somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হিটলারের নিরামিষভোজী ছিলেন, ছিলেন পশুপ্রেমি, তার সহ্য হোতনা নৃশংসভাবে পশু হত্যা করা

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হিটলার নিরামিষভোজী ছিলেন। পশুপাখিকে খুবই ভালবাসতেন। তার সাথে অতিথিরা যখন ভোজসভায় অংশগ্রহন করতেন তখন তিনি তাদেরকে শুনাতেন কি নৃশংসভাবে পশুগুলোকে জবাই করা হয় কসাইখানাতে। ফলে অভ্যাগতরা লজ্জায় মাংস খাওয়া থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখতেন। হিটলার সৈন্যদের জন্য খাদ্য হিসাবে ফলমূল আর শাকসব্জিকে প্রাধান্য দিতেন। পশুপ্রেমি হিটলারের পশু মারতে গিয়ে কলজে কেপে উঠলেও লক্ষ কোটি মানুষ মারতে তার মন একটু কাপেনি।

মাঝখানে বলে রাখি অনেকে মনে করেন হিটলার নাস্তিক ছিলেন। যদিও ধরা হয়ে থাকে তিনি নামে মাত্র ক্যাথলিক ছিলেন। কখনো কোন ধর্মীয় কার্যকলাপে তার অংশগ্রহন ছিল না। আরো মজার ব্যপার তিনি চেয়ে ছিলেন রাইখ (জার্মান, অস্ট্রিয়া?) থেকে খ্রীষ্ট ধর্মকে সমুলে উৎপাটন করে দিতে।

প্রায়শ:ই না জেনে এটি বলা হয়ে থাকে মুসলমানেরা গো হত্যায় সবচাইতে এগিয়ে।
অথচ পরিসংখ্যানে দেখা যায় পার কেপিটা মিট কনজাম্পসনের তালিকার প্রথম ৫০ টি দেশের ৩টি কি ৪টি মুসলিম দেশ। কাজাখাস্তান, সৌদি আরব, তুরস্ক।
অথচ প্রথম সারির দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে (১০) চেক প্রজাতন্ত্র, ইউরোপের সবচাইতে নাস্তিকদের বাস যে দেশটিতে। আজ সবচাইতে বেশি শুয়োর খায় যে ডেনমার্ক সেখানে নাস্তিকেরা আনুপাতিক হারে পৃথিবীর ৩য় স্থান দখল করে আছে।২য় স্থানে আছে চেকরা। ১৯ নাম্বারে আছে চীন।
থ্যাংকস গিভিং ডেতে আমেরিকান আর কানাডিয়ানরা টারকি খায়, যেটা নাকি ঐদিনের জন্য মাষ্ট। থ্যাংকস গিভিং ডের প্রধান মেনু হল টারকি। থ্যাংকস গিভিং ডে, যা কানাডাতে ঘটা করে পালন করা হয়, শ্রষ্টাকে ধন্যবাদ জানানোর জন্য, ভাল ফসলের জন্য। তাহলে এটাও কি উতসব করে একটি প্রানি হত্যা নয়কি।
প্রায় সাড়ে চার কোটি টারকি খাওয়া হয় এই দিনটিতে।

About 45 million Turkeys (15% of population of Turkeys) are eaten for Thanksgiving each year and another 35% of the population is killed the rest of the year. About 50% of the turkey population is killed each year. I think.

নাকি ছোট প্রানি বলে, এতে দোষ নেই।
পৃথিবীর সবচাইতে বড় পশূ উতসর্গেরে অনুষ্ঠান পালিত হয় নেপালের হিন্দুদের দ্বারা।
মাওবাদীরা রাজনিতীবিদরাও রাজী নয় শত বছরের এই উত্সবকে বাতিল করতে।
তারপরও মুসলমানের পশুদের সাথে দয়াহীন আচরন করে থাকে।

