সহস্র মৃত্যুকে পার করে এসে হঠাত থমকে গেছি
নাম না জানা পাখির ডাকে হৃদয় শিহরিত হয়
জীবন ফুরাবার ভয়ে।
চলেতো যাবোই, চলে সবাই যায়, যেতে হয়
তবুও এই মায়াবী ইলিউসিভ জগতটা টানে;
ভাবনার অন্তর্জালে উঁকি দেয় ছেলেটার মুখচ্ছবি
চলে গেলে ওকে বুকেতে জড়াতে পারবোনা
পারবোনা প্রাণখুলে চুমু খেতে
স্কুল থেকে এসে আব্বু বলে কার কোলে উঠবে?
এই ভাবনায় মনের অরণ্যে ভাবনার অক্টোপাস ঝাপড়ে ধরে।
তাই শেষ মৃত্যুর সুশীতল স্পর্শের আগে ইচ্ছে হয়,
ভীষণ ইচ্ছে হয় আরেকবার, শুধু একটিবার ফিনিক্স পাখির মতো
পুড়া ছাই হতে উঠে দাঁড়াতে;
শুধু উঠে দাঁড়ানো নয় ঠিক ফিনিক্সের মতো উড়াল দিতে
নবযৌবনে উদ্দীপ্ত হয়ে লম্ভভাবে।
হোক সেটা ক্ষয়ে যাওয়া লক্ষ লক্ষ বছরের বিবর্তনে
প্রাপ্ত কোন মানব মস্তিষ্কের কল্পনা
তবুও স্বপ্ন দেখি নিদ্রাহীন রাত্রি আর ক্লান্ত ঘুমন্ত ভোর
হয়তোবা শেষ হবে কোনদিন অথবা না।
তবু আমি স্বপ্ন দেখেই যাবো
বিগত দ্বিদশকের মতো যুদ্ধ করেই যাবো
মৃত্যুর ঠিক আগ মুহূর্ত পর্যন্ত,
যুদ্ধের প্রগাড়, তীক্ষ্ণতম, তীব্রতম ঘোষণা করলাম
আজ, এখন, জড় অস্তিত্বকে কখনোই সহস্র মৃত্যুর পরেও
বিসর্জন দেয়নি, দিবোওনা।
প্রকৃতিকে রুদ্ধ করে যুদ্ধ করে যাবো
মৃত্যু আর পরাজয়ের গ্লানির বিরুদ্ধে একা একা।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মে, ২০২১ রাত ২:০০