বাংলাদেশে টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস খাত এক বিরাট সম্ভাবনাময় খাত। এতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১ কোটিরও বেশী শ্রমিক জড়িত। গত ৩০ বছরে এটি দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তিতে পরিনত হয়েছে। গত বছর এখাতে বৈদেশিক মূদ্রা আয় হয় প্রায় ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালে রপ্তানী লক্ষ্য মাত্রা ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। রপ্তানীতে চীনের পরেই বাংলাদেশের স্থান। একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায় এই শিক্ষায় দক্ষ জনবলের অভাবে আমাদের গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্পে প্রচুর পরিমাণে বিদেশী বিশেষজ্ঞ কাজ করেন। বাংলাদেশে গার্মেন্টস ডিজাইন অ্যান্ড প্যাটার্ন মেকিং টেকনোলজী শিক্ষিত জনবলের যথেষ্ঠ চাহিদা রয়েছে। এই কারণে বর্তমানে শিক্ষার্থীদের এই বিষয়ে পড়ার আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। চট্টগ্রাম মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ শিক্ষা বিস্তারে একটি সুনামধণ্য প্রতিষ্ঠান। এই কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিতদের দেশের গার্মেন্টস শিল্পেতো বটেই বিদেশে ও চাকুরী করার সুযোগ রয়েছে। তদুপরি দেশের সম্ভাবনাময় দেশীয় ফ্যাশনও বুটিক হাউজ গুলোতেও আমাদের টেকনোলজিষ্টদের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে।
গার্মেন্টস শিল্পে কর্মরত শ্রমিক প্রায় ৯০ ভাগই অর্ধশিক্ষিত তাদের কোন কারিগরি বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা বা বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষতা অর্জন করেনি। এদেরকে শিক্ষিত দক্ষ করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন যা বাস্তবায়িত হচ্ছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর মাধ্যমে চট্টগ্রাম মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
২০৩০ সালটি হবে আমাদের জন্য তাত্পর্যপূর্ণ, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জের বাংলাদেশ। যখন কর্মক্ষম ও নির্ভরশীল জনসংখ্যার অনুপাত হবে সর্বনিম্ন। এ সময়ে আমাদের মোট জনসংখ্যা হবে ১৮ কোটি যার মধ্যে কর্মক্ষম জনসংখ্যা ১২ কোটি আর নির্ভরশীল জনসংখ্যা হবে ৬ কোটি। এ বিশাল কর্মক্ষম নাগরিকের কর্মসংস্থান করতে না পারলে তা অর্থনৈতিক রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার সংকট সৃষ্টি করবে। দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নে বিজ্ঞান ও কারিগরি জ্ঞানের উন্নয়ন ও উত্কর্ষের কোন বিকল্প নেই। আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে দেশে কারিগরি শিক্ষার হার যত বেশী সে দেশের মাথাপিছু আয়ও তত বেশী এবং তাদের জীবনযাত্রার মান ও উন্নত। যুক্তরাজ্য, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুরের মত দেশে অধিক সংখ্যক দক্ষ জনশক্তি থাকায় সেখানকার মানুষের বার্ষিক মাথাপিছু আয় ৮ হাজার থেকে ৪৫ হাজার মার্কিন ডলারেরও বেশী। অন্যদিকে বাংলাদেশে মাত্র ২ থেকে ২.৫ শতাংশ দক্ষ জনবল দিয়ে বর্তমান মাথাপিছু আয় মাত্র ১৩১৪ মার্কিন ডলার এবং নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটই একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান যেখানে গার্মেন্টস ডিজাইন অ্যান্ড প্যাটার্ন মেকিং টেকনোলজী টি চালু আছে।
ভর্তির যোগ্যতা : ২০১৬, ২০১৭, ২০১৮ সালের এস এস সি পাশকৃতরা যাদের জিপিএ ৩,০০ এবং উচ্চতর গনিত বা সাধারন গনিতে ৩,০০ ( মেয়েদের ক্ষেত্রে)
অন লাইনে আবেদনের শেষ তারিখ : ৩১/০৫/২০১৮
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৫৭