somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অজ্ঞাত চর্মরোগে ভুগছে শিশু ইয়াকুব

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আবদুল্লাহ আল-মামুন, ফেনী
অজ্ঞাত চর্মরোগের কবলে পড়ে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার শিশু ইয়াকুব (৯) ও তার পরিবার চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। গরম আসলেই তার শরীরে নতুন করে ফোসকা পড়ে। একপর্যায়ে শরীরে তের সৃষ্টি হয়। দুর্গন্ধের কারণে তখন বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়ে।

পরিবার সূত্র জানায়, দাগনভূঞা উপজেলার গনিপুর গ্রামের মিন্নত আলী ভূঞা বাড়ীর রিক্সাচালক মোঃ ইসমাঈল। মা, স্ত্রী আর ২ ছেলে ২ মেয়ে নিয়ে অভাবের সংসার। জন্ম হয় ছোট ছেলে মোঃ ইয়াকুব বিপলু। জন্মের দিন থেকেই সারা শরীরে পানিযুক্ত ফোসকা চোখে পড়ে সবার। ফোসকার কারণে তাকে নিয়ে হতাশায় পড়ে যান বাবা-মা সহ পুরো পরিবার। কোলে বা বিছানায় কোথাও রাখা যায়না শিশুটিকে। শিশুটির চিৎকারে আশপাশের আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠে।
প্রথমে স্থানীয় চুঙ্গারপুল নামক স্থানের গ্রাম ডাক্তার কাশেমের নিকট থেকে ওষধ খাওয়ানো হলেও কোন পরিবর্তন চোখে পড়েনি। রিক্সাচালক পিতা ছেলে ইয়াকুবকে এলাকার অনেকের পরামর্শে নিয়ে যান তালতলী বাজার সংলগ্ন আনু মিয়া বাড়ীর এক কবিরাজের কাছে। কবিরাজ শিশুটির জন্য তিলের তেলের তৈরী পেস্ট ব্যবহারের পরামর্শ দেন। কবিরাজের কথায় তিলের তৈল ব্যবহারের পর শিশুটির সারা শরীর কালো বর্ণ ধারণ করে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এরপর নেয়া হল চট্টগ্রামের আমানত শাহ (রহ.) ও হযরত বায়েজিদ বোস্তামীর (রহ.) মাজারে। মান্নত করা হয় মূল্যবান অনেক কিছু। কোন ফল হয়নি।

শেষে গ্রামের এক ব্যক্তির সহায়তায় শিশুটির পিতা যান বিশিষ্ট শিল্পপতি ও দাগনভূঞার সন্তান আবদুল আউয়াল মিন্টুর নিকট। তিনি লোক মারফতে পাঠান পিজি (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) হাসপাতালে। সেখানকার চর্ম ও যৌন বহিঃ বিভাগের ডাক্তারের পরামর্শে কিছুদিন চিকিৎসা চললেও পরে তারা পাঠান ঢাকা সেনানিবাসের সিএমএইচে। লেঃ কর্ণেল লতিফ, মেজর সিরাজ ও মেজর রেজার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা হলেও গত নয় বছরে শিশুটির প্রকৃত রোগ কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি এমনটি জানালেন শিশুটির পিতা মোঃ ইসমাঈল।
গরম আসলেই তার শরীরে নতুন করে ফোসকা পড়ে। একপর্যায়ে তার শরীরে তের সৃষ্টি হয়। তখন দুর্গন্ধের কারণে পরিবারে বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়ে। অজ্ঞাত রোগ আক্রান্ত শিশুটির পরিবার চরম হতাশার মধ্যে রয়েছেন।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×