somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের ক্রিকেটারদের আফগান ম্যাচে এপ্রোচের কারণ আসলে সামাজিক

২৬ শে জুন, ২০২৪ রাত ১০:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে আমাদের ক্রিকেটারদের আফগান ম্যাচে এপ্রোচ নিয়ে সমালোচনা চলছে।
আমিও তাহলে এতে কিছুটা যোগ করি।
শুরুতেই যখন ১২.১ ওভারে আমাদের টার্গেট পূরণ করবার কথা চলছিল, তখনই আমি বুঝেছিলাম এই ম্যাচে আমরা সেই এপ্রোচে যাবই না। আমাদের প্লেয়াররা ২০ ওভারে টার্গেট জেতার চেষ্টা করবে। যদি টার্গেট ৮০-৯০ রান হতো, তাহলেও একটা কথা ছিল, ১১০+ আমাদের বর্তমান স্কোয়াডের জন্য অনেক বেশি।
এই অনুমান তখনকার যখন বাংলাদেশ দল ব্যাটিংয়েও নামেনি।
তারপরেও লিটন ওভাবে মারছে দেখে অবাক হয়েছিলাম। ভাবছিলাম আমরা প্রেডিকশন ভুল। কিন্তু মাহমুদুল্লাহ যখন ওভারে পাঁচটা ডট খেললো, বুঝে গেলাম আমি শুরু থেকেই ঠিক ছিলাম। লিটন বরং ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে গিয়ে খেলেছে।

তা আমার এই কনফিডেন্স এসেছে গত কয়েক বছরে আমাদের দেশের ক্রিকেট খেলার স্টাইল দেখেই। গতকালকের লেখাতেই ট্রেন্ড এনালাইসিসের কথা বলেছিলাম না? সেটাই মূল কারন। আমরা রিস্ক ফ্রি ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করি, আমরা আউট অফ দা বক্স কিছু এটেম্পট নেই না, এটাই আমাদের গত কয়েক বছরের ট্রেন্ড। আমাদের লক্ষ্য থাকে পরিসংখ্যানের দিকে। কোন রকমে জিতে নিয়ে রেকর্ড শুধরালেই আমরা খুশি। আমাদের কোচই যেখানে বলেন "মূল লক্ষ্য ছিল সুপার এইট, এখন যা পাব তাই বোনাস" - তাহলে আর কি আশা করেন? দাঙ্গাল সিনেমায় কোচ যেমন বলেছিল "আমাদের টার্গেট ছিল পদক জয়। কমসে কম সিলভারতো আসছেই।" মানে গোল্ডের জন্য যে তাড়না, যে উদ্দীপনা, যে জোশের প্রয়োজন হয়, সেটাই কোচের কথায় মিসিং। তাহলে আমাদের প্লেয়ারদের তথা গোটা দলের মানসিকতা বুঝে নেন।
কয়েকবছর পর আমাদের পরিসংখ্যান বলবে আমাদের দল সুপার এইট খেলেছে, সেই টুর্নামেন্টে যেখানে সাবেক চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান, সুপার জায়ান্ট নিউজিল্যান্ড প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় হয়েছে। আমরাও সেমি খেলি নাই, অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজও না। আমরা সবাই ভাই ব্রাদার!
নিশ্চিত থাকেন, এই হাতুরু সিংহেই নিজের রেজিউমিতে দেখাবে একটা ভঙ্গুর দলকে বিশ্বকাপ সুপার এইট খেলিয়েছে।

অন্যদিকে প্যাট কামিন্সের ইন্টারভিউর কথা কারোর মনে আছে? ওকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল "সেমিফাইনালে তোমার ফেভারিট ৪ দল কারা?"
উত্তরে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক বলেন "অবশ্যই অস্ট্রেলিয়া - এবং বাকি তিনটা তোমরা যাকে খুশি তাকে বেছে নাও। আমরা পরোয়া করিনা, যেই আসুক।"
কামিন্সের দল কোয়ালিফাই করেনাই, সেমিফাইনালের আগেই আউট। কিন্তু এ নিয়ে কেউ ট্রলিংয়ের সাহস করছে না, কারন জানে পরের টুর্নামেন্টেই ওরা এই ক্ষতি পুষিয়ে নিবে। নিজের দেশের টি-২০ ওয়ার্ল্ডকাপে সেমিতে কোয়ালিফাই না করার প্রতিশোধ নিয়েছে ভারতের মাটিতেই একশো কোটি ভারতবাসীকে কাঁদিয়ে। অস্ট্রেলিয়ান জাতটাই এমন।

