একই সাথে শঙ্কিত ও ভাবিত !!!
আমি এটা ভেবে শঙ্কিত যে, আমাদের কমলমতি ছাত্র/ছাত্রীদের হাতে আগাম পরীক্ষার আগাম প্রশ্নপ্রত্র। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার বিনিময়ে তারা হাতে লেখা প্রশ্নপ্রত্র দেদারছে ফটোকপি করে নিচ্ছে। অনেক কয়জন ছাত্রের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে বগুড়া শহর থেকে কতিপয় শিক্ষক প্রশ্ন নিয়ে এসে তাদের ছাত্রদের দিচ্ছে। মূলত মোবাইলে ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে তারা প্রশ্ন পেয়ে হাতে লিখে বিক্রি করছে। মূল প্রশ্নের সাথে মিল আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ছাত্রের কাছে জানতে চাওয়া হলে সে বলে, হুবহু মিল। একটুও অমিল নেই।
আরও জানার জন্য বেশ কয়েকজন ছাত্রের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তারা জানায় টাকার বিনিময়ে এসব প্রশ্ন মিলছে। তাছাড়া পর্যায়ক্রমে প্রতিটি পরীক্ষার মূল প্রশ্নের সাথে এসব লিখিত প্রশ্নের মিলও আছে হুবহু। গত পরীক্ষাগুলো যথাক্রমে ইংরেজী ১ম, বাংলা ১ম ও ২য় তারা একই ভাবে দিয়েছে। আগামী ১৪ তারিখ বৃহস্পতিবারের ইংরেজী ২য় পত্র পরীক্ষার ফাস হওয়া প্রশ্ন তারা ফটোকপি করে নিচ্ছে নামে মাত্র টাকার বিনিময়ে।
এমন প্রশ্ন হাতে পেয়ে অনেক ছাত্রকে দেখলাম বাজারে ঘুরছে পড়াশুনা না করে। কারন তাদের হাতে যে প্রশ্ন তা মূল প্রশ্নের সাথে একদমই মিল। যার কারনে তারা আর পড়ছে না। একজন মেধাবী ছাত্রের সাথে কথা বলে, যা বুঝলাম তারও পড়াশুনাতে মন নেই কারন অধিকতর খারাপ ছাত্র/ছাত্রীরাই ফাসকৃত প্রশ্ন দিয়ে ভাল পরীক্ষা দিচ্ছে এককথাই (ছক্কা মারছে)। শুধু সেগুলোই রপ্ত করে তারা পরীক্ষায় অংশগ্রহন করছে।
আমার প্রশ্ন ??
এগুলো কি দেখার কেউ নেই। না থেকেও, কেউ দেখছে না। আমার মাথায় আসেনা কি করে একটি জাতির ভবিষ্যৎ মেধাশূণ্য হয়ে যাচ্ছে।
এর প্রতিকার চাই। যথাযথ মহলের হস্তক্ষেপ চাই। আপনারা সবাই এগিয়ে আসুন। আর এভাবে চলতে দেওয়া যায় না।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৮