খুলনা পলিটেকনিক কলেজের মেকানিকেল ইন্সট্রাক্টর অমল কৃষ্ণ রায়কে (৩৮) কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা।
মঙ্গলবার কলেজ শেষ করে বাড়ি ফেরার সময় কলেজ গেটে তার ওপর এ হামলা চালানো হয়।
একদিন আগে পরীক্ষার হলে নকলে বাধা দিয়ে দুই ছাত্রকে বহিষ্কারের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে অনুমান করছেন আহত ওই শিক্ষক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কলেজের আইপিসিটি বিভাগের ষষ্ঠ পর্বের ছাত্র আজিজুর রহমানকে পরীক্ষায় নকল করায় বহিষ্কার করেন শিক্ষক অমল কৃষ্ণ।
২৭ মে কলেজে বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষা চলছিল। ওই দিন ওই শিক্ষার্থীসহ আইপিসিটি বিভাগের ৮ম পর্বের আরও এক মুস্তাফিজুর রহমান নামে ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়। পরে ওই ছাত্ররা কলেজ ত্যাগ করার আগে অনেক হুমকি প্রদান করে। বিষয়টি প্রিন্সিপাল নুরুজ্জামান প্রামাণিককে লিখিতভাবে অবহিত করেন অমল কৃষ্ণ।
ওই দিন রাতেই শিক্ষক অমল কৃষ্ণ রায়ের বাড়িতে গিয়ে বহিষ্কারটি প্রত্যাহার করার জন্য হুমকি প্রদান করে ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল।
এ ঘটনার জেরে মঙ্গলবার কলেজ শেষে শিক্ষক অমল কৃষ্ণ রায় বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিলে কলেজ গেটে ৫-৮ জন মুখোশ পরা যুবক তার ওপর ধারালো চাইনিজ কুড়াল, রড ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তার মাথায় কোপ ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পান।
এ ব্যাপারে কলেজের প্রিন্সিপাল নুরুজ্জামান প্রামাণিক বলেন, ওই দিন যে ছেলেটিকে নকলের দায়ে বহিষ্কার করা হয়েছিল সেই ছেলেটি ওই শিক্ষককে হুমিক দিয়েছিল। এরপর বাসায় তাকে হুমকি-ধমকি দেয়, বিষয়টি শিক্ষক অমল কৃষ্ণ রায় আমাকে অবহিত করলে আমি তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করার পরামর্শ দিয়েছি।
হামলায় ঘটনার বিষয়টি খালিশপুর থানা, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার ও ডিসিকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মৌখিক ও লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে।
খালিশপুর থানার ওসি সরদার মো. মোশারফ হোসেন বলেন, আমি শুনেছি। পলিটেকনিক কলেজের একজন শিক্ষককে মেরে আহত করা হয়েছে। তবে কেউ এখনও লিখিতভাবে কোনো অভিযোগ করেনি। তবে দোষীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। ( সুত্র ঃ যুগান্তর) (
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৫৭