আফগানদের বিরুদ্ধে ম্যাক্সওয়েলের সেই অতিমানবীয় ইনিংসটা মনে আছে? ৯০ এর ঘরে সাত ব্যাটসম্যান গায়েব, টার্গেট ২৯০ ছাড়ানো, তবু ল্যাংড়া ম্যাক্সওয়েল একাই দুইশো করে ম্যাচ জিতিয়ে দিল। ওরা হাল ছাড়েনা। ওদের মন মানসিকতাই এমন। আমাদের দল সেই অবস্থায় পড়লে কেউ কল্পনা করতে পারেন অমন লড়াকু ইনিংসের কথা? উল্টো দেখা যেত ব্যাটম্যান নিজের ৫০/১০০ করার লক্ষ্যে ব্যাট চালাচ্ছে, এবং পরাজয়কে মোটামুটি সম্মানজনক করার চেষ্টা করছে।
মূল পার্থক্য মানসিকতায়।

আমাদের দোষটা আসলে শুধু এক দুইজন ক্রিকেটারের না। সামাজিকভাবে আমাদের বেড়ে ওঠা, শিক্ষা দীক্ষা ইত্যাদি থেকে শুরু করে ছোট বড় সবকিছুই এখানে নিয়ামক। গভীরে গিয়ে একটু চিন্তা করুন, উত্তর পাবেন।
শুরুতেই বলে নেই, আমি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে ডিফেন্ড করছি না। আমি আইডেন্টিফাই করার চেষ্টা করছি, ঘটনার পেছনের কারনটা কি।

আমরা যখন স্কুলে যাই, শুরুতেই আমাদের মাথায় টার্গেট দেয়া হয় স্কুলে ফার্স্ট সেকেন্ড ইত্যাদি হতে হবে। পড়া বুঝে পড়, না পড়, ম্যাটার করেনা। কিছু বাবা মা দুর্বল ছাত্রছাত্রীদের কেবল পাশ করানোর জন্য প্রশ্নপত্র ফাঁস করিয়ে থাকেন। পাশ করাটা জরুরি, শিক্ষা জরুরি না। পাশ করলে ভাল চাকরি পাবে। চাকরিই লাগবে, ব্যবসা না। কারন ব্যবসায় রিস্ক থাকে। অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। চাকরির পথেই হাটতে হবে, খেলাধুলা, শিল্পী ইত্যাদি হওয়া যাবেনা, ওখানেও ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে। আয় ভাল। নাহলে বিসিএস হতেই হবে। ঘুষ খেয়ে লাল হয়ে গেলেও চাকরি যাবেনা, কি আজব সিস্টেম! কিন্তু কিছুই যায় আসেনা, কারন ওটাতে নিশ্চয়তা আছে, অনিশ্চিত কিছুর দিকে আমাদের যাওয়া যাবেনা।
অন্যদিকে ওয়েস্টার্ন দেশগুলোর দিকে একটু তাকান।
হার্ভার্ডের পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে বিল গেইটস নিজের কোম্পানি খুলে বসে। একই কনফিডেন্স ছিল মার্ক জাকারবার্গেরও। এদেশে ছেলে মেয়েদের ছোটবেলা থেকেই শেখানো হয় দুনিয়ায় অন্যরা যা করে ফেলেছে, তোমরা ভিন্ন কিছু করো। অন্যকে অনুকরণ করলে চলবে না। প্লেজিয়ারিজ্ম বা "টুকলিফাই" এদেশে ভয়াবহ অপরাধ। কোন হোমওয়ার্ক বা এসাইনমেন্ট আপনি ইন্টারনেট ঘেঁটে অন্য কারোর কাছ থেকে মেরে দিলে আপনার ছাত্রত্ব বাতিল হয়ে যেতে পারে। আস্ত এসাইনমেন্টে ৩০% এর বেশি অন্য কারোর লেখার সাথে মিল প্রমান পেলেই খবর হয়ে যায়।
এখানে স্থানীয় ছাত্ররা পরীক্ষার সময়েও চিটিং করেনা। পাশের বন্ধুর খাতা দেখে লেখার চেষ্টা করেনা। কারন ওরা পরীক্ষা দিচ্ছে এইটা যাচাই করতে যে ওরা ঠিক মতন সাবজেক্টটা বুঝেছে কিনা, শিখেছে কিনা ইত্যাদি। বেহুদা কারনে পড়াশোনা করেনি, এই সাবজেক্ট ওর জীবনে প্রয়োজন আছে এবং এতে ফাঁকিবাজি করলে ওর নিজেরই ক্ষতি - এইটা ওরা বুঝে। সার্টিফিকেট এখানে পরের বিষয়। পরীক্ষায় চুরি বাটপারি সব আমাদের উপমহাদেশের ছাত্রছাত্রীদের কল্যানে ঘটে। কারন আমাদের কাছে সার্টিফিকেট অনেক বড় ব্যাপার।

