সমাধিতে সওয়াল-জবাব
(অকাল প্রয়াত সাস্কৃতিজন তপন ভৌমিক স্মরণে)
এক.
সমাধির মুখোমুখি দাড়িয়ে সটান
সোজাসুজি প্রশ্ন ছুড়ি:
একাকি বাসরে এখন কি করছেন?
তাঁর সমাধিখানা গাছ-গাছালির মাঝে ভীষন নির্জন,
্একটি গৃহী ফিঙ্গে কিছুটা অবাক হয়,অনাহুতের কথা শুনে। গাছেদের পাতাঝরে নিয়মিত বিরতিতে
আর বাঁশঝাড়ের ভিতরদিয়ে বয়ে যাওয়া হাওয়ার গুঞ্চনে যেন শুধুই চেতনা নিয়ে বেঁচে থাকা
হকিং এর যান্ত্রিক কন্ঠস্বরে ধ্বনিত হয়,
-সিংহল সমুদ্র থেকে নিশিথের অন্ধকারে মালয় সাগরে, অনেক ঘুরেছি আমি বিম্বিশার অশোকের ধূসর জগতে,
আমি ক্লান্ত প্রান,বহুদিন হয়নি ঘুম, তাই একাকি বাসরে ঘুমোয় এবার,জাগিবার গাঁঢ় বেদনার ভার বহিবনা আর।
-তবে যে আমরা বলেছিলাম পথে যেতে যেতে: সৌন্দয্যের দেহ থেকে ঝরে পড়া মেধা পান করে যে পুষ্টিবান হয়
ঝরা তাকে স্পর্শ করেনা। এমন সৌন্দর্য পূজারী আপনি হঠাৎ উধাও কেন পেক্ষাপট থেকে, শুন্যতা যে সৃষ্টি হলো কিছু ?
-ঝরা-বার্ধক্য নয়,আপোষ-কাপুরুষতা নয়,ঘাতকের তরবারি স্বজনের মতো, তিনি মৃত্যুভাব বহন করে নিয়ে যান উপকারবশতঃ। বাংলার মহামান্য ঘাতক আপনেরা ভালো থাকুন।