"#আমি সবার কাছে বিচার চাই,
কেন থানার OC আমার গায়ে হাত তুলল?"
এটা আমার মেডিকেলের বড়ভাই, শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের ৩০তম ব্যাচের লুতফর ভাইয়ের ২৬ তারিখের স্ট্যাটাস। লুতফর ভাই জামালপুর সদর থানার UHFPO এবং এনেস্থেসিয়ার কন্সাল্টেন্ট। অতিশয় ভদ্র একজন #Radically Honest মানুষ। ২০০২ সাল থেকেই বিএনপির আমলে ক্যাম্পাসের বাইরে ছিলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন লড়াকু সৈনিক হবার জন্যে। বাইরের কারো জন্যে ক্যাম্পাসের বাইরে বাধ্য হয়ে থাকা অনেকটা জেল খাটার মতোই। আর এই আমলে এসে সামান্য চতুর্থ শ্রেনীর সিপাহী থেকে উঠে আসা #Bastard ওসি তাকে থানায় ডেকে নিয়ে চরমভাবে শারীরিক নির্যাতন করেছে।
#একজন ডাক্তার, একজন বিসিএস ক্যাডার, একজন নির্যাতিত ছাত্রনেতার এই পরিনতির জন্যে দায়ী কে?? এর দায়ভার কার? একজন সামান্য সিপাহী থেকে উঠে আসা ওসির এত্তো নগ্ন, নিকৃষ্ট আচরণের জন্যে আমাদের কি করা উচিত? দিন বদলের স্লোগান নিয়ে ক্ষমতায় আসা বংগবন্ধুর আদর্শের সরকার এর কি বিচার করবে?? এদের এতো নগ্ন- নিকৃষ্টতম সাহসের উৎস কোথায়।
অবিলম্বে এর কঠোরতম বিচার হোক। #Bastard ওসির সাসপেনশন, বিভাগীয় তদন্ত ও বিচার, ওর দূর্নীতির সব সম্পদ খুঁজে বের করে ওর শাস্তির ব্যবস্থা করা এবং দূর্নীতির সব তথ্য বের করে মামলা না হওয়া পর্যন্ত ওকে সাসপেনশনে রাখা হোক।
আজ সময় এসেছে শুধু ডাক্তার সমাজ নয়, সকল ক্যাডার এসোসিয়েশনের এক হয়ে কাজ করা। নইলে সমাজের এই নষ্ট কিটগুলো শুধু ডাক্তারদের নয়, কোন পেশাজীবীই বাদ থাকবেনা। এদের থেকে কেউ নিরাপদ নয়।
#আইজিপি মহোদয়কে অনুরোধ করবো এদের থামানোর এবং উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্যে। নইলে এই ফ্রাঙ্কেন্সটাইনগুলো পুরো সমাজকেই খেয়ে ফেলবে। আর আগের proposition অনুযায়ী নতুন পুলিশ ক্যাডারদের অফিসার ইন চার্জ পোস্টে বসানো। কারণ তারা ম্যানার জানে। মানুষকে সম্মান করতে জানে। ৪২৫ টি থানায় কমপক্ষে ৩৭৫টা ব্ল্যাক মাম্বা বসে আছে। হয়তো ৫০ জন ভিন্ন।
#মাননীয় প্রধাণমন্ত্রীর কাছে সবিনয় নিবেদন, আমাদের সম্মানজনকভাবে বাঁচার ব্যবস্থা করুন। এর কঠোরতম বিচার করুন। আমরা পৃথিবীর এই pandemic situation এ সীমিত resource নিয়ে প্রাণপণে চেষ্টা করে যাচ্ছি মানবতাকে বাঁচানোর জন্যে। আমি ব্যক্তিগতভাবেই হসপিটাল থেকে দুইবার কোভিড আক্রান্ত হয়েছি। দ্বিতীয়বার কোভিড নিউমোনিয়ায় মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছিলাম। কেন জানিনা রোগাক্রান্তের পর থেকে anterograde amnesia হয়। এর কোন ব্যাক্ষা বা সমাধান খুঁজে পাচ্ছিনা। লিখে লিখে কাজ করতে হয়। এক মুহূর্তেই সামনে করতে যাবার বিষয় ভুলে যাই।
সারাপৃথিবীতে একটা যুদ্ধাবস্থা চলছে। এর ফাইনাল ফ্রন্টিয়ার আমরা ডাক্তাররা। আর আমাদের একজন কর্মকর্তা যখন সামান্য সিপাহী থেকে উঠে আসে ওসির কাছে নির্মম প্রহার এবং নির্যাতনের স্বীকার হয়, তখন সরকারী চাকুরীর সকল ইচ্ছে হারিয়ে যায় এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতি প্রচন্ডতম ক্ষোভ আর ঘৃণার সৃষ্টি হয়।।
এর আগে এডমিনের একজনের সাথে রাস্তায় এক bastard #ওসি খারাপ আচরণ করলে, বিচারের উন্নতি না দেখে ওই বিসিএসের এডমিন ক্যাডার এসোসিয়েশনের সকলে একযোগে পদত্যাগপত্র জমা দেয়। জনপ্রশাসন নড়ে উঠে। ফলশ্রুতিতে bastard #ওসিকে সঙ্গে সঙ্গে suspend করে তার নিকুচি গোষ্ঠী উদ্ধার করে সঠিক প্রক্রিয়ায় চরমতম বিচার করা হয়। সেই ওসি এখনো জেলের চারদেয়ালে বন্দি। আর কপর্দকের কিচ্ছু বাকি নেই।
কিন্তু আমরা ডাক্তাররা, বিশেষ করে আমাদের তৈল মর্দনকারী ঘৃণ্য নেতারা অমেরুদণ্ডী কেঁচো প্রজাতির প্রাণী। এদের জন্মই হয়েছে তৈল মর্দনের জন্যে। কিন্তু আমাদের তরুণদের এবং বিবেকবান স্বল্প সংখ্যক নেতাদের জাগতে হবে। কারণ এই সমাজে, "যুদ্ধই জীবন, যুদ্ধই সার্বজনীন।"
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:২৩