১.
সাজাহান সাহেব মারা গিয়েছেন সকাল দশটার দিকে। একজ্যাক্ট সময়টা তেমন করে কেউ দেখে নাই্ তবে আন্দাজে ধরে নিয়েছে। যখন একটা মানুষ মারা যায় চোখের সামনে চট করে বুদ্ধিমান কেউ কেউ ঘড়ি দেখে নেয়। ওখানে বুদ্ধিমান কেউ ছিলনা সাজাহান সাহেবের স্ত্রী পায়ের কাছে বসে। আর ছোট ছেলে মাথার কাছে।এক পাশে এক আত্মীয় ডাক্তার। সারারাত শ্বাসকষ্ট ছিল। স্যালাইন দেয়া শুরু করেছে মিনিট পাঁচেক হল। শ্বাস কষ্ট কমে যাচ্ছে দেখে খুশিই হয়েছিলেন তার স্ত্রী। কষ্ট কমে যাওয়ার সাথে সাথে যে নিঃশ্বাস নেবার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলছেন সাজাহান সাহেব! মৃত্যুর আগে একবার চকিতে ছোট ছেলের মুখের দিকে তাকিয়েছেন। তারপর ধীরে ধীরে চোখ বুঁজে ফেলেছেন।আর ওদিকে যে কঠিন বাক্সটার ভেতরেএক দাগ দু দাগ করে হৃৎপিন্ডের সচলতা থাকে সে ঘরটা মুহূর্তে শূণ্য বলে দিল।
আম্মা আম্মা শূণ্য হয়ে গেল!
হাসপাতালের সব নিয়ম কানুন শেষে লাশ বাড়িতে এল। উঠোনে খাটিয়ায় শোয়ানো থাকলো লাশ! মৃত্যুর সাথে সাথে মানুষ লাশ হয়ে যায়। সেজো পুত্রবধু মায়ের বাড়ি থেকে শ্বশুরের মৃত্যুর খবর শুনে এসেছে। কান্না আসবেতো! সারা রাস্তা কত চেষ্টা করেছে মানুষটার ভাল কিছু ভেবে কষ্টটা উজিয়ে দিতে। কাজের কাজ কিচ্ছু হয়নি। ওহ মানুষে ভাববেটা কি!
মৃত্যু এক ধরনের উৎসব। একটা মৃত বাড়িতে কত কি যে ঘটে! হুলস্থুল সারাক্ষন। নতুন কেউ এলেই তাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদে সাজাহান সাহেবের স্ত্রী। তার পুত্রদের কেউ শক্ত মনের। কেউ খুব নরম! ছোট ছেলেটি বারবার অজ্ঞান হয়ে যেতে থাকে। এক সময় সব শেষ হয়! গোরস্থানে দাফন করে এসে পড়ে বাড়ির পুরুষেরা। সারা বাড়ি ঝেড়ে মুছে তকতকে করে ফেলে করিতকর্মা কিছু মহিলা। মৃত্যুর গন্ধ থেকে যায় যদিও। ঘরে ঘরে আগরবাতি জ্বালিয়ে তখনকার মত সবাই শোয়ার জন্য জায়গা খুঁজে নেয়। সারাদিনের ক্লান্তিতে ঘুম নেমে আসে সহজেই।
২.
কিছুক্ষন হল তাকে শুইয়ে রেখে গেছে কঠিন অন্ধকার একটা জায়গায়। সাজাহান সাহেবের অদ্ভুত লাগে। মৃত্যু নাকি ভীষন কষ্টের! তিনি তো কিছুই টের পেলেন না। বরং সারারাত তার বুকে ছিল অসহ্য ব্যাথা। গত তিনটা বছর তিনি যে কষ্ট সহ্য করেছেন বরং তার উপশম এত সহজে হবে তা তার ধারনাও ছিলনা। ব্রেন হেমারেজের পর তার কথা জড়িয়ে গিয়েছিল। যে কথা তিনি অবলীলায় বলতে পারতেন সেই কথা বলবার জন্য তাকে কত কসরত করতে হত! এমনিতেই তিনি আরামপ্রিয় মানুষ ! আর তাই মেনিমুখো ডাক্তার যখন তাকে মুখের ভেতর বল মার্বেল দিয়ে কসরত করতে বললেন জিহ্বার আড় কাটানোর জন্য কদিন করার পর ই আর করতে চাইতেন না। তাঁর স্ত্রী সত্যিকারের ভাল মানুষ।সে স্ত্রী যখন ব্যায়াম করানোর জন্য ওসব নিয়ে আসতো তিনি ধমকে বাড়ি মাথায় করতেন। তিনি অনেক কথায় বলতেন, কিছুই কেন যেন শব্দের রূপ নিতনা। ধীরে ধীরে চোখ গরম করাটা আর অর্থহীন বাচ্চাদের মত কিছু শব্দ রপ্ত করলেন তিনি। স্ত্রী মায়ের মত টের পেত তার অনুভূতি!
