মাননীয় বিরোধী দলীয় নেত্রী নিশ্চিত জামাতের দ্বারা ইমোশনালি এবং হোমোজিকালি ব্লাকমোইলড। তাঁকে হরতাল বহাল রাখতে বাধ্য করা হয়েছে। আপসহীন নেত্রীকে তার নৈতিক আদর্শ থেকে বিচ্যূত করা হয়েছে। তিনি কয়েকবার বলেছেন এই হরতাল উইথড্রো করা সম্ভব না। তিনি চাইলেও পারবেন না। সাবেক দুইবারের প্রধানমন্ত্রী কি তাহলে জামাত-শিবির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে বাধ্য হচ্ছেন? জাতীয়তাবাদী সমাজ, কোথায় আপনারা?
প্রাসঙ্গকি অংশ তুলে ধরা হল:
হাসিনা: আগামী ২৮ তারিখ আসেন। আমরা আলোচনা করি।
খালেদা: না, আমি ২৮ তারিখ যেতে পারব না। আপনি যদি সত্যি আন্তরিক হন, ২৯ তারিখের পর ডেট দেন। আমি যাব।
হাসিনা: আপনি কালকে বললেন...
খালেদা: না, আমি কর্মসূচি দিয়ে ফেলেছি। এখন সম্ভব না।
হাসিনা: আপনি নিজেই বলেছেন, দুই দিনের মধ্যে আলোচনার জন্য না ডাকলে হরতাল দেবেন।
খালেদা: আমি হরতাল দিয়ে ফেলেছি। আগে বলা উচিত ছিল।
হাসিনা: আপনি আপনার বক্তব্যটা আবার শোনেন।
খালেদা: হ্যাঁ, এখন আমি নিজে শুনলেও কর্মসূচি দিয়ে ফেলেছি। সঙ্গে সঙ্গেই বলেছি, কর্মসূচিও চলবে, আলোচনাও চলবে।
হাসিনা: আপনি যেহেতু বললেন দুই দিনের মধ্যে..এর আগেই আমি ফোন করলাম। আপনি যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন আমি ঠিক সেই সময়ের মধ্যেই আপনাকে ফোন করেছি আলোচনার জন্য।
খালেদা: আপনি যদি ৩০ তারিখে করতে চান। আমি রাজি আছি।
হাসিনা: আমি আবারও আপনাকে অনুরোধ করছি আপনি হরতালটা প্রত্যাহার করেন।
খালেদা: আমি হরতাল প্রত্যাহার করতে পারব না। আপনি সময়মতো আমাকে টেলিফোন করেননি। সে জন্য আমি দুঃখিত। কালকে যদি টেলিফোন করতেন পরিবেশ পরিস্থিতি অন্যরকম হতো।
হাসিনা: আপনি কালকেই তো আলটিমেটাম দিলেন। কালকে একটার দিকেই তো আপনাকে ফোন করেছি। তা-ও পাইনি।
খালেদা: ফোন না বাজলে তো আমার কিছু করার নেই। আমি তো বলেছিলাম নয়টার সময় নেতাদের ডাকব, কথা বলব, তখনো তো আমাকে ফোন দিলেন না।...
হাসিনা: আমার জরুরি মিটিং। কোনো মিটিংয়ে আমি দেরি করতে পছন্দ করি না। অলরেডি দেরি হয়ে গিয়েছিল।
খালেদা: আপনি যদি মনে করেন মিটিং বেশি ইমপরটেন্ট না এটা বেশি ইমপরটেন্ট।
হাসিনা: না সব মিটিং তো ইমপরটেন্টই। আমার কথা বলার পর আপনি ১২টার দিকে নেতাদের সঙ্গে বসে হরতালটা প্রত্যাহার করে নিতেন।
খালেদা: মিটিং থেকে বের হয়েও আপনি কথা বলতে পারতেন। তাহলে আমার তখন সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হতো।
হাসিনা: আপনি দয়া করে এককভাবে সিদ্ধান্ত নেন।
খালেদা: এককভাবে আমি কীভাবে সিদ্ধান্ত নেব?
হাসিনা: আপনি বলেন যে, আমি আপনাকে অনুরোধ করছি। সে অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আপনি হরতালটা প্রত্যাহার করছেন। সে কথা জনগণের সামনে বলেন।
খালেদা: না, সেটা তো হবে না। তাহলে আপনি বলবেন যে, আপনি নির্দলীয় সরকার মেনে নেবেন। তাহলে আমি হরতাল উইথড্র করব।
হাসিনা: তাহলে আলোচনার কি থাকে? আপা, আপনি কেন আলোচনার জন্যও শর্ত দিচ্ছেন?
খালেদা: আমি কিছুই করতে চাই না। আপনি নির্দলীয় সরকারে রাজি হলে বলেন, না হলে আপনি ৩০ তারিখের পরে ডেট দেন। আমি করব। হরতাল প্রত্যাহার হবে না। ২৯ তারিখের পরে ডেট দেন। আমি আলোচনা করব।
হাসিনা: আমি ২৮ তারিখে আপনাকে দাওয়াত দিচ্ছি। আপনি আসেন।
খালেদা: আমি ২৮ তারিখে যেতে পারব না। হরতালের মধ্যে আমি কোথাও যাই না।
হাসিনা: কাদেরকে আনবেন বলেন। আপনি ২৮ তারিখে আসেন।
খালেদা জিয়া: ২৮ তারিখে আমি যাব না। হরতাল প্রত্যাহার হবে না। আপনি যদি ৩০ তারিখে রাজি থাকেন ...।
শেখ হাসিনা: ধন্যবাদ। আপনি ভালো থাকেন।