রকি আর আমি ভিজে ভিজে খুব আনন্দ করছিলাম,বৃষ্টির ফোঁটা গায়ে পড়ছিল খুব জোড়ে, মাঝে মাঝে আবার হালকা করে। আমরা লাফাচ্ছিলাম আর রাস্তা ধারে হাঁটছিলাম। পানিতে রাস্তার পাশের ঘাসগুলো জবজব করছিল, আর কীরকম একটা মাটি মাটি গন্ধে চারপাশটা ভরে ছিল।
হঠাৎ দেখি আমাদের অংক স্যার, একটা ছোট ছাতা হাতে এদিকেই আসছেন।
রকি বলল, এই রে, স্যার দেখলে তো মারতে পারে। তারচেয়ে দৌড় দিই চল।
কিন্তু ভাগ্য খারাপ, স্যার আমাদের দেখে ফেলেছেন, হাত ইশারায় ডাকতে লাগলেন। আমরা জবুথবু হয়ে স্যারের কাছে যাই। রকির চুলগুলো খুব লেপ্টে ছিল ভিজে, ও হাত দিয়ে সরিয়ে নিল কপাল থেকে।আমিও জবজবে ভেজা শার্টের উপরের বোতামটা লাগালাম।
কচু পাতাটা কোথায় পেলি? কাছে যেতেই স্যার রকিকে জিজ্ঞেস করলেন।
এটাতো স্যার ইশকুলের পেছনে আছে, অনেক বড় বড় পাতা।
হুম, তাইতো দেখছি! বলে স্যার চিন্তিত মুখে দাঁড়িয়ে রইলেন। এদিকে বৃষ্টি হচ্ছে তখন তুমুল।
রকি বলল, স্যার আপনার লাগলে এটা নিতে পারেন। আমাদের আর লাগবে না।
না না থাক! বলে স্যার চলে যাওয়া শুরু করলেন।
আমরাও চলে আসব এমন সময় স্যার আবার আমাদের থামালেন।
ঠিকাছে, তোরা পাতাটা আমায় দে, পাতাটা খুব ভালো রে তোদের। আমার ছাতাটা নিয়ে বাড়ি চলে যা নাহয়!
তারপর কচুপাতাটা স্যার মাথায় দিয়ে আর ছাতাটা আমাদের হাতে ধরিয়ে হন হন করে বৃষ্টির মধ্য দিয়ে হেঁটে গেলেন।
ছাতা মাথায় আমরা দুজন দাঁড়িয়ে রইলাম, খুব লাল রঙের ছাতাটা!