বিনু ভাবী আজ বাসায় এসেছিলেন। এই মহিলাটাকে আমার ভীষণ পছন্দ !
ঘরে ঢুকেই তার মেদবহুল শরীরটাকে আমার বিছানায় ধুপ করে ছেড়ে দিলেন। এরপর রাগে গজগজ করতে করতে বললেন, ‘ এই তোর লজ্জা করে না , বুইড়া ধামড়ি হইয়া গেসস, চামড়া কুঁচকাইয়া যাইতাসে , তবু তোর বিয়ার খবর নাই! তুই জানোস, ওই যে তোর লগে স্কুলে পড়ত রীতি, ওর মাইয়া এখন ক্লাস ফোর এ পড়ে!’
উত্তরে আমি কেবল মুচকি হাসি ।
-শোন্, আমি ঠিক করসি তোর লাইগা পাত্র দেখুম । কেমন পোলা পছন্দ, ক তো শুনি ?
আমি আহ্লাদী সুরে বলি, ‘ ভাবী , ছেলে একটা দেখেশুনে এনে দাও। শুধু খেয়াল রাখবা ছেলের মাথায় যেন টাক না থাকে । টাক মাথা দেখলেই আমার চাটি মারতে ইচ্ছে করে । তুমি ভেবে দেখ , একটা টাকয়ালা বর আমার চারপাশে ঘুরঘুর করছে , আর আমি চান্স পেলেই তার মাথায় ধুপধাপ চাটি মেরে দিচ্ছি , এটা একদমই ঠিক হবে না ।‘
-ফাতরামি বন্ধ কর , আমি সিরিয়াস ।
আমি বলি , ‘ তবে একটা লম্বা ছেলে এনে দাও।‘
-ওই মাইয়া, জামাই লম্বা হইলেই কি আর খাটো হইলেই কি ? চাকরীওয়ালা চাস্ নাকি ব্যবসায়ী চাস্ সেইটা ক ।
ভাবীকে বোঝাই, ‘দেখ, চাকরীজীবী–ব্যবসায়ী এইসবের চেয়েও লম্বা ছেলে বেশি জরুরী । ভাবী তুমি জানোনা তো মশারী টাঙ্গাতে আমার কি যে বিরক্তি লাগে ! আমি তো ঠিক করেই রেখেছি মশারী টাঙ্গানোর দায়ভার বরের ঘাড়ে চাপিয়ে দেব । বর লম্বা হলে এই কাজে তার সুবিধা না? দেয়ালের যত উঁচুতেই পেরেক থাকুক না কেন , সে ঠিক ঠিক নাগাল পেয়ে যাবে আর বীরদর্পে মশারী টাঙ্গিয়ে ফেলবে!’
অতঃপর ভাবীর শেষ বক্তব্য ছিলো ,’ ভাই তোর বিয়া করা লাগবো না ।‘
এবং যাবার আগে ঘোষণা দিয়ে গেলেন ..... জামাই না , আমাকে মশা মারার স্প্রে এনে দিবেন ।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:৫৮