গরিব মানুষ আশার উপর ভরসা করে জীবন কাটায়।
আমি একজনকে চিনতাম, যিনি প্রতিমাসে তাঁর সীমিত বেতনের টাকা দিয়ে একটি করে লটারির টিকিট কিনতেন। তাঁর আশা ছিল একদিন তাঁর ভাগ্য সুপ্রসন্ন হবে, লটারিতে তাঁর ভাগ্য ফিরবে, তিনিও আরাম আয়েশের জীবন কাটাতে পারবেন।
সুদীর্ঘ পয়ত্রিশ বছর ধরে তিনি একই কাজ করে গেছেন। তিনি এখনও একই কাজ করেন। তাঁর আশার বাসা ঘুনে খায় না। তাঁর বিশ্বাস, একদিন তাঁর অধ্যবসায় ফল দিবেই।
আমি আরেকটি গরিব ছেলেকে চিনি। মেধাবী। ইংরেজিতে এম.এ করছে। পিতামাতার একমাত্র আশা ভরসা।
তাঁর বাবা দিন গুনেন, আর মাত্র কয়েকটা দিন। তাঁর ছেলে পাশ করে বেরুলেই চাকরি পেয়ে যাবে!
আর তাঁদের সংসারে কোন কিছুর অভাব থাকবেনা।
মা তাঁর সারা জীবনে ছোট বড় সব ধরনের ত্যাগের প্রতিদান খুব শীঘ্রই পেতে যাচ্ছেন ভেবে আপ্লুত হন।
এবং চমৎকার একটি গল্পে অতি বাজে মোচর দিতেই বুঝিবা ক্যান্সার নামের ভিলেনটি ছেলেটির শরীরে বসত গড়ে বসলো।
ছেলেটির নাম জীবন কুমার কর্মকার।
এই মুহূর্তে সে ক্যান্সার নামের মরণ ব্যাধির সাথে লড়াইরত এক নির্ভিক সৈনিক। ক্যান্সারের সাথে লড়ে জিততে যার ১২ লাখ টাকার প্রয়োজন। এবং অভাবী পিতামাতার পক্ষে যোগান দেয়া যা একটি অসম্ভব ব্যপার।
তবুও তাঁকে সাহসটা দেয় কে জানেন? সেই একই অভাবী পিতামাতার মুখ।
চিরদুঃখী পিতামাতার মুখে হাসি ফুটাতে তাঁকে যে এ লড়াইয়ে জিততেই হবে!
কথা হচ্ছে, মনে সাহস রাখার দায়িত্ব তাঁর। সে সেটা রাখছে।
এবং মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়াবার দায়িত্ব আমাদের। আমাদের সেই দায়িত্ব পালন করতেই হবে।
লেখালেখিতে আস্তিক নাস্তিক তর্ক বিতর্ক ফাজলামি রসিকতা ইত্যাদি নিয়ে অনেক সময় বরবাদ করি আমরা। অনেক বড় বড় বুলি কপচাই।
এখন সময় এসেছে নিজেদের "মনুষ্যত্বের" প্রমান দেয়ার। কথায় না, কাজেই আসল পরিচয়।
আস্তিক মাত্রই সাহায্য করতে বাধ্য।
"যে একটি মানুষের প্রাণ বাঁচালো - সে যেন পুরো মানবজাতির প্রাণ রক্ষা করলো।"
"আমি ক্ষুধার্ত অবস্থায় তোমার কাছে এসেছিলাম, তুমি আমাকে খাওয়াওনি। যে ভিখিরি তোমার কাছে খাবার চেয়েছিল, সেটাই আমি ছিলাম।" বাবারে! আল্লাহর এমন অসংখ্য স্পষ্ট নির্দেশ কুরআনে ভর্তি। যতবার নামাজের কথা বলা হয়েছে, ততবার যাকাতের (চ্যারিটি) কথাও বলা হয়েছে। অমান্য করি কিভাবে? প্লাস, একজন মানুষকে সাহায্য করার পুরস্কারের ওয়াদাতো আলাদাভাবে আছেই।
এবং নাস্তিক/এগনোস্তিক/অবিশ্বাসী ভাইয়েরাও অতি যত্নের সাথে দাবি করেন, মানুষকে ভালবাসতে ধর্মের কোন প্রয়োজন নেই। মনুষ্যত্ববোধ থাকাটাই আসল। কাজেই তাঁরা যে এগিয়ে আসবেন, এটাতো নিশ্চিতই।
এখন যারা বলবেন, "ভাই, আমার নিজেরই চলেনা, আমি কিই বা এগিয়ে আসব।"
সহজ ভাষায় এইধরনের অজুহাতকে ইংরেজিতে আমরা "বুলশিট" বলি। বাংলায় ভাবানুবাদ করলে কুত্তার গু।
সামান্য দশ টাকাও দান করতে পারবেন না - এমন গরিব বাংলাদেশে নেই। এইটা পরীক্ষিত সত্য।
এবং তারচেয়ে বড় কথা, এই ম্যাসেজ নিজের ফেসবুকে প্রচার করতে পারেন। আপনি নিজেও জানেন না, আপনার ফেসবুকেই এমন কিছু বন্ধু বান্ধব আছেন, যারা হয়তো এই ম্যাসেজ পড়া মাত্রই ছেলেটির সাহায্যে এগিয়ে আসবে।
কেউ কেউ সন্দেহ পোষণ করতে পারেন, ছেলেটি আসল কেস, নাকি টাউট।
কোন সমস্যা নাই। ছেলের ফোন নম্বর 01722686824 .ছবিতে তাঁর ডাক্তারের চেম্বার এবং ফোন নম্বর দেয়া আছে। অবশ্যই যাচাই বাছাই করে তারপরে ওকে সাহায্য করবেন।
টাউট হলে আরও দ্বিগুন উৎসাহে পর্দা ফাঁস করবেন। কোনই সমস্যা নাই।
ওর বন্ধু বান্ধবেরা একটি ইভেন্ট পেজ খুলেছে, ইচ্ছা করলে একটু ঘুরেও আসতে পারেন।
https://www.facebook.com/events/1739237889696344/?active_tab=posts
কথা হচ্ছে, মরণ ব্যাধির সাথে লড়াই করে হার জিত ব্যপারটা আমাদের হাতে নেই, (নিয়তি/আল্লাহ/ভগবান/ঈশ্বর/প্রকৃতির হাতে আছে) কিন্তু নিজের পকেট থেকে সামান্য কিছু টাকা বের করে ছেলেটির চরম মুহূর্তে সাহায্য করার ক্ষমতা আমাদের সবারই আছে। একটার উপর আরেকটা ইট বসিয়েই ইমারত তৈরী হয়। একটির পাশে আরেকটি ইমারতেই নগর প্রতিষ্ঠিত হয়। আপনার পকেটের দশ টাকাকে তাই কোন অবস্থাতেই তুচ্ছ ভাববেন না।
আসুন, আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করি। জীবনকে তাঁর মা বাবার কাছে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করি।
বাকিটা পরে দেখা যাবে
সাহায্য পাঠাবার ঠিকানা।
মোঃ ইয়াকুব আলী, একাউন্ট নং: ১৬৮.১০১.১৫৮৬০ কুষ্টিয়া শাখা, DBBL
প্রভাষক, ইংরেজি বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং - ০১৭১২ ৬৮০২৪৪১, ০১৭২২ ৬৩৬৪১৭৯
বিকাশ - ০১৭১২ ৬৮০২৪৪ (ব্যক্তিগত)
০১৭২২ ৬৩৬৮১৭ (ব্যক্তিগত)