অনেক অগে থেকেই এদেশের মানুষ ব্যবসা বান্ধব। পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে মানুষ ব্যবসা করার জন্য এই অঞ্চলে এসেেছে। ব্যবসা করেছে, শাসন করেছে। অনার্য, অার্য, পাল, সেন........মুঘল, নবাব, ইংরেজ সহ অনেকে। মসলিন, মসলা, ধান, পাট, জহরত নিয়ে আমাদের যেমন সমৃদ্ধি হয়েছে তেমনি নিল চাষে বাধ্য করে আমাদের নিস্পোষিত ও করা হয়েছে। যাই হোক আমি গত কয়েক দশকে এই অঞ্চলের সবচেয়ে লাভজনক এবং নতুন ধরনের বিকাশিত ব্যবসা সম্পর্কে আলোকপাত করতে চাচ্ছি।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে জামায়াত এদেশে ধর্ম ব্যবসা স্থায়ী করার চেষ্টা করে। পরাজিত পাকিস্তানি হানাদারদের সাথে প্রতিষ্ঠিত ধর্ম কারবারীরা ব্যবসা গুটিয়ে পালায় । স্বাধীন হ্ওয়ার পর অবশিষ্ট ধর্ম ব্যবসায়ী, তাদের সংস্পর্শে থেকে কিছু নতুন লোক পেশা বদলে সময়োচিত এক নতুন ব্যবসা (রাজনৈতিক আদর্শকে পণ্য হিসেবে ব্যবহার) চালুর চেষ্টা চালান এবং অল্পদিনেই ব্যপক লাভজনক দেখে ব্যবসায়ী সংখ্যা হু হু করে বেড়ে যায়। নোংরামীর এই কালো অধ্যায়ের বিস্তৃতি রোধ সহ সওদাগরদের বিভিন্ন অপকর্মের দমন করতে গিয়ে নৃ:শংস ভাবে সপরিবারে হত্যাকান্ডের শিকার হন বঙ্গবন্ধু। তার মৃত্যুর মাধ্যমে আদর্শের ব্যবসার সকল বাধা অপসারিত হয়।
এই সওদাগরগঙ বঙ্গবন্ধুকে এতভয় পেত যে, অনেক অনেক লাভজনক হ্ওয়া সত্বে্ও বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরও তাঁর আদর্শ নিয়ে ব্যবসা করার সাহস করে নাই। বরং বঙ্গবন্ধুর কাউন্সিলর, ইনভেস্টর, ডেলিগেটর, এডমিন বডি, ডিস্ট্রিবিউটরদের হত্যার মাধ্যমে সবচেয়ে লাভজনক ও প্রতিষ্ঠিত আদর্শকে ধ্বংশ করার চেষ্টা করেন সওদাগররা। তারপর নিজেরাই বাজারে নতুন নতুন ব্রান্ডের আদর্শ তৈরী এবং বাজারজাত করা শুরু করেন। কিন্তু এগুলোর গুন ও মান এত খারাপ ছিল যে, কোন ব্যান্ডই বেশিদিন মার্কেটে স্থায়িত্ব পাচ্ছিল না!
এই খারাপ বাজার পরিস্থিতির উন্নতি ্ও স্থায়ী নিয়ন্ত্রনকল্পে নামকরা ধর্মব্যবসায়ী ও আদর্শের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে যৌথমূলধনী কারবার প্রতিষ্ঠা মাধ্যমে একটি আনকোরা ব্রান্ডের আদর্শ বাজারজাত করেন জিয়াউর রহমান। তার এই নতুন ব্রান্ড একই সাথে প্রতিষ্ঠিত ধর্মব্যবসায়ীদের এদেশে পূনরায় ব্যবসার সুযোগ করে দেয় এবং প্রতিষ্ঠিত আদর্শের ব্যবসায়ীদের বড় একটি অংশ ঐক্যবদ্ধ আত্নপ্রকাশে ছোট ব্যবসায়ী এবং মধ্যম কারবারীরা অসহায় হয়ে পড়ে। জিয়াউর রহমান কারবারীর নতুন নীতিমালা প্রনোয়ন করেন। সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর জন্য যৌথ বিনিয়োগে নতুন আরও কয়েকটি অদর্শের ও ধর্ম ব্যবসা কেন্দ্র খোলা হয় এবং প্রেষনা প্রদানের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে দিয়ে সাধারন জনগনের মধ্যে এই ব্যবসার ইহলৌকিক ও পরলৌকিক মুজেজার বয়ান করানো হয়। সুষ্ঠ পরিচালনা ও নিরাপত্তার লক্ষে তিনি সকল ছোট বড় কারবারীদের তার নীতিমালার আ্ওতায় এনে প্রতিষ্ঠান আরও শক্তিশালী করেন। প্রতিষ্ঠানের নামকরন করেন -গনতন্ত্র। ইতিমধ্যে ধর্মব্যবসায়ীরা পূর্বের ক্ষয়-ক্ষতি পুষিয়ে ডাল পালা মেলে তাদের মূল প্রতিষ্ঠানের একটি শাখা স্থাপন করে ব্যবসা করতে থাকেন।
জিয়ার এই নতুন শর্টকাট ফর্মূলার বিজনেস পলিসি এই গ্রহে ব্যাপক সাড়া ফেলে। দক্ষিন এশিয়ার নেপাল, ভূটান, মালদ্বীপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশে তার ব্যবসায়ী পন্যের অগনিত ভোক্তাশ্রেনী দেখে তিনি আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যবসার সিদ্ধান্ত নেন।
--- -----