ঢাকা মহানগর হেফাজতে ইসলামীর জরুরী সভার বক্তব্য ও মূল্যায়ন:
১।নাস্তিক মুরতাদ জুলুমবাজ সরকারের প্রতি জনগনের সমর্থন ও আস্থা কোনটাই নেই।
মুল্যায়ন: হক কথা,সরকার নাস্তিক কিবা মুরতাদ সে সর্ম্পকে কোন ধারনা নাই। আস্তিক ও হইতে পারে কিন্তু জুলুমবাজ এইটা ১০০% সত্য কথা।
তবে এটাও সত্য সবাই ১৬ কোটি জনগন নিয়ে রাজনীতি করে,
হাসিনারও ১৬ কোটি খালেদারও ১৬ কোটি এখন আবার হেফাজতেরও ১৬ কোটি,মাঝে মাঝে এরশাদ ও বলে হেরও ১৬ কোটি।
কিন্তু কথা হচ্ছে ১৬ কোটির মধ্যে ১৫ কোটি আমজনতার কেউই আর কোন রাজনৈতিক দলকে দরদী মনে করেনা।
যে সরকার ক্ষমতায় যায় সেই জুলুমবাজ হয় এইটা আমরা সেই ঐতিহাসিক কাল থেকে দেখে আসতেছি।
২।সভা সমাবেশের উপর নিষেধাঞা আরোপ করেছে।
মুল্যায়ন: যে কেউ বলবে এটা অন্যায়,কারন গনতান্ত্রিক অবকাটামোর একটি রাস্ট্রে এমন সিন্ধান্তের কারনে ফ্যাসিজমের সৃষ্টি হইতে পারে।
তবে আমাদের দেশে গনতন্ত্র কতটুকু সমুন্নত তা প্রশ্নের দাবী রাখে।
তবে আন্দোলনের নামে যে ধ্বংসের লীলাখেলা আমরা দেখি তাতে ক্ষতিটা কার হয় সেটা আন্দোলন কারীদের ভেবে দেখা দরকার নয় কি?
৩।ইন্টারনেট সেবায় নিয়ন্ত্রন আরোপ করেছে।
মূল্যায়ন: ইন্টারনেট সেবার ব্যাপারে মোল্লাদের কাছ থেকে এমন বিবৃতি অবশ্যই প্রশংসার দাবী রাখে।
কারণ যারা একসময় ব্লগ দিয়ে ইন্টারনেট চালাইত তারা হ্য়ত এখন ইন্টারনেট দিয়ে ব্লগ চালায় যার কারনে ইন্টারনেটের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পেরেছে।
আশাকরি খুব শিগ্রী তারা এটাও বুঝতে পারবে ব্লগ যারা চালায় তারা নাস্তিক না,কিছু নাস্তিক ও ব্লগ চালায় মানে ব্লগিং করে।
৪। ইউটিউব বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।
মূল্যায়ন: এই লাইনটা পড়ার পর আমি কিচুক্ষন ঝিম মেরে ছিলাম,কারন মাথায় কাজ করছিল না।যে মোল্লাদের তোপের মুখে পড়ার ভয়ে সরকার ইউটিউব বন্ধ করছে তারাই সেটাকে সরকারের ব্যর্থতা বলে ইস্যু করছে।
যেখানে দুবাই কাতারের মত রাস্ট্রে ইউটিউব বন্ধ করা হয়নি সেখানে বাংলাদেশে ইউটিউব বন্ধ করা হয়েছিল ইনোসেন্ট অব.......ফিল্মের জের ধরে।
আমি এখন আশা করব অতি শিগ্রই বাংলাদেশে ইউটিউব সচল করা হবে কারন যেখনে হেফাজত ঠেকে বলা হচ্ছে ইউটিউব জায়েজের কথা সেখানে আর কোন বাধা আছে বলে আমার মনে হয়না।
৫।আলেম সমাজের উপর গ্রেপ্তার জেল জুলুম ইত্যাদি করছে।
মূল্যায়ন: গনতান্ত্রিক রাস্ট্রের মধ্যে লড়াই সংগ্রাম থাকবে এবং চলবে,জেল জুলুম ইত্যাদি আগে থেকে হয়ে আসছে এখনো আমরা সে ঐতিহ্য ছাড়তে পারিনি।তবে নির্দয়ভাবে জেল জুলুমের মাধ্যমে গনতান্ত্রিক সংগ্রামকে কখনো স্থিমিত করা সম্ভব হয়নি কখনো হবেওনা।
কিন্তু সে আন্দোলন কিবা সংগ্রাম কতটুকু যৌক্তিক তা ভেবে দেখতে হবে।
আর সার্থের যে রাজনীতি তাতে শাসক ও শোসক দুটোর চরিত্র সমানভাবে ক্ষতিকর।এখানে হেফাজতের যে আন্দোলন তাতে সরকার ও হেফাজতের মাঝে তেমন বড় কোন পার্থক্য নেই।
তবে মানবতার উপর কোন আঘাত সেটা কখনো সমর্থনযোগ্য নয়।
করণ ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি বাবুনগরী কোন ধোয়া তুলশী পাতা নয়।
তারপরেও আশাকরি দেশে একটি সুস্থ চর্চা ফিরে আসবে।