প্রান একটি বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, একথা কললে কি সবকিছু বলা হবে! এসব কথা বন্ধুত্বের-সম্পর্কের অতিশয্যে নয়; বরং বলা ভালো যে, আমার স্বভাবের মধ্যে কিছু কার্পন্য আছে। না হলে প্রান সম্পর্কে না বলা কথাগুলো কেন আগে বলতে পারলাম না!
২০০৪ আমার কবিতার বই প্রকাশ হলো ঢাকা থেকে, ভাষাচিত্র প্রকাশনীর প্রকাশকে কবিতাগুলো নোয়াখালীর জলমন্ডলে বসে লেখা নোয়াখালীতে একটি প্রকাশনা অনুষ্ঠান করতে চাই। প্রকাশক সাহেল ভাই প্রবল উৎসাহী কিন্তু সমস্ত ব্যায়ভাব বহনে অপারগ।
এমন সময়ে নায়াখালীর সাংস্কৃতিক বন্ধুরা জানালেন যে,প্রাণের নির্বাহী প্রধান নূরুল আলম মাসুদ ভাই গোটা প্রকাশনা অনুষ্ঠানটির স্পন্সর করতে আগ্রহী। তাই হলো, মাইজদী বিআরডিবি মিলনায়তনে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি’কে প্রধান অথিতি করে বড়সড় একটি অনুষ্ঠান হলো; নোয়াখালীর প্রগতিশীল সাংস্কৃতি জগতের প্রায় সকলের অংশগ্রহণে এ ধরণের একটি অনুষ্ঠান নবসূচিত হলো জেলায়। আমি নতুন করে পরিচিত হলাম ’পার্টিসিপেটরি রিচার্স এন্ড এ্যকশন নেটওয়ার্ক -প্রান’র দৃষ্টিভঙ্গি, পেশাদারিত্ব , কর্মধারা এবং সাংগঠনিক সক্ষমতার সাথে। নিজের খেয়ে বনের মোষতাড়ানো কবিদের কবিতার বই স্পন্সর করার উদ্যোগ নেওয়ার মত পেশাদারী ও অংশীদারী চিন্তা কেবল প্রানই করতে পারে। তবে আমার কাছে এটির গুরুত্ব পেশাদারীত্বের চাইতেও বেশি কিছু। কেননা অনুষ্ঠানের ব্যানার ডিজাইন থেকে শুরু করে গোটা অনুষ্ঠান পরিকল্পনার মাঝে মেধা ও যত্মর ছাপ ছিলো সেটি পেশাদারিত্বের সাথে শিল্পের সম্মিলন। আরো নব নব উদ্যোগ নেবার জন্য প্রান দীর্ঘজীবি হোক!
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:৩২