মাদকের কুফল সম্পর্কে বলে শেষ করা যাবে না।মাদক একজন ব্যক্তিকে বিভিন্ন ভাবে ক্ষতি সাধন করে থাকে। এবং এক সময় নিঃশেষ করে দেয়।
শারীরিক ও মানসিক ক্ষতিঃ
এইচআইভি/এইডস এ আক্রান্ত হতে পারে।
হেপাটাইটিস বি,হেপাটাইটিস সি তে আক্রান্ত হতে পারে।
ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে।
মস্তিস্ক বিকৃতি ঘটতে পারে।
মাদকাসক্ত ব্যাক্তির সন্তান অটিজম, ডাউন সিনড্রম, সিপি বা অন্যান্য অস্বাভাবিকতা নিয়ে জন্মানোর সম্ভাবনা থাকে।
স্মৃতিশক্তি হ্রাস পেতে পারে।
যৌনক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে।
মহিলাদের বন্ধ্যাত্ব দেখা দিতে পারে।
অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।
বিষন্নতায় ভুগতে পারে
আক্রমণাত্বক মনোভাব হয়ে যেতে পারে।
আত্নহত্যার প্রবণতা দেখা দিতে পারে।
পারিবারিক ক্ষতিঃ
পরিবারের শান্তি,সম্মান ও নিরাপত্তা নষ্ট হয়।
পরিবারের সদস্যদের সাথে সম্পর্ক নষ্ট হয়।
পরিবারের অন্য সদস্যদের মানসিক শান্তি নষ্ট হয়।
পারিবারিক ভাঙ্গন (বিবাহ বিচ্ছেদ) দেখা দেয়।
সন্তানদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয় এবং তাদের যথাযথ যত্ন নেয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরী হয় ফলে তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে পরে।
আর্থিক ক্ষতিঃ
নিজে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং পরিবারের সদস্যদেরও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
ব্যাপকভাবে সম্পদ ও অর্থ নষ্ট হয়।
ছাত্রজীবন,কর্মস্থল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সফলতা বাধাগ্রস্থ হয়।
সামাজিক ক্ষতিঃ
সমাজে ঘৃনার পাত্র হিসেবে বিবেচিত হয়।
বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত হয়ে পড়ে।
সামাজিকভাবে মান-সম্মান হারাতে হয়।
সমাজ কর্তৃক পরিত্যক্ত হতে হয়।
বিভিন্ন ধরনের সামাজিক বৈষম্যের শিকার হয়।
সমাজে অপরাধমূলক কর্মকান্ডের বিস্তার ঘটে।
মাদকের প্রভাবে গর্ভকালীন জটিলতা ও সন্তানের উপর মাদকের প্রভাবঃ
গর্ভপাত হয়ে যাবার সম্ভবনা থাকে।
নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই বাচ্চা প্রসব হতে পারে।
বাচ্চা বিকলাঙ্গ হতে পারে এবং বাচ্চার হৃদপিণ্ডে এবং শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা হতে পারে।
বাচ্চা মানসিক প্রতিবন্ধী হতে পারে।
নেশার কারনে মা-বাবার কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের রোগ (যেমনঃ এইচআইভি/এইডস,হেপাটাইটিস) বাচ্চার মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে।
বাচ্চার মধ্যেও মাদকের নির্ভশীলতা আসতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুন, ২০১৮ রাত ৮:৫৩