তো আমাদের সবকিছুর মতন খেলাতেও সেটারই প্রতিফলন ঘটে। ডিফেন্সিভ মাইন্ড সেট। আমাদের জিততে হবে, ব্যস। জিতলেই সব সমালোচনা বন্ধ, স্পন্সর, সাপোর্টার সবাই খুশি। কেউ ভিতরের ক্ষয়ে যাওয়া ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলবে না।
সাকিব আল হাসান যেমন নিজের বাজে ফর্ম ও এর সমালোচনা নিয়ে বলেছিল "একটা ফিফটি করলেই সব থেমে যাবে।" - পয়েন্ট এইটাই। এই কনফিডেন্স আসে, কারন ওর পুরো ক্যারিয়ার জুড়েই সে এটা হতে দেখেছে, ভবিষ্যতেও এর পরিবর্তন হবে বলে ওর বিশ্বাস হয়না।
আফগানদের বিরুদ্ধে যদি জিতে যেত, তাহলে লোকে সেমিফাইনালে যাওয়ার জন্য কেন লড়লো না, তা নিয়ে সমালোচনা করতো, কিন্তু ওদেরকে "উইকেট কঠিন ছিল, এবং ওদের বোলিং শক্তিশালী" বললেই থামিয়ে দেয়া যেত। কিন্তু বিপদ ঘটে গেছে তখন যখন সবাই দেখলো যে ডিফেন্সিভ খেলেও বাংলাদেশ জিততে পারেনাই। আম-ছালা দুইই গেছে। এখন তাই সবাই বলছে, এরচেয়ে ভাল তোরা ট্রাই করতি। ১০ ওভারেই অল আউট হতি, তাহলেও মনকে সান্তনা দিতাম।
To be brutally honest, না, কেউই নিজের মনকে সান্তনা দিত না। আমাদের রক্তেই সেটা নাই। যদি ৯ ওভারে ১০০ করে বাংলাদেশ আউট হয়ে যেত, তখনও গোটা জাতি হাউকাউ করতো, "সেমি ফাইনাল টার্গেট করতে গেলি কেন? যখন ৩০ এর ভিতর তিন উইকেট পড়েই গিয়েছিল, তখন কেন জয়ের জন্য খেললি না?" এখন মুখে অনেকেই অস্বীকার করবেন, কিন্তু এইটা ফ্যাক্ট। এটাই হতো। এর আগেও এমন ঘটেছে বলেই বলছি। ঐ যে বললাম "ট্রেন্ড এনালাইসিস।"
তাই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলও ডিফেন্সিভই খেলেছে। মাহমুদুল্লাহর খেলায় সেটা স্পষ্ট হয়েছে।
যদি বাংলাদেশ শুরুতেই আক্রমনে যেত, তাহলে শুরুতেই আমাদের আরেক ডাক বাবা তানজিদ হাসান (গত চার ম্যাচে নেপাল, অস্ট্রেলিয়া ও আফগানদের সাথে তিনটা ডিম পেড়েছেন, সৌম্যর হংস খামারের দিকে লোলুপ দৃষ্টি আছে ছেলেটার) আউট হবার পরে "আউট অফ দা বক্স" এপ্রোচ হিসেবে অফ ফর্ম শান্ত না নেমে ইনফর্ম হৃদয় বা পিঞ্চ হিটার রিশাদকে নামিয়ে দিতে পারতো। অনেক সময়ে এইসব এপ্রোচ ব্যাক ফায়ার করে, দ্রুত আউট হয়ে দলকে উল্টো আরও বড় বিপদে ফেলে দেয়। আবার অনেক সময়েই এগুলো সফল হয়। নতুন নামা ব্যাটসম্যানের ক্যামিও ইনিংসগুলি ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেয়। আমাদের মাশরাফি মাঝে মাঝে ব্যাট হাতে আগে নেমে যেত, কার কার মনে আছে? ওয়ানডে ক্রিকেটের ভোল পাল্টে দেয়া জুটি জয়সুরিয়া-কালুভিথারানা এইরকমই আউট অফ দা বক্স চিন্তাভাবনার ফসল।

