পরিবারের সবাই জুমের কাজে ছিল। রাস্তার পাশে তার বাড়ি। স্কুল বিরতিতে বাড়িতে খেতে আসছিল। কিন্তু তাকে আর স্কুলে যেতে দেয়নি জানোয়াররা। পিচ্চি মেয়ে। সবে মাত্র ৪র্থ শ্রেণীতে পড়ে। বয়স আনুমানিক ৯ (নয়) বছরের উর্ধ্বে নয়! খুব বেশি বড় তাও না। একদম পিচ্চি মেয়ে। মেয়েটির বাড়ি একদম দীঘিনালা-খা/ছড়ি রোডের পাশে, তার বাবা বেঁচে নেই, মা'ই সবকিছু। দরিদ্র পরিবার।
প্রায় ২/৩ ঘটিকার সময় একটি ট্রাক তাদের বাড়ির সামনে রাস্তা ধারে থামে। তিন জন বাঙালিকে যেতে দেখে তাদের বাড়ির দিকে। মা বিকালে বাড়িতে এসে দেখে তার ছোট্ট মেয়েটি বাড়িতে নেই। তারপর খোঁজাখুঁজি। হঠাৎ রক্ত দেখে চিৎকার করে ওঠে। খুঁজতে খুঁজতে তার ছোট্ট মেয়ে পূর্ণা'র লাশ পাওয়া যায় তাদের বাড়ির নিচে যেখানে ছোট্ট ছড়া পাশে। নরপশুরা তাকে শুধু ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হননি নির্মমভাবেও হত্যা করেছিল।
একজন ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রীর প্রতি কার এত শত্রুতা থাকতে পারে? তার দুটো হাত কেটে দেয়া হয়েছে। যৌনাঙ্গ কেটে ক্ষত বিক্ষত করা হয়েছে। পায়ুপথে গাছের গুড়ি ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। এটা কি কোনো মানুষের কাজ হতে পারে?
না, এ এলাকায় অন্য কোনো জাতির বসবাস নাই। অন্য জাতির কেউ ধর্ষণও করে থাকে তাহলে ওরকম বিভত্ষ কাণ্ড করবে কেন?
স্বান্তনার কোন ভাষা নেই, প্রতিবাদেরও কোন ভাষা নেই। জানি, ধর্ষকদের বিচার হবে না। কোন শাস্তি দিবে না রাষ্ট্র।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:০৭