তাই একটি কার্টুনচি্ত্র দিয়ে শেষ করছি আজকের আলোচনা।
নদীর একপারে তৃত্বীয় দুনিয়ার একলোক কয়টা লাকড়ি জ্বেলে তার প্রয়োজন মিটাচ্ছিল যখন তখন প্রথম দুনিয়ার একলোক নদীর ওপার থেকে হম্বিতম্বি করে বলছিল, তুমি মিয়া পরিবেশ নষ্ট করছ গাছ কেটে আর ধুয়া উড়িয়ে।
অথচ তার পেছনেই বড় বড় সব কারখানার চিমনি থেকে গলগল করে কালো ধোয়া বেরিয়ে সমগ্র আকাশকে অন্ধকার করে দিচ্ছিল


পৃথিবীতে মাংস গ্রহনের (মাথাপিছু কেজি) তালিকা দেখুন।

kg/person (2009)
Bangladesh 4 ইসলাম ধর্ম

Australia 111.5

United Kingdom 84.2

United States of America 120.2

India 4.4 হিন্দু ধর্ম

Thailand 25.8 বৌদ্ধ ধর্ম 93.20% (বৌদ্ধ ধর্মে প্রানী হত্যা মহাপাপ)

Japan 45.9 বৌদ্ধ ধর্ম 67%

Sri Lanka 6.3 বৌদ্ধ ধর্ম 70.2%


আজকে পশুপ্রেমিরা খুব সচেতন।এরা খুবই মানবতাবাদি । এই নাস্তিক কম্যুনিষ্টারা মাত্র একশ বছরের মধ্যে যত লোক হত্যা করেছে, দুই বিশ্ব যুদ্ব মিলিয়েও হয়ত এত মানুষ হয়নি।


সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট জোসেফ স্টালিন ১৯২২ থেকে ১৯৫৩ সালের ৫ই মার্চ পর্যন্ত, তার শাসন আমলে সে টোটাল ৬ কোটির মত মানুষকে হত্যা করেছে।তাদের মধ্যে ১ কোটি ৪৫ লাখ হল যারা ক্ষুদার যন্ত্রনায় ও দূর্ভিক্ষে মারা গিয়েছিল।


মাওসেতুং প্রায় ১.৫কোটি থেকে দুই কোটি মানুষকে হত্যা করেছে।


কম্যুনিজমের রক্তাতের ইতিহাসে বিপ্লবের নামে কোটি কোটি মানুষের হত্যাকে জায়েজ করা হয়েছিল।





http://www.allcountries.org/uscensus/1370_per_capita_consumption_of_meat_and.html
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৬
১৭টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শীঘ্রই হাসিনার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩৮


পেক্ষার প্রহর শেষ। আর দুই থেকে তিন মাস বাকি। বিশ্ব মানবতার কন্যা, বিশ্ব নেত্রী, মমতাময়ী জননী, শেখ মুজিবের সুয়োগ্য কন্যা, আপোসহীন নেত্রী হযরত শেখ হাসিনা শীগ্রই ক্ষমতার নরম তুলতুলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাছে থেকে আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৬

আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

২০০১ সালের কথা। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটা আন্তর্জাতিক দরপত্রে অংশ গ্রহণ করে আমার কোম্পানি টেকনিক্যাল অফারে উত্তীর্ণ হয়ে কমার্শিয়াল অফারেও লোয়েস্ট হয়েছে। সেকেন্ড লোয়েস্টের সাথে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সংস্কারের জন্য টাকার অভাব হবে না, ড. ইউনূসকে ইইউ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এবং সফররত এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক পাওলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নারী বুকের খাতায় লিখে রাখে তার জয়ী হওয়ার গল্প (জীবন গদ্য)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩২



বুকে উচ্ছাস নিয়ে বাঁচতে গিয়ে দেখি! চারদিকে কাঁটায় ঘেরা পথ, হাঁটতে গেলেই বাঁধা, চলতে গেলেই হোঁচট, নারীদের ইচ্ছেগুলো ডিমের ভিতর কুসুম যেমন! কেউ ভেঙ্গে দিয়ে স্বপ্ন, মন ঢেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×