যুবক,তুই কি নদী ভাবিস?
দু'পাড় জুড়ে গরান গাছ,মাঝে নদী
গাছের ওপার বাবলার বন
যুবক তোর ধ্রুব মন
চোখের পাতায় স্মৃতি মাখিস!....
পরিযায়ী পথ
কলাপাতা চোখ
আগন্তুক তোর ঠোঁটে
বিষের বাধক.....
যে পায়ে ঘুঙুর তোর
সে পায়ে আগুন
মধু পোড়া শালপাতা
চুম্বনে গুন....
তুই ফিরতে পারবিনে
শালিক যতই ফেরাক চোখ
আগুন এড়াতে গুন লাগে
না হয় জলা ভরা শোক
উপচাবে ঠিক পাড় বিনে
চোখ ফেরালেই চর জাগে
ভুল বেহুলার বাসর হোক
মগ্ন পাথার রাত দিনে......
হাড় ভেঙে পড়েছিস
ঘর ভেঙে
একলা বৌধায়ন
চূড়ান্ত এখন তোর
মুহূর্তে
কালাতিযাপন...
কতদিন কোন কবিতা পড়িনি
যুবক তোর মিহি জোছনার চাদর
ছিলো উঠোনে টাঙানো
কবিতার মত এলিয়ে
লাল মাটির রঙে রাঙানো
মাঠের শিশির জ্বর কাতর
যুবক তুই পাঠ কর আজ
ইনুবিনুন সজ্জা কপালের ফোটা
কবিতার নজর!
কতদিন তোর কবিতা শুনিনি......
মূঢ় প্রেমিকার মত বারবার
কাছে পেয়েছো বলে
তোমার অভ্যাস গড়েনি
ফিরিয়ে আনার।
যে তারা খসে পড়ে আকাশ থেকে....
মাটিতে তার অন্য টান,
অন্য জন্মের হাতছানী।
যে আসে আসুক,আমি কখনো
ফিরে যাব বলে ভালবাসিনি....
একটি ভুল কবিতা লেখার
অপরাধে
শাস্তি হোক
শাস্তি হোক আমার
কপাল পোড়া ঘুম
বিন্যস্ত পংক্তি
বারবার আউড়ে
ব্যাকুল আলসেমি
পুরনো বেভুল চিঠি
নরম ডায়েরী
লুকানো পালক
চ্যাপ্টা গোলাপ পাতা
ছড়ানো পাপড়ি
না ... না ...
শাস্তি হোক আমার
শাস্তি হোক দারুণ
কতকাল আর এমন
ভুল কবিতা লিখব......
তুমি থাকলে কবিতা থাকে।
পিছুটান থাকে অন্তত
তুমি জানো যুবক
পাখা বাড়লেই আগুনে ঝাঁপ!
জেনোনা কখনো
আড়ালে থাকুক তারা
পাপবিদ্ধ লুকানো প্রলাপ....