আজকে প্রথম আলুতে ক্রিকেটার শাহাদাত এর ইন্টারভিউ নিয়ে ফেসবুক আর ব্লগে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে সকাল থেকেই।
ঈদের ছুটিতে এক ফ্রেন্ডের বাসায় গেছি সকাল সকাল, কইলো আগে সাক্ষাৎকারটা পর, তারপর কথা। আমি খেলার পাতা খুব একটা পড়ি না, বললাম-এইসব প্যানপ্যানানি থো, ক্রিকেটীয় গবেষণা করার জন্য আসি নাই।
বন্ধু কইলো-না না, তুই তো ফান ম্যাগাজিনে দেখছি আগে লিখতি, তাই ভাবছিলাম বাইপাস কইরা স্টেডিয়াম পাতায় আসলো কিনা বুঝতে পারবি।
তারপর পইড়া তো পুরাই টাস্কি খায়া গেলাম। ফেসবুকে দেখলাম নানা জন নানা কথা বলতেছে। এই রিপোর্টের জন্য প্রতিবেদক তারেক মাহমুদ এর পুলিৎজার পাওয়া বৈধ হবে না কেন? টাইপ বিতর্কে অনেকে জড়ায়া গেল।
সাক্ষাৎকারটা পড়ে অবশ্য আমার চট করে একটা গানের কথা মনে পড়ে গেল, অনেক আগে বদহজম হলে শুনতাম প্রায়ই। তাতে আরাম হত। চন্দ্রবিন্দুর গান, নামটা ভুলে গেছিলাম। নেট সার্চ মেরে অনেক কষ্টে আবার শুনলাম। শোনার পর থেকে বিশ্বাস করেন শাহাদাত হোসেনরে নিয়া এত হাসাহাসি হইছে সেইটা ভেবে খুব খারাপ লাগলো।এইটা ঠিক না।
যাইহোক, যারা এখনো তারে নিয়া মস্করা করতেছেন তারা গানটা শুনতে পারেন, লিরিক্স আর শোনার জন্য লিংক নীচে দিলাম
লিরিক্স:
সুন্দরী আসে ঝাঁকে ঝাঁকে
কন্ডাক্টার বাস ভাড়া চায় না
বাচ্চারা যে যেথায় থাকে
ধরবেই অটোগ্রাফের জন্যে বায়না
স্পিলবার্গ এসে পায়ে উলটায়
গুরু তুমি ছাড়া আছে আরকে?
তাই নামলুম চ্যালেঞ্জিং রোলটায়
আমি ডাইনোসর জুরাসিক পার্কে
না না ভগবান, এ তোমার অন্যায়,
আমায় প্রতিভা দিলে ভয়ংকর
আমি গাইলেই লোকে ভাবে সানু
আর নাচলেই ভাবে মমতাজ শংকরর
আহা দেবতার মতন চেহারা
দেখে লজ্জ্বায় গুটিয়ে যায় আয়না
সুন্দরীরা মাথা কোটে,
আর কন্ডাক্টর বাস ভাড়া চায় না
আর এর মধ্যেই কেমন প্রসিদ্ধ
আমায় কত লোকে যাচ্ছে দেখে
এইতো সেদিন কে এক বৃদ্ধ, এলেন সূদুর রাচী থেকে
তিনি মন দিয়ে দেখলেন নাড়ি
শুনলেন আমার লেখা পদ্য..
বোধহয় সম্বর্ধনা পেতে পারি,
গিয়ে থাকতেও বললেন দিন চৌদ্দ
রাচীতে নাকি সব বন্ধু
আমার পথ চেয়ে হয় হন্যে
এদিকে বাড়ির লোকেরাও
তো খুব ব্যস্ত পাঠাবার জন্যে
(কিন্তু চাইলেই তো যাচ্ছি না, কদিন আছি)
কদ্দিন আমি যে রাজা, আমাকে তো কেউ ঘাঁটায় না
আমি প্রতিবন্ধীর সিটে বসি
তাই কন্ডাক্টার বাস ভাড়া চায় না
শুনতে হলে: ক্লিকান