কত কি যে হুড়মুড় করে একসাথে এসে যাচ্ছেএখন। মনে হচ্ছে এসব টুকরো টুকরো ঘটনা পাশাপাশি ঘরে। সব কথা তিনি শুনতে পারছেন। সব ঘটনায় অংশ নিচ্ছেন।
কি যে হচ্ছে! বাদলের বৌ যে তার স্ত্রীর সাথে আলাপ করছে। তার আর বাদলে সম্পর্কে বলছে তা তিনি স্পষ্ট বুঝছেন। আবার ওদিকে তার জমি দেখাশোনা করে তার খুব অনুগত ইনু যে তার কথা বলতে বলতে কাঁদছে সেটাও দেখতে পাচ্ছেন। এ কি অদ্ভুত অবস্থা! মনে হচ্ছে অসংখ্য ছোট ছোট টিভি পর্দা। সমস্ত কিছুই পাশাপাশি ঘটছে তিনি শুধু দর্শকের মত সব ঘটনা দেখছেন। অতীত বর্তমান ভবিষ্যত সব এক জায়গায়। বাহ বেশ ভালো ব্যবস্থা তো!
রাত হতেই তিনি বেরিয়ে পড়লেন। এখন যে কোনো জায়গায় যাওয়া তার জন্য কোনো ব্যাপার না। এখন পযর্ন্ত তার মৃত বাবা মা তার সাথে দেখা করতে আসেনি। এ ব্যাপারে অভিমান করবেন কিনা ভাবতে ভাবতেই বেরিয়ে পড়লেন। তিনিতো সব রাস্তাঘাট এখনো চিনে উঠতে পারেন নি। আব্বা আম্মার কি উচিত ছিল না তার খোঁজ করতে আসা!
ঘরের মধ্যে ঢুকে দেখলেন তার স্ত্রী ঘুমিয়ে আছে। পাশে ভাইয়ের বৌ। আহ! নীল রঙের মশারীটা! এই তো মাথার কাছে একটা জায়গায় লাল সুতো দিয়ে ফুটো বন্ধ করা। মাথার পাশে রাখা তার জন্য নরম গদির চেয়ারটা। তিনি ধপাস করে বসলেন। মৃত্যুর পর একটা জিনিস ভাল হয়েছে। শরীর নেই বলে হাটাচলাবসার কষ্টটা আর নেই। ভারী শরীরটা নড়াতে তার প্রতিদিন কার কষ্টের কথা মনে হলেই কেমন যেন লাগে। পা টেনে টেনে বাথরুম যাওয়া আর সেখান থেকে ঘরে আসতেই ওহ কি হাঁপানীই না উঠতো।
হঠাৎ খেয়াল করলেন স্ত্রী মাথা তুলে তাকে দেখছে। তিনি নির্লিপ্ত হবার অভিনয় করলেন। বাহ বেশ তো! কিন্তু ধীরে ধীরে স্ত্রীর চোখ বিস্ফোরিত হতে দেখে খারাপই লাগছে! তিনি উঠে পড়লেন। কাজের ছোঁড়াটা বাথরুম সেরে এ পথ দিয়েই যাচ্ছে। ওহ দেখে হাঁট না বাবা। গেল! পা উল্টিয়ে পড়েই যাচ্ছিল। সামলে নিল ।নখটা উঠে গেছে নির্ঘাত। নাহ এখানে আসা যাবেনা। ওরা ভয় পাচ্ছে! মনটা খারাপ হতে থাকে ।
৩.
-কি ভাবে হল বলোতো?তুমি তো গতকালকেই বললা আব্বা ভাল আছে।
-জানিনা লতা। একটা মানুষ সকাল পযর্ন্ত ছিল। তার ওষুধ আনতে দৌড়াদৌড়ি করছি।বাসা থেকে খাবার নিয়ে আম্মাকে দিয়ে আসলাম। অফিস থেকে ফোন আসলো। আম্মা বললো এখন তো তোমার আব্বা ভাল ই আছে। আমি থাকছি।আর ছোট তো আছেই। তুমি বরং কাজ সেরে আসো। অফিসে আসার বিশ মিনিটের মধ্যে মেজ ভাইয়ের ফোন। আব্বা আর নাই। মনে হচ্ছে দুঃস্বপ্নের মত লতা। এই দু হাত দিয়ে তাকে শুইয়ে আসলাম অন্ধকার কবরে।
-সবাই যায়। যেতে তো হবেই বলো! এরকম করে আমরাও তো চলে যাব একদিন। রিমির জন্য খারাপ লাগছে। এত দূরের দেশে থাকে। দেখো। তুমি আমি বা আমরা তো দেখলাম বাবার শেষ মুখটা। রিমির কেমন লাগছে বলো?