সেটা যখন হয়নি, শান্ত নেমেছে, এবং তারপরে সাকিব - তখনই বুঝা গিয়েছিল বাংলাদেশের ডিফেন্সিভ এপ্রোচ। এরা সেমি খেলতে আগ্রহী নয়। দর্শকরা শুধু শুধুই আশায় বুক বাঁধছেন।
আবারও বলি, শুধুমাত্র প্লেয়ারদের এককভাবে দায়ী করে লাভ নেই। আপনার কোচ, আপনার ম্যানেজমেন্ট, আপনার বোর্ড ইত্যাদি সবাই এই এপ্রোচের জন্য দায়ী। বোর্ড যদি সাহসী হতো, তাহলে সাহসী সিদ্ধান্ত নিত। তরুণদের গড়তে পুরানোদের সরিয়ে জায়গা করে দিত। পরিসংখ্যানের দিকে না তাকিয়ে ইম্প্যাক্ট নিয়ে আলোচনা করতো। সেগুলো কিছুই হচ্ছে না। সামাজিক নিয়ামকের কথা বাদ দিবেন কোন বাহানায়? যেমনটা পাকিস্তান, নিজেদের আউট অফ বক্স এপ্রোচ হিসেবে সাইম আইয়ুবকে ওপেনিংয়ে ট্রাই করেছিল। ১০০% ফ্লপ। বহু সুযোগ দেয়া হয়েছে। তারপরে ওরা সেই বাবর-রিজওয়ান জুটিতে ফেরত গেছে।
এখন ইন্ডিয়া যেমন ভিরাট-রোহিত দিয়ে আক্রমন শুরু করছে। শুরুতেই নিজেদের ইতিহাসেরই সেরা দুই ব্যাটার দিয়ে আক্রমন। কোন ছাড় নেই। কিন্তু কোহলি সুপারফ্লপ করছে। এরপরেও ওরা ওকে থিতু হতে সময় দিচ্ছে। কারন ওদের একটা পরিকল্পনা আছে। সেজন্য রিস্ক নিচ্ছে। কিন্তু যখনই দেখবেন এই জুটি ফ্লপ করেছে এবং দলও হেরেছে, তখন অগা মগা বগাও ভিডিও ভ্লগে এক্সপার্ট অপিনিয়ন দিয়ে বসবে। ইন্ডিয়ারই একটা অতি সস্তা, ফালতু, বাকোয়াজ একটা ইউটিউব চ্যানেল আছে যেখানে কিছু ক্রিক-বলদ একসাথে বসে ম্যাচ দেখে এবং বল বাই বল রিভিউ দেয়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শুরুতেই নাসিমকে চার মেরে দেয়া আগ্রাসী ভিরাটের প্রশংসায় মুখ দিয়ে লালা ঝরানো একই "এক্সপার্ট" ওর আউটের সাথে পল্টি খেয়ে বলল "কেন এতটা আগ্রাসী হতে হলো? এখন রোহিতকে, দলকে চাপে ফেলে দিয়েছে। রোহিতকে পুরো ২০ ওভার খেলতেই হবে" ইত্যাদি ইত্যাদি।
এটাই আমাদের স্বভাব। হিট হলে সবাই ক্রেডিট নিতে যাই। ফ্লপ করলেই দায় চাপিয়ে দেই অন্যের ঘাড়ে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুন, ২০২৪ রাত ১০:৫৭
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পাগলের প্রলাপ' যখন সত্যি হয়......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:১৯

'পাগলের প্রলাপ' যখন সত্যি হয়......
[/সব

আমার এক মামা ততকালীন পূর্ব পাকিস্তানে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জব করতেন হোটেলের শুরু থেকেই। সেই মামা মাঝেমধ্যে আমাদের জন্য হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে মুখরোচক কেক, পেস্ট্রি ছাড়াও বিভিন্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তার চাওয়া পাওয়ার কিছু ছিল না, তবুও

লিখেছেন খাঁজা বাবা, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৩২



শেখ হাসিনার নাকি বায়ক্তিগত চাওয়া পাওয়ার কিছু ছিল না। শেখ মুজিবের বেয়ে নাকি দুর্নীতি করতে পারে না। সে এবং তার পরিবার যে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করতে পারে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সংক্রান্ত বিষয়ে সামু কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৬

ছাত্র-জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দলের পতন ঘটানো হয়। এটা আমাদের একটা জাতীয় গৌরবের দিন। এটা নিয়ে কারও সন্দেও থাকলে মন্তব্যে লিখতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জ্বীনভুতে বিশ্বাসী বাংগালী ও ঢাকায় ৫০ হাজার ভারতীয় একাউন্টটেন্ট

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৩




ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর ব্লগে লিখেছিলেন যে, উনার ভগ্নিপতিকে জ্বীনেরা তুলে নিয়ে গিয়েছিলো; ২ সপ্তাহ পরে ভগ্নিপতিকে দিয়ে গিয়েছে; এই লোক, সামুর কাছে আমার বিরুদ্ধে ও অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেছুর নিজস্ব একটি জ্বীন ছিলো!

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২৪



আমাদের গ্রামের খুবই সুশ্রী ১টি কিশোরী মেয়েকে জংগলের মাঝে একা পেয়ে, প্রতিবেশী একটা ছেলে জড়ায়ে ধরেছিলো; মেয়েটি ঘটনাকে সঠিকভাবে সামলায়ে, নিজের মাঝে রেখে দিয়েছিলো, এটি সেই কাহিনী।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×