় শেয়ার করেন, দেন ফারদার প্রসিড।
শুভ হোক আগামী ভোর, নিরাপদ ও আতঙ্কমুক্ত কাটুক প্রতিটি প্রহর।