একদিন এক বামনেতা (কমিউনিস্ট গুরু) সমসাময়িক রাজনীতিতে অসন্তুষ্ট হয়ে অম্লান বদনে সাগরপাডে হাটছিলেন।
মনে মনে ভাবছিলেন কিভাবে পরিত্রান পাওয়া যায় একবিংশ শতাব্দীর এই নোংরা রাজনীতি থেকে।
উনি বিপ্লবী হইলেও রনক্লান্ত ছিলেন,আনমনে ভাবতে ভাবতে হঠৎ তিনি হোচট খেয়ে পডলেন।রেগেমেগে তিনি তখন ভয়ানক, উঠে দডিয়ে খুজতে লাগলেন কিসের সাথে হোচট খেলেন,পরে দেখলেন যে কোথাকার এক ভাংগা প্রদীপের সাথেই হোচট খাইছেন,তা দেখেতো উনার অবসতা আরো খারাপ,রেগে গিয়ে উনি তাতে জোরে একটি লাথি মারলেন।
ফলস্বরুপ যা হবার তাই হইল,আলাউদ্দিনের দৈত্য হাজির.....
হুকুম করুন জাহাপনা .......আমি আপনার তিনটি ইচ্ছে পুরন করব।
নেতা: এদেশ আমার আর ভাল্লাগেনা,এখান থেইক্কা আমেরিকায় একটা ব্রীজ বানাইয়া দেও,আমি বরন্ছ আমেরিকায় গিইয়া বিপ্লব করি.....।
দৈত্য: দু:খিত হুজুর এটা সম্ভব নয়,আপনে আপনার দ্বিতীয় ইচ্ছের কথা প্রকাশ করুন.......
নেতা: হেইডা যহন পারলানা ঠিক আছে,আমাগো ভুগোল সারের কাছে হুনচিলাম বাংলাদেশের নিচেই তো আমেরিকা।একটা ফুটা কৈরা আমারে আমেরিকাই পৌছাইয়া দেওন যায়না.......।
দৈত্য: যা তা কথা কইয়েন না হুজুর,আমারে মুক্ত করছেন এই না যে আমারে কিইন্না ফালাইছেন....তিন নাম্বারটা কইয়া ফেলান....।
নেতা; ঠিক আছে প্রথম দুইটা যহন পারলানা এখন তিন নাম্বারটা কইর্রা দিতেই হইব,হেইটা হইতেছে বাংলাদেশে যত বাম সংগঠন আছে সবগুলারে এক কইরা দাও।
দৈত্য: বুঝলাম হুজুর আপনে মাল বালানা,আগের যে দুইটা কইছেন তার মধ্যিথাইক্কা একটা অপশন সিলেক্ট কইরা ফেলান,তিন নাম্বারটা আমার বাপের কুলেও সম্ভবনা।
অতপ:র নেতা কোন অপশন সিলেক্ট করচিল জানা নাই,তবে তাহার আমেরিকায় গিইয়া বিপ্লব ফলপ্রসু হইনাই এইটা আমরা জানি,
এখন বুঝেন অবস্থা,দৈত্য যার ব্যবস্থা করতে পারলনা..............।