-হ্যা লতা। ও বারবার ফোন করছে। মনটাকে মানাতে পারছেনা। আর তো কটা দিন মাত্র! সতেরো দিন পরেই তো দেশে ফিরত রিমি। ও টিকিটের জন্য চেষ্টা করছে খুব। যদি কদিন আগেই আসতে পারে!
-হু ! কি যে হয়! তোমার ফোন ধরতেই তুমি কাঁদতে কাঁদতে বললে আব্বা আর নাই। তুমি তাড়াতাড়ি চলে আসো। এই প্রথম তোমাকে কাঁদতে শুনলাম। আমার খুব খারাপ লাগছিল।
-ওহ! বাবুকে ঘুম পাড়াও প্লিজ। মাথা ধরে গেল। কি চায় ও?
-ঘুমালো?
লতার খুব অবাক লাগে। বাবু ঘুমাতেই লোকটা অন্যরকম হতে থাকে। একটু আগের শোকার্ত পুরুষ কামোন্মত্ত হয়ে ওঠে।
৪.
রিমির কেমন যেন সকাল থেকেই খুব অস্থির লাগে। আজ সাপ্তাহিক ছুটি। এ ঘর ওর ঘুরে সারা সপ্তাহ ধরে অগোছালো জিনিস গুলোকে ঠিক জায়গায় রাখে। নোঙরা কাপড় আজ মেশিনে ঢোকাবে। কাবার্ড খুলে পুটলি পাকানো ড্রেস দের বের করে! বসে বসে ভাজ করে তুলে রাখতে থাকে। মন ছটফট করছে। সুহাসের রাতে বাইরে একটা প্রোগ্রাম আছে। কি জানি এমন লাগছে কেন! কোন বিপদ আসছেনা তো? সুহাসের ড্রাইভিং কিরকম ডেয়ারিং তার থেকে ভাল আর কে জানে।
উঠে যায় । দুপুরে হালকা কিছু করবে। সুহাস প্রোগ্রামের জন্য নিজেকে তৈরি করছে। বাইরে লাঞ্চ করবে। নিজের জন্য কিছু করতে একদম ইচ্ছে করছেনা। একবার নম্বর ঘুরিয়ে বাঙলাদেশে ফোন করতে গেল। কেন যেন হলনা।
আড়াই বছর আগে দেশ থেকে আসার পর প্রতিটা মুহূর্ত তার ভয়ে ভয়ে কাটতো। আব্বাকে নিয়ে ধীরে ধীরে ভয় টা কেটেছে। আব্বা কাওকে ডাকতে পারতনা। মুখ বাঁকিয়ে যেত। মাথার রগ ফুলে উঠতো। শুধু তার নামটাই কেমন করে যেন উচ্চারন করতো।এ্যামমমিইই... ফোনে কথা বললেও এভাবেই বারবার বলতে থাকতো। খুব তাড়াতাড়ি দেশে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও এতদিন সম্ভব হয়নি। জীবনের জন্য যে এভাবে যুদ্ধ করতে হয় রিমির জানা ছিলনা। আর সতের দিন। এর পরেই সে সবুজ দেশের মাটিতে পা দেবে! ভাবতেই ভেতরে আনন্দের বুদবুদ ওঠে। ছোট ভাইটার বিয়ের কথা বার্তা চলছে।মেয়ে পছন্দ শেষ। সে দেশে গেলেই বিয়ে হবে। এটাই শেষ বিয়ে বাড়িতে। আব্বা থাকতে থাকতেই বিয়েটা হোক সবাই চায়। ছোট ভাইটা এত ন্যাওটা ছিল রিমির! এয়ারপোর্টের মধ্যে এত বড় ছেলেটা ভেউ ভেউ করে কাঁদছে! চোখ ভিজে যায়!
অস্থিরতা কাটেনা ! নাহ! এমন হচ্ছে কেন!
রাত এগারোটায় সুহাস প্রোগ্রাম ফেলে বাড়িতে ফিরে আসে। রিমির ভেতর থেকে স্বস্তির নিঃশ্বাস বেরিয়ে আসে। সুহাস খুব ধীরে অনেক দিন পরে তাকে বুকে টেনে নেয়! আস্তে করে মাথায় হাত বুলিয়ে বলে। আমরা এখন অনেক বড় তাই না রিমি? আমাদের কষ্ট সহ্য করার মত শক্তি আছে। তুমি ভেঙে পড়বেনা বল?
সুহাস জানে এ কি নিদারুন কষ্টের! বাবার মৃত্যুর খবর টা নিজ মুখে বলতে গিয়ে সে টের পেয়েছে সহজ না। এত সহজ না। কিভাবে স্বান্তনা দেবে রিমিকে!
এতক্ষন জড়িয়ে ধরে ছিল। কত কথা বলেছে। মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েছে। বহুদিন পর এত আদর। এত কাছাকাছি আসা দুজনের। বাবার ছবি বুকে চেপে কেমন ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে আছে রিমি। দেখে খুব মায়া হয় সুহাসের। অনেকক্ষন ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে মায়া নিয়ে।
৫.
একটা ছোট্ট খাটিয়া ! পুতুলের মত তার ছোট্ট সন্তান টা কে শুইয়ে রেখেছে। লতার মনে হয় এত্ত সাদা দৃষ্টির সামনে।তার চোখ ঝলসে যাচ্ছে। ছোট্ট গলিটার ভেতর দিয়ে মানুষ ঢুকে পড়ছে পিঁপড়ের মত। হুমড়ি খেয়ে পড়ছে গায়ের উপর।
কি হচ্ছে এসব! প্রিয় ছোট ভাইটা। ও না কদিন আগেই পাহাড় দেখে এলো। আব্বা! কেন! এরকম কেন! নাআআ...
গোঙানীর মত আওয়াজ বেরিয়ে আসে। সব দাড়িয়ে দেখা দশর্কদের ঠেলে সে পৌঁছাতে চায়। আব্বার নাকে তুলো কেন? শ্বাস নিতে পারছেনা। সে ছুটে যায় তুলো খুলে নিতে। জোর করে ধরে ফেলে শক্ত সামর্থ কিছু হাত। আগরের গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসে! কান্নায় ভেঙে পড়তে থাকে শরীর।
স্বপ্ন টা ভেঙে গেলে দেখে সারা শরীর ভিজে গেছে ঘামে! গলার কাছে কান্নার দলা। ব্যাথা করছে খুব। আলতো করে হাতটা নিয়ে বাবুর নাকের কাছে ধরে থাকে। শ্বাসের গরম অনুভূতি আনন্দ ছড়িয়ে দেয়। চোখ বন্ধ করে লতা।
৬.
সাজাহান সাহেব প্রতিদিন ঘুরে ঘুরে এসেছেন। দেখে গেছেন। তাকে নিয়ে যত আলোচনা কমতে থাকে তত বেশি একা হতে থাকেন তিনি। এখনো আম্মা তাকে দেখতে আসেনি। তিনি পথ চিনে উঠতে পারছেন না। সব গলি ঘুপচির মত এলোমেলো। কোথাও কোথাও খুব বেশি অন্ধকার। এখনো এসব চোখে সয়ে উঠছেনা। তিনি তাঁর মত অনেককেই দেখেন আশেপাশে। কিন্তু পরিচিত আত্মীয় স্বজন কে পান না। কোথায় ওরা! এভাবে কি মুখ খুঁজে খুঁজে ফেরা যায়। ধীরে ধীরে তার বাড়ির মানুষ গুলো কেমন বিস্মৃত হয়ে যাচ্ছে। এখন আর প্রথম দিনের মত সবাইকে দেখলেই চিনতে পারেন না। নাহ যা হয় হবে! পেছনে ফিরে তো আসতে পারেন না তিনি।
সামনে যেতে হবে।
৭.
রিমি দেশে ফিরে পাগলের মত আব্বা আব্বা বলে চিৎকার করে গলা ছেড়ে কেঁদেছে। নতুন করে বাড়িতে মৃত্যু শোক। আম্মা তুমিই বলো। আমারে না দেইখা আব্বা কেমন করে চলে গেল। আমি কদিন পরে আসব জানে তারপরও কেমন করে গেল আম্মা? আব্বা ও আব্বা!
বাড়িতে উৎসবের আমেজ। চল্লিশাতে কটা গরু-খাসি জবেহ হবে তার এস্টিমেট হচ্ছে। আবার বিয়ের জন্য ও অল্প স্বল্প কেনাকাটা চলছে। রিমি দেড় মাসের মধ্যে ফিরে যাবে। তার আগেই সব সারতে হবে।
একদিন মেয়েটার বাড়ি গিয়ে দেখে আসা হল। কথা বার্তাও সব ঠিকঠাক। ডেট ফাইনাল। সময় খুব দ্রুত চলে যাচ্ছে!
বাড়িতে গান শোনা টিভি দেখা বন্ধ। হাসাহাসি হলেও একদম নিচু স্বরে। সব খানেই একটা শোক পালনের চেষ্টা। বসার ঘরে সাজাহান সাহেবের খুব বড় করে বাঁধানো একটা ছবি টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে। সময় নিজের মত করে বর্তমান রচনা করে।
এখন পেন্সিলের ভাঙা অংশটা দিয়ে কেউ ইতিহাস হয়,কেউ খেলনা। মৃত্যু তো ভাঙা পেন